আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

হিন্দু হোটেলে খাবার খাওয়া কি জায়েজ?

প্রশ্নঃ ১৩৫৮৯. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, মুহতারাম,১) যৌথ মালিকানাধীন একটি রেস্টুরেন্টের একজন মালিক মুসলমান এবং আরেকজন মালিক হিন্দু। এই রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার খাওয়া কি উচিত হবে ?২) সাধারণভাবে আমাদের দেশের রেস্টুরেন্টগুলোতে কোনো রকমের তথ্য জিজ্ঞাসা বা যাচাই-বাছাই করা ছাড়া গরু, মুরগী ইত্যাদির মাংস খাওয়া কি উচিত ?

২৭ অক্টোবর, ২০২৩
Dhaka ১২১২

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


১ . সম্মানিত প্রশ্নকারী! বিষয়টি নিয়ে আপনার মনে এই জন্যই প্রশ্ন জেগেছে যে মুসলিমদের জন্য হিন্দুদের হোটেলে বা তাদের প্রস্তুতকৃ খাবার খাওয়া জায়েজ আছে কি না ! তো এই ব্যাপরে মৌলিক কথা হলো, হিন্দু হোটেলের সব কর্মচারী যদি মুসলিম হয় এবং তারা পাকপবিত্রতার সাথে খাবার প্রস্তুত করে তাহলে সেখানে খাবার গ্রহন করতে কোনো অসুবিধা নাই।

আর হিন্দুদের প্রস্তুতকৃত খাবারের ব্যাপারে কথা হলো, তাদের জবাইকৃত কোনো প্রাণী যেমন, গরু, ছাগল, মুরগি, পাখি ইত্যাদীর মাংস গ্রহন করা জায়েজ নাই। চাই সেটা যত পরিচ্ছন্ন এবং পরিস্কারই হোক। কেননা যেসব প্রাণী জাবই করে খেতে হয় সেগুলোতে মুসলিমদের আল্লাহু আকবার বলে জবাই করতে হয়। কিন্তু হিন্দুরা যেহেতু আল্লাহু আকবার বলে না তাই তাদের জবাই হালাল হবে না। এমনকি কোনো হিন্দু যদি ব্যবসায়িক পলিসির অংশ হিসেবে জবাইয়ের সময় আল্লাহু আকবারও বলে তবুও ওই প্রাণীর মাংস খাওয়া হালাল হবে না।
এছাড়া তাদের রান্না করা শাক-সবজি ইত্যাদীর ব্যাপারে কথা হলো,তাদের পাক পবিত্রতা সম্পর্কে কোনো আস্থা রাখা যায় না। উপরন্তু অনেক এলাকার হিন্দুরা মিষ্টান্ন খাবার প্রস্তুত করার পর গোবর মিশ্রিত পানি বা পঞ্চরস (যা তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী পবিত্র পানি) মিষ্টান্নের উপর ছিঁটিয়ে থাকে। যার ফলে এগুলো সম্পূর্ণই নাপাক হয়ে যায়। এজন্য হিন্দুদের হোটেলে খাওয়া কখনোই নিরাপদ নয়। সেখান থেকে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

২. উপরোক্ত আলোচনা থেকে আশা করছি এই বিষটিও সমাধান হয়ে যাওয়ার কথা। তো এখানেও সেই একই প্রসঙ্গ। বিশেষত জবাইকৃত পশুপাখি। দোকানের মালিক-শ্রমিক এবং পশু জবাইকারীগণ যদি মুসলিম হয় তাহলে আশা করা যায় তারা আল্লাহর নাম নিয়েই সেগুলো জবাই করেছেন। কাজেই নিশ্চিত কোনো তথ্য ছাড়া অযথাই সেগুলোর ব্যাপারে সন্দিহান হওয়ার প্রয়োজন নাই। তবে বাইরের এসব খাবার যারা প্রস্তুত করেন সত্যিকারার্থে তাদের মাঝে পাক-পবিত্রতা সেই পরিমাণে থাকে না। কাজেই একান্ত নিরুপায় না হলে এখানেও বিরত থাকা উচিত।

والله اعلم بالصواب

মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন