আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

মৃত্যুর আগে সকল সম্পত্তি দান করা

প্রশ্নঃ ১১৭১৭. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমার প্রশ্ন হলো। (১) কোন ব্যাক্তির যদি সন্তান না থাকে তাহলে সে কি মৃত্যুর আগে তার সমস্ত সম্পদ দান করতে পারবে কি না? (২) কেন ব্যাক্তির ১টা মেয়ে আর কেন সন্তান নেই। সেই ব্যক্তি মৃত্যুর আগে তার সমস্ত সম্পদ মেয়ের নামে লিখে দিয়ে যেতে পারবে কি না? কোরআন হাদিসের আলোকে জানতে চাই।,

২২ জানুয়ারী, ২০২৫

রাজৈর

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


মৃত্যুর আগে সকল সম্পত্তি দান করে দেয়া উচিত নয়। কেননা তার হায়াত কতদিন আছে সেটি আল্লাহ তায়ালা ভালো জানে। সকল সম্পত্তি দান করে এরপর যদি তার হায়াত দীর্ঘ হয় তখন কি সে ভিক্ষাবৃত্তি করে বেড়াবে?
আর যখন লোকটি মৃত্যুমুখে পতিত হলো, মুমূর্ষ অবস্থায় উপনীত হলো সেই মুহূর্তে তার দান প্রযোজ্য নয়। সেই সময় সে ওসিয়ত করতে পারে।
শরীয়তের নীতিমালা হলো, সম্পত্তির এক-তৃতীয়াংশের মধ্যে ওসিয়ত প্রযোজ্য হবে। এর বেশি নয়।

حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ جَاءَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَعُودُنِي وَأَنَا بِمَكَّةَ، وَهْوَ يَكْرَهُ أَنْ يَمُوتَ بِالأَرْضِ الَّتِي هَاجَرَ مِنْهَا قَالَ ‏"‏ يَرْحَمُ اللَّهُ ابْنَ عَفْرَاءَ ‏"‏‏.‏ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ، أُوصِي بِمَالِي كُلِّهِ قَالَ ‏"‏ لاَ ‏"‏‏.‏ قُلْتُ فَالشَّطْرُ قَالَ ‏"‏ لاَ ‏"‏‏.‏ قُلْتُ الثُّلُثُ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَالثُّلُثُ، وَالثُّلُثُ كَثِيرٌ، إِنَّكَ أَنْ تَدَعَ وَرَثَتَكَ أَغْنِيَاءَ خَيْرٌ مِنْ أَنْ تَدَعَهُمْ عَالَةً يَتَكَفَّفُونَ النَّاسَ فِي أَيْدِيهِمْ، وَإِنَّكَ مَهْمَا أَنْفَقْتَ مِنْ نَفَقَةٍ فَإِنَّهَا صَدَقَةٌ، حَتَّى اللُّقْمَةُ الَّتِي تَرْفَعُهَا إِلَى فِي امْرَأَتِكَ، وَعَسَى اللَّهُ أَنْ يَرْفَعَكَ فَيَنْتَفِعَ بِكَ نَاسٌ وَيُضَرَّ بِكَ آخَرُونَ ‏"‏‏.‏ وَلَمْ يَكُنْ لَهُ يَوْمَئِذٍ إِلاَّ ابْنَةٌ‏.‏

সা‘দ ইব্‌নু আবূ ওয়াক্‌কাস রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত:
তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম একবার আমাকে রোগাক্রান্ত অবস্থায় দেখতে আসেন। সে সময় আমি মক্কায় ছিলাম। কোন ব্যক্তি যে স্থান থেকে হিজরত করে, সেখানে মৃত্যুবরণ করাকে তিনি অপছন্দ করতেন। এজন্য তিনি বলতেন, আল্লাহ্ রহম করুন ইব্‌নু আফরা-র উপর। আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমি কি আমার সমুদয় মালের ব্যাপারে অসীয়ত করে যাব? তিনি বললেন, না। আমি বললাম, তবে অর্ধেক? তিনি ইরশাদ করলেন, না। আমি বললাম, তবে এক তৃতীয়াংশ? তিনি ইরশাদ করলেন, (হ্যাঁ) এক তৃতীয়াংশ, আর এক তৃতীয়াংশও অনেক। ওয়ারিসগণকে দরিদ্র পরমুখাপেক্ষী করে রেখে যাবার চেয়ে ধনী অবস্থায় রেখে যাওয়া উত্তম। তুমি যখনই কোন খরচ করবে, তা সদকারূপে গণ্য হবে। এমনকি সে লোকমাও যা তোমার স্ত্রীর মুখে তুলে দিবে। হয়ত আল্লাহ্‌ তা‘আলা তোমার মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন এবং লোকেরা তোমার দ্বারা উপকৃত হবেন, আবার কিছু ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
সে সময় তার একটি মাত্র কন্যা ব্যতীত কেউ ছিল না।
—সহীহ বুখারী, হাদীস নং ২৭৪২

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ ইসহাক মাহমুদ
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর

প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

২০৯৯০

মসজিদে ভিক্ষাবৃত্তি


২২ জানুয়ারী, ২০২৫

চট্টগ্রাম

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শফিকুল ইসলাম হাটহাজারী

১৩৭৯৮

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, মসজিদে দান করা নাকি এতিম খানায় দান করা উত্তর??

১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

ঢাকা ১২১২

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

৭৬৪৭৫

মসজিদের টাকা দিয়ে আজীবন সদস্যদের খাবারের ব্যবস্থা করা


২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী নাঈম সিদ্দীকী বিন আব্দুস সাত্তার

১৬৫২৫

পেশাদার ভিক্ষুক


২২ জানুয়ারী, ২০২৫

Chittagong

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy