প্রশ্নঃ ৬৬৬১৫. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমার প্রশ্নের আলোকে আপনি ফতোয়া দিয়েছেন যে কেবলা সামান্যতম বামে বাঁকা হলে জায়েজ হবে না তার উপর আমার প্রশ্ন হল আল্লাহ পাক বলেছেন, فول وجهك شطر المسجد الحرام، و حيث ما كنتم فولوا وجوهكم شطره، ومعنى الشطر الجهة والنصف و الجزء والناحية আপনি شطر এর যে অর্থই গ্রহণ করেন না কেন মসজিদে হারামের দিক (পশ্চিম দিকে) মুখ করে নামাজ তো হচ্ছে। তাছাড়া সৌদি আরব বাংলাদেশ থেকে একটু বামদিকে অবস্থিত সুতরাং একটু বামদিকে বাঁকা করে নামাজ আদায় করলেই বা সামান্য বামে বাঁকা করে মসজিদ পুনঃনির্মাণ করলেই তো মসজিদে হারাম সামনে থাকছে।(যা বাস্তবসম্মত বিষয়) আর আপনি সোজা পশ্চিম দিকে মুখ করে দাঁড়ালে মসজিদে হারামের দিকে মুখ হচ্ছে না কারণ মসজিদে হারাম বাংলাদেশ থেকে একটু বামদিকে অবস্থিত অথচ আল্লাহর নির্দেশ হলো মসজিদে হারামের দিকে মুখ করার। আর এখন পশ্চিম দিকে মুখ করে দাঁড়ালে তো কখনো আপনি মসজিদে হারামকে সামনে পাবেন না। কারণ আপনি সোজা পশ্চিম দিকে চললে মসজিদে হারামকে সামনে পাবেন না কারণ সেটা কমপক্ষে এক হাজার মাইল দক্ষিণে অবস্থিত। মসজিদে হারামকে সামনে রাখা ফরজ বললে (যা অসম্ভব) تكليف مالايطاق لازم আসবে, অথচ আল্লাহ বলেন لا يكلف الله نفسا الا وسعها সেজন্য আল্লাহ বলেন فول وجهك شطر المسجد الحرام সুতরাং شطر المسجد الحرام থেকে উদ্দেশ্য হলো মসজিদে হারামের দিক অর্থাৎ মসজিদে হারাম যে দিকে অবস্থিত অর্থাৎ পশ্চিম দিকই উদ্দেশ্য। সেটা সামান্য ডানে বামে বাঁকা হলেও পশ্চিম দিকই ঠিক থাকছে। সেটা তো আর উত্তর দক্ষিণ দিকে হচ্ছে না। আমরা জানি মসজিদে হারামের মুসল্লিদের কিবলা হলো কাবা শরীফ, হারামের মুসল্লিদের কিবলা হলো মসজিদে হারাম, বাইরের মুসল্লিদের কিবলা হলো হারাম শরীফ।,

উত্তর