আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ১৩২৬৫. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম, হযরত কেমন আছেন। আমার এক খালাতো বোন আছে। তার নাম দিপা। তার বয়স ২৫-২৬ বছর। তার না অনেক সমস্যা বা রোগ। সে ছোট থেকে হেপাটাইটিস রোগে আক্রান্ত। চিকিৎসা নেওয়ার পরে হেপাটাইটিস রোগ ভালো হয়। কিন্তু পরে ১ বছর ঔষধ সেবন করা বন্ধ ছিল। তারপর আবার রোগটা বেরে যায়। এখনও ভালো হয় নাই। এই কয়েকদিন ধরে সে বলতেছে যে তার নাকি শরীর টা বেশি খারাপ। শরীর নাকি ভার ভার লাগে। কয়েক দিন আগে সারা শরীরে বরনে মতো কী যেন হয়ে ভরে গেয়েছিল। তারপর সেইগুলো ভালো হয় । কিন্তু সারা শরীর কালো হয়ে যায়। তার এখনও বিয়ে হয় নাই। অনেক চেষ্টা করতেছে কিন্তু বিয়ে দিতে পারছে না। সে ছোট থেকে ঘুমের মধ্যে কথা বলে, আবার মাঝে মধ্যে চিৎকার দিয়ে উঠে, তার পাশে কেউ ঘুমাতে পারে না, পাশে থাকা মানুষকে মারে, আাবার ঘুমের মধ্যে শক্ত হয়ে থাকে। এই কয়েক দিন ধরে ঘুমে সপ্নের মধ্যে শুধু মিষ্টি খায়। এর জন্য অনেক কবিরাজ দেখানো হয় সবাই বলে তার সাথে খারাপ কোনো শক্তি আছে। সে তার কাছে আসতে চায়। সে তার কাছে আসতে পারে না। কারণ আপু নামাজ পড়ে, কুরআন শরীফ তেলওয়াত করে ইত্যাদি। সে তার বিয়ে হতে দেয় না। দূরের থেকে ক্ষতি করার চেষ্টা করে। তাই এখন এই সমস্যা, রোগ বা এই অশুভ শক্তি থেকে বাচার আমল কী? আসসালামু আলাইকুম,

৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

ঢাকা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم





সম্মানিত প্রশ্নকারী!
আল্লাহ তায়ালা তাকে সুস্থ করে দিন। মানব জীবনে মানুষের সমস্যার অভাব নেই ।প্রতিটি মানুষই কিছু না কিছু সমস্যায় জর্জরিত। আল্লাহ তায়ালাই মানুষকে বিপদ দেন এবং আবার তিনিই বিপদ থেকে উদ্ধার করেন। কাজেই আল্লাহ তায়ালার রহমত থেকে নিরাশ হবেন না।

বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এবং অভিজ্ঞ আমলদার আমেলের মাধ্যমে নিয়মিত চিকিৎসা চালিয়ে যান।

সাধ্যমতো দান সদকা করুন। কেননা দানের মাধ্যমে অনেক বিপাদাপদ দূর হয়।

তিনি যেন সর্বদা অজু ও নেক আমলের সাথে থাকার চেষ্টা করেন। অন্যান্য ইবাদাতের সাথে অধিক পরিমানে আল্লাহ তায়ালার যিকির করেন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পরের তাসবিহ, ফজর মাগরিবের পরের তাসবিহ, সকাল সন্ধার আমলগুলো নিয়মিত করবেন। রাতে ঘুমানের আগে অজু করে তিনবার সুরা ইখলাস, তিনবার সুরা নাস এবং তিনবার সুরা ফালাক পড়ে শরীরে ফুঁ দিবেন, আয়াতুল কুরসি, সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত, সূরা মুলক, সূরা কাফিরূন, ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আল হামদুলিল্লাহ, ৩৪ বার আল্লাহু আকবার পড়ে তারপর ঘুমের দুআসমূহ পড়ে ঘুমাবেন।
ইনশাআল্লাহ আশা করি ওই সমস্যাগুলো আর হবে না।

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর

প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

১৯৪৫০

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামুয়ালাইকুম।কি কি লক্ষন দেখলে বুঝব যে আমি বদনজরে আক্রান্ত?

২০ জুলাই, ২০২২

নারায়ণগঞ্জ ১৪০০

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি মোঃ ইমদাদুল হক

১৪০৫২

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, কি লখন দেখলে বঝা যায় যে জিনে আছর করেছে এবং জিনের আছর থেকে বাচার আমল কি

২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

নামবিহীন রাস্তা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী মুহাম্মাদ রাশেদুল ইসলাম

১২৩৪২

হিজামা সম্পর্কে ইসলাম কি বলে?


১৬ জুন, ২০২৪

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী মুহাম্মাদ রাশেদুল ইসলাম

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy