আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ১৩৩১৭. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমি প্রতি রাতে সূরা মূলক এবং সূরা ওয়কিয়াহ পাশাপাশি সূরা দূহা ও সূরা ইনশিরাহ পড়ি এতে আমি আত্তিক প্রশান্তি পাই।কিছুদিন আগেই জানতে পারলাম নবীজীর দেখানো সুন্নাতের ব্যাতিত অন্ন পদ্ধতিতে ইবাদতকে বিদআত বলে। আমাদের নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি রাতে সূরা দুহা এবং সূরা ইনসিরাহ পড়ত কি না এমন হাদীস খুঁজে পাইনি আমি। তাহলে কি আমার এই সুরা গুলো পড়া বিদআত হবে?আরও বলতে চাই যে, সকাল এ ঘুম থেকে উঠে লা হাওলা ওয়ালা কুওয়তা ইল্লা বিল্লাহ, দরুদ শরীফ, আয়াতুল কুরসি, পাঠের কি কোনো ফজীলত আছে নাকি এমনিতেই শুধু আল্লাহর যিকির এর অন্তর্ভুক্ত এগুলা?,

৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

ঢাকা ১২১৯

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم





রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেসব আমল করতেন সেগুলোকে মাসনূন আমল বলা হয়। আপনি আল্লাহর মহব্বতে কুরআনুল কারীমের আয়াত ও সূরা হিসেবে এগুলো যেকোন সময় আমল করতে পারেন। সুন্নতের নিয়ত নয়। তাহলে এই আমল বিদাআত হবে না ইনশাআল্লাহ।

এক সাহাবী সবসময় প্রতি রাকাতে সূরা ইখলাছ পড়তো। অথচ এটি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে প্রমাণিত নয়। নবীজি শুনে রাগাম্বির হননি। বরং ফযীলত শুনিয়েছেন এবং জেনেছেন লোকটি সূরা ইখলাস এর প্রতি মহব্বত রেখে এই আমল করত।

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي أُوَيْسٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ كَانَ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ يَؤُمُّهُمْ فِي مَسْجِدِ قُبَاءَ فَكَانَ كُلَّمَا افْتَتَحَ سُورَةً يَقْرَأُ لَهُمْ فِي الصَّلاَةِ فَقَرَأَ بِهَا افْتَتَحَ بِـ (قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ ) حَتَّى يَفْرُغَ مِنْهَا ثُمَّ يَقْرَأُ بِسُورَةٍ أُخْرَى مَعَهَا وَكَانَ يَصْنَعُ ذَلِكَ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ فَكَلَّمَهُ أَصْحَابُهُ فَقَالُوا إِنَّكَ تَقْرَأُ بِهَذِهِ السُّورَةِ ثُمَّ لاَ تَرَى أَنَّهَا تُجْزِيكَ حَتَّى تَقْرَأَ بِسُورَةٍ أُخْرَى فَإِمَّا أَنْ تَقْرَأَ بِهَا وَإِمَّا أَنْ تَدَعَهَا وَتَقْرَأَ بِسُورَةٍ أُخْرَى . قَالَ مَا أَنَا بِتَارِكِهَا إِنْ أَحْبَبْتُمْ أَنْ أَؤُمَّكُمْ بِهَا فَعَلْتُ وَإِنْ كَرِهْتُمْ تَرَكْتُكُمْ . وَكَانُوا يَرَوْنَهُ أَفْضَلَهُمْ وَكَرِهُوا أَنْ يَؤُمَّهُمْ غَيْرُهُ فَلَمَّا أَتَاهُمُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرُوهُ الْخَبَرَ فَقَالَ " يَا فُلاَنُ مَا يَمْنَعُكَ مِمَّا يَأْمُرُ بِهِ أَصْحَابُكَ وَمَا يَحْمِلُكَ أَنْ تَقْرَأَ هَذِهِ السُّورَةَ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ " . فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أُحِبُّهَا . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ حُبَّهَا أَدْخَلَكَ الْجَنَّةَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ ثَابِتٍ .

وَرَوَى مُبَارَكُ بْنُ فَضَالَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَجُلاً، قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أُحِبُّ هَذِهِ السُّورَةَْ (قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ ) فَقَالَ " إِنَّ حُبَّكَ إِيَّاهَا يُدْخِلُكَ الْجَنَّةَ " . حَدَّثَنَا بِذَلِكَ أَبُو دَاوُدَ سُلَيْمَانُ بْنُ الأَشْعَثِ حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ حَدَّثَنَا مُبَارَكُ بْنُ فَضَالَةَ بِهَذَا .

২৯০১. মুহাম্মাদ ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) ..... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেনঃ জনৈক আনছারী কুবা মসজিদের ইমামতি করতেন। তিনি নামাযে যখনই কিরাআত শুরু করতেন তখনই কুল হুওয়াল্লাহু পাঠের মাধ্যমে তা শুরু করতেন। এটি পাঠ করে ফারিগ হওয়ার পর এর সঙ্গে অন্য কোন সূরা মিলাতেন। প্রত্যেক রাকআতেই তিনি এই আচরণ করতেন। অনন্তর তাঁর সঙ্গীরা এই বিষয়ে তাঁর সঙ্গে আলোচনা করলেন। বললেনঃ আপনি এই সূরাটি পড়েন। পড়ে আবার নিজেই ভাবেন যে, এটি আপনার জন্য যথেষ্ট হয়নি। ফলে এর সঙ্গে অন্য সূরাও পাঠ করেন। সুতরাং আপনি এই সূরাটি পড়বেন, নয়ত এটি ছেড়ে অন্য কোন সূরা পড়বেন।

তিনি বললেনঃ আমি তো এটি ছাড়তে পারব না। যদি তোমরা পছন্দ কর যে, এই নিয়েই আমি তোমাদের ইমামতি করি, তবে তা করতে পারি। আর যদি পছন্দ না কর তবে তোমাদের (এই দায়িত্ব) ছেড়ে দিতে পারি। কিন্তু তারা তাকেই নিজেদের মধ্যে সর্বোত্তম বলে মনে করেন। আর তিনি ছাড়া অন্য কেউ তাঁদের ইমামত করবে তাও তারা অপছন্দ করেন। পরে যখন নবী (ﷺ) তাঁদের কাছে এলেন, তখন তাঁরা ব্যাপারটি সম্পর্কে তাঁকে অবহিত করলেন। তিনি (তাকে লক্ষ্য করে) বললেনঃ হে অমুক, তোমার সঙ্গীরা যে বিষয়ের নির্দেশ দিচ্ছে তা পালন করতে তোমাকে কিসে বারণ করছে? আর প্রত্যেক রাকআতে এই সূরা পড়তে কিসে তোমাকে উদ্বুদ্ধ করে?
তিনি বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্, আমি এটি ভালবাসি। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বললেনঃ এর প্রতি তোমার ভালবাসা তোমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে।বুখারি

উবাইদুল্লাহ্ ইবনে উমর ছাবিত বুনানী (রাহঃ) এর সূত্রে বর্ণিত রিওয়ায়াত হিসাবে এই সনদে হাদীসটি হাসান-গারীব সহীহ। মুবারক ইবনে ফাযালা (রাহঃ) ... ছাবিত আল বুনানী (রাহঃ) এর বরাতে আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বললঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্, আমি এই কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ সূরাটি পছন্দ করি। তিনি বললেনঃ এর প্রতি তোমার ভালবাসাটাই তোমাকে জান্নাতে দাখিল করাবে।

—জামে' তিরমিযী, ইফা নং ২৯০১

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ ইসহাক মাহমুদ
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৩৯১৬৩

বৃষ্টির পানি স্পর্শ করা কি সুন্নত এবং বৃষ্টির সময় নাকি দোয়া কবুল হয় ?


২৮ আগস্ট, ২০২৩

ঢাকা ১২০৫

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুসলিম বাংলা ইফতা বিভাগ

৫১১৩৪

আমিরুল মু'মিনিন আর খলিফা কি এক শব্দ?


১৬ মে, ২০২৪

নারায়ণগঞ্জ

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ ইসহাক মাহমুদ

৫৬২৮০

২০+ দিন কি কারো হায়েজ হতে পারে?!!


২৮ মার্চ, ২০২৪

চট্টগ্রাম

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

৫০৩০৫

শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে বাঁচার উপায়


৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩

চাঁদপুর

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি জাওয়াদ তাহের

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy