আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

চলন্ত নৌকা ট্রেলার ও লঞ্চে নামাজ

প্রশ্নঃ ১৩৮৭৬. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, মুহতারম আমরা কিছু দিন পূর্বে লঞ্চে নামাজ আদায় করেছিলাম আমি ইমাম ছিলাম নামাজরত অবস্থায় আমাদের কিবলা ঘুরে যায় আমরা জানতে পারিনি নামাজের পরে পার্শ্ববর্তী লোক বলল আপনাদের নামাজরত অবস্থায় কিবলা ঘুরে গিয়েছিল পরবর্তীতে পার্শ্ববর্তী কোন একজন বলল আপনাদের নামাজ হয়নি।।। তবে লঞ্চে জ্যাম থাকার কারণে আমরা নামায আদায় করিনি এমতাবস্থায় আমাদের নামাজ হবে কিনা দয়া করে জানালে উপকৃত হব।। جزاكم الله احسن الجزاء في الحياة الدنيا و الاخرة..,

১ ডিসেম্বর, ২০২৪

হাটহাজারী

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

চলন্ত নৌকা ট্রেলার ও লঞ্চে কিবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে (সম্ভব হলে) নামাজ শুরু করতে হবে। এবং নামাজরত অবস্থায় কিবলা ঘুরে গেলে মুসল্লীদেরও ঘুরে যেতে হবে। যদি ঘুরে না যায়, তাহলে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে। কিন্তু যদি ভীড় বা অন্য কোন কারণে ঘুরা সম্ভব না হয় তাহলেও নামাজ শুদ্ধ হয়ে যাবে।

শরয়ী দলীল
في إعلاء السنن عن ميمون بن مهران عن بن عمر قال سأل النبي صلى الله عليه وسلم عن الصلاة في السفينة فقال كيف أصلي في السفينة قال صل فيها قائما إلا ان تخاف الغرق. ( أخرجه الحاكم في المستدك.

في الهندية أما الصلاة في السفينة فالمستحب أن يخرج من السفينة للفريضة إذا قدر عليه.كذا في المحيط السرخسي و إذا صلي قاعدا في السفينة وهي تجري معالقدرة على القيام تجوز مع الكراهة عند أبي حنيفة رحمه الله .

তথ্যসূত্র:
ইলাউস সুনান,৪/২১০-১১
ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৪৩
আল বাহরুর নায়েক ২/২০৩
তাতারখানিয়া ১/৫২৮-২৯
ফাতাওয়া শামী ২/৫৬২
والله اعلم بالصواب

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মোহাম্মদ আমীর হোসাইন, মুফতি ও মুহাদ্দীস,
শাইখ আবু সাঈদ ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, মোহাম্মাদপুর।

প্রসঙ্গসমূহ: