আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ১৪১৬৮. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমি বাজার থেকে মুরগী কেনার সময় দেখি একজন লোক মুরগী জবাই করছে।তবে আল্লাহু আকবার বলে জবে করছে।এটা খাওয়া কি যায়েজ হবে? বর্তমান বাজারে ড্রেসিং করা মুরগী গুলো যেভাবে জবাই করে সে ব্যপারে বিস্তারিত বলুন?আসমা আক্তার,ফেনী।

২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
ফেনী

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم





১. বিসমিল্লাহি আল্লাহ” আকবার বলে যদি মুসলমান কোনো হালাল প্রাণী জবাই করে তাহলে সেটা খাওয়া জায়েজ আছে। আমদের দেশে সাধারাণত পশু-পাখি জাবাইয়ের কাজ মুসলিমরাই করে থাকে এবং স্বাভাবিক ভাবেই তারা আল্লাহর নাম নিয়েই জবাই করে। তাই তাদের জাবই করা মুরগী খেতে অসুবিধা নাই।

তবে যদি কারও বিসমিল্লাহ বলা সম্পর্কে সন্দেহ হয় তাহলে তার জবাইকৃত প্রাণীর গোশত গ্রহন না করা উচিত। আর দোকানে মুরগি জাইয়ের সময় ক্রেতার উচিত দোকানিকে বিসমিল্লাহ স্মরণ করিয়ে দেওয়া।


২. জবাব : জবেহ করা মুরগি ড্রেসিংয়ের কয়েকটি পদ্ধতি রয়েছে।

ক. জবেহ করা মোরগ-মুরগি ইত্যাদি যদি পরিষ্কার উত্তপ্ত গরম পানিতে এ পরিমাণ সময় চুবিয়ে রাখা হয়, যার ফলে পেটের ভিতরের নাপাকির আছর (ক্রিয়া) গোস্তে ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে গোস্ত নাপাক হয়ে যাবে।

খ. ড্রেসিংয়ের পূর্বে যে পানিতে চুবানো হয়, সেই পানি যদি গলার কর্তিত অংশে লেগে থাকা প্রবাহিত রক্ত বা মল-বিষ্ঠা ইত্যাদির কারণে নাপাক হয়ে থাকে। এরপর সেই নাপাক পানিতে যদি মোরগ-মুরগি এ পরিমাণ সময় চুবিয়ে রাখা হয়, যাতে নাপাক পানি গোস্তের ভিতরে প্রবেশ করে, তাহলেও সেই গোস্ত নাপাক হয়ে যাবে।

আর যদি এর চেয়ে কম সময় রাখা হয়,তাহলে ভিতরের গোস্ত নাপাক হবে না। তবে বাহিরের অংশ নাপাক হওয়ায় তিনবার ধুয়ে নিবে। তাই সতর্কতামূলক প্রচলিত পদ্ধতিতে ড্রেসিং না করাই উত্তম।

হ্যাঁ, একান্ত যদি করতেই হয়, তাহলে পূর্বের ব্যবহৃত পানি ফেলে দিয়ে নতুন পানি গরম করে এত অল্প সময় চুবিয়ে রাখবে, যাতে ভিতরের নাপাকি গরম পানির প্রভাবে গোস্তের মাঝে ছড়িয়ে না পড়ে।

উল্লেখ্য যে, জবেহ করার পর গলার কর্তিত অংশে লেগে থাকা রক্ত ও পেটের নাড়িভুঁড়ি দূর করে ড্রেসিং করলে গোস্ত পবিত্র থাকবে এবং এটাই ড্রেসিংয়ের সর্বোত্তম পদ্ধতি।

সূত্র: ফাতহুল কাদীর ১/২১১ মারাকিউল ফালাহ ১৬০ ফাতাওয়া দারুল উলূম হাটহাজারী ফতওয়া নং ০৫) والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেন, মাওলানা উমায়ের কোব্বাদী নকশবন্দীে

والله اعلم بالصواب

মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন