আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

ওসিলা ধরে দোয়া করার বিধান

প্রশ্নঃ ১১৭৩৯. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, শায়খ দোয়ার মধ্যে ওলি আউলিয়াদের উছিয়ালা চেয়ে দোয়া কারা কী যায়েজ,যেমন আল্লাহ ৩৬০আউলিয়া আল্লাহ তোমার মায়ার বান্দা দের উছিয়ালাই আমার দোয়া কবুল করো, বা,রাসূল (স.)এর খাতিরে আমাদের ক্ষমা করুন বা তোমার মায়ার বান্দা দের খাতিরে আমাকে ক্ষমা করুন🤲এরুপ দোয়া করা কী জায়েজ,

১২ অক্টোবর, ২০২৪

নামবিহীন রাস্তা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


নবী-ওলীদের উসিলা দিয়ে দোয়া করা শরীয়তে জাযেজ আছে। এতে কোনো অসুবিধা নেই।
রাসুলুল্লাহ (সা.) এর উসিলা দিয়ে দোয়া করা বৈধ ও উত্তম কাজ। এমনিভাবে সাহাবা-তাবেয়ীসহ আল্লাহওয়ালা ব্যক্তিদের উসিলা দিয়েও দোয়া করা বৈধ।

তবে উসিলার দুটি অর্থ রয়েছে-

১. সরাসরি মাধ্যম গ্রহন। (আল্লাহর দরবারে দোয়া গৃহিত হওয়ার জন্য গাইরুল্লাহকে আল্লাহর সহকারী মনে করে তাদের কাছে সাহায্য ও সুপারিশ চাওয়া এবং তাদের কারো কাছে আশা পূরণের আবেদন করা, আল্লাহ ও নিজের মাঝে মধ্যস্থতাকারী মাধ্যম হিসেবে গ্রহন করা যেমনটা কাফেররা তাদের দেবতাদের ক্ষেত্রে গ্রহন করতো)

২. বরকতময় সত্ত্বা ও গুনের দোহাই দেয়া।

প্রথম অর্থে উসিলা গ্রহন সর্বসম্মতিক্রমে অবৈধ। আমাদের ফকীহ মুজতাহিদরা ওই মাসআলাটা মূলত ‘ইস্তিগাছা’ শিরোনামের অধীনে আলোচনা করেছেন।

দ্বিতীয় অর্থে উসিলা বৈধ। কারন তখন ‘হে আল্লাহ, রাসুলের উসিলায়/আউলিয়াদের উসিলায় আপনি আমাদের কবুল করে নিন’ বলার অর্থ হচ্ছে, ‘হে আল্লাহ, রাসুল (সা.) আপনার প্রিয় এবং আমরা আপনার সেই প্রিয়জনকে ভালোবাসি। আপনার প্রিয়জনও আমাদেরকে ভালোবাসতেন। আপনার প্রিয়জনের প্রিয়জন হিসেবে, অনুগত উম্মত হিসেবে আমাদের ওপরে রহম করুন, আমাদের দোয়া কবুল করুন।

আমরা আপনার অনুগত ও প্রিয় বান্দা হিসেবে আপনার ওলীদেরকে ভালোবাসি। আপনার প্রিয় বান্দাদের প্রতি এই ভালোবাসার উসিলায় আপনি আমাদের দোয়া কবুল করুন।’

কারন এই সূরতে (অর্থাৎ দ্বিতীয় অর্থে) গাইরুল্লাহের সাহায্য নেয়া হচ্ছেনা বরং হুব্বে রাসূলের/হুব্বে আউলিয়ার দোহাই দেয়া হচ্ছে। সহীহ হাদিসের আলোকে হুব্বু ফিল্লাহ হিসেবে যা মূলত ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত। আর ইবাদতের দোহাই দিয়ে দোয়া করা বুখারীর হাদিসের আলোকে বৈধ!

একবার হযরত ওমর ফারুক (রা.) দুর্ভিক্ষের সময় হযরত আব্বাস (রা.)-এর উসিলা দিয়ে বৃষ্টির জন্য দোয়া করেছিলেন। (খাইরুল ফাতাওয়া, ১৯৭)

হজরত উমাইয়া (রা.) থেকে বর্ণিত যে, হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয় সাল্লাম নিজে ফকির ও মুহাজিরদের উসিলা দিয়ে যুদ্ধে জয়লাভ করার জন্য দোয়া করেছেন।

এছাড়া আরো অনেক হাদিস দ্বারাও উসিলা দেওয়ার কথা প্রমাণিত আছে। (মিশকাত শরীফ, ৪৩৯, খাইরুল ফাতাওয়া ১; ১৯৩, আবু দাউদ শরীফ, ৪৩৯)

তবে বর্তমান ফিতনা-ফাসাদের যুগে মানুষদের মধ্যে আকিদার জ্ঞান না থাকায় অনেকে এমন এমন কথা বলে, যাতে ঈমান চলে যাওয়ার আশংকা থাকে। অনেক পীর-বুজুর্গকে সমস্যা সমাধানকারী বিশ্বাস করে। তাদের কাছে প্রার্থনা করে অনেকে বহক্কে আব্দুল কাদির জিলানী, বহকে খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী বলে দোয়া করে থাকে। অথচ এভাবে দোয়া করা নিষেধ। (তারিখে খতীব- ১; ২৩)

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুসলিম বাংলা ফাতওয়া বিভাগ

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৯২২০০

খতমে তারাবীহ কি বিদআত?


৩ মার্চ, ২০২৫

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী শাহাদাত হুসাইন ফরায়েজী

৯১৩৬৩

তলাবায়ে কেরাম যেন নিজের ‘শুরু’ না ভোলেন


২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

ভৈরব

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী শাহাদাত হুসাইন ফরায়েজী

১৪১৩০

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমরা অনেক সময় লক্ষ করি অনেক আলেম দের নামের পর দা:বা: লেখা হয় ।এই শব্দটির অর্থ কী...

২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

রংপুর

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মোহাম্মদ আমীর হোসাইন, মুফতি ও মুহাদ্দীস,

৩৪১৯৩

কবর বা মাজারে ফুল দেওয়া যাবে কি?


৩ জুন, ২০২৩

ওয়েস্ট বেঙ্গল

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy