আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ১৪২৮৮. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, ভাইয়া আমি ১৫ বছর বয়সী এক পথভ্রষ্ট ছেলে, আগে আল্লাহর আনুগত্য অনেক ছিল, জানতাম না বিয়ের আগের সম্পর্ক হারাম ভাবতাম যে শুধু ধরা ছোঁয়াই বোধ হয় গুনাহ, জেনেরাল ছাত্র বলে, সে রাগ হতো, আল্লাহ কে দোষারূপ করতাম, নামাজ ছাড়লাম, পরে বুঝতে পেরেও যে এটি হারাম, তাকে ছাড়তে পারিনি, নেশা করার পর যে নেশা খারাপ জানলাম ছাড়তে কষ্ট তো নিশ্চয়ই তবে চেষ্টা করি, আল্লাহর পথে একবার ফিরি, আবার ঘুরে যাই, আবার ফিরি আবার ঘুরে যাই, এভাবে চলতে থাকে, চোখের জেনাহে লিপ্ত হই, এই ছোট্ট বয়সে কত ধরনের ভয়ানক পাপ করি, আমি বলতেও ভয় করি, কাউকে শেয়ার ও করা যায়না, যদি আল্লাহ আরও ক্রুদ্ধ হন, আপনাকে বলাও যাবেনা আরও নাজানি কত পাপ করি, ধর্মে ফিরি আবার হারাই আবার ফিরি আবার হারাই, ভাই প্রকাশ্যে অগণিত পাপ করি, আমার অজ্ঞতার কারণে অন্যের কষ্টের কারণ হই, কত জুম্মা মিস করি, চুরি করি মিথ্যে বলি পাপে প্রেরণা দেই ঠকাই। তবে শেষ পর্যন্ত, হারাম সম্পর্ক শেষ করি, গানবাজনা ছাড়ারও চেষ্টাও করতেছি, সকল অসৎ সঙ্গ ত্যাগেরও চেষ্টা করছি তবে দুনিয়ার জীবন যেন আমায় ধাওয়া করছে এমন আর আগের মত করতে পারছিনা বোধ হয় মহান রব মহর মেরে দিয়েছেন অন্তরে, নামাজ পড়তেছি আর পড়তেছি, কিন্তু কেনো যেনো ইমান টা কোথায় হারিয়ে গিয়েছে, দুনিয়ার মহ আমায় পাগল করেছে কিছুই বুঝতেছিনা নাও এদিক নাও সেদিক। খুবই দিশেহারা আমি হুজুর, আমার মনে হয় আবার পাপ যখন আমার সামনে আসবে আমি নিজেকে হয়তো, ধরে রাখতে পারবনা, কিছুই ভাল্লাগেনা হুজুর, রবের কাছে ক্ষমা প্রার্থনাও লজ্জাজনক হয়ে গিয়েছে, আখিরি জবানা, আমি আমার জন্যে দুআ করেন হুজুর, বিশ্বাস, কোথায়? কিভাবে। রব কি উনার মহর আমার অন্তর থেকে আর তুলে নিবেন নাহ? কখনোই না? রবের কাছে জান্নাত নহে ঈমান ভিক্ষে চাই, তবে হয়তো কিছু বিষয় মুছে ফেলা যায়না। আমার জন্যে দুআ কইরেন হুজুর আর দয়া করে বলবেন আমি কিকরে আবার নিজের অন্তঃস্থ নফস কে হত্যা করবো কি করে আবার ঈমান সম্পূর্ণ করবো, কি করে অবিশ্বাসী মনকে সান্তনা দিবো? অনেক দিশেহারা হয়ে আপনাদের শরণাপন্ন হলাম, প্রশ্ন বড় আশা করি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। জাজাকাল্লাহ খাইরান

২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
ঢাকা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم





সম্মানিত প্রশ্নকারী!
কিছুটা সময় নিয়েই আপনার দীর্ঘ প্রশ্নটা পড়লাম। আল্লাহ তায়ালা আমাদের এজাতীয় গুনাহ থেকে হেফাজত করুন। দীলে আল্লাহ তায়ালার ভয়, পরকালের প্রতি বিশ্বাস, জান্নাতের আশা এবং রাব্বুল আলামিনের ভালোবাসা দান করুন।

আপনি যা উল্লেখ করেছেন সেগুলোর প্রতিটিই ভয়াবহ গুনাহ এবং আত্মার ক্যান্সার। দ্রুত এগুলোর চিকিৎসা না করলে যেকেনো মুহূর্তে বড়ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন।

এর থেকে উত্তরণের একটাই পথ সেটা হলো দ্রুত এই সকল গুনাহ বর্জন করে আল্লাহ তায়ালার ওপর তাওয়াককুল ও ইস্তেগফার করা।

আর গুনাহ বর্জন করে ইমান অর্জনের অন্যতম প্রধান উপায় হলো নিজের জীবনের লাগাম টেনে ধরে হক্কানি কোনো আল্লাহ ওয়ালার হাতে তা সোপর্দ করা। কেননা আল্লাহ ওয়ালাদের সোহবত-সংশ্রব ব্যতীত গুনাহ বর্জন করা সম্ভব নয়।

কাজেই আপনার জন্য করণীয় হলো,

১. যেকেনো একজন আল্লাহ ওয়ালাকে মুহাব্বত করে তার নির্দেশিত পথ ও পদ্ধতিতে নিজের জীবন পরিচালিত করা।

২. নিয়মিত আল্লাহ ওয়ালাদের বই পুস্তক পড়া।

৩. গুনাহ এড়িয়ে তাদের ওয়াজ নসিহতগুলো শোনা।

এক্ষেত্রে আপনি অন্য়সদু বাংলাদেশের যেকোনো একজন
আল্লাহ ওয়ালাকে বেছে নিতে পারেন।

والله اعلم بالصواب

মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন