আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

রবিউল আউয়াল মাসের করণীয়

প্রশ্নঃ ১১২৪৩৩. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, মুহতারাম, রবিউল আউয়াল মাসে আমাদের কি কোন করণীয় আছে? আগামীকাল থেকে তো রবিউল আউল মাস শুরু হবে।

২৬ জুলাই, ২০২৫
ঢাকা ১২০৭

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


রবিউল আউয়াল ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ মাসগুলোর একটি। এই মাসেই মানবজাতির জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত, নবী মুহাম্মদ ﷺ দুনিয়াতে আগমন করেছেন। পাশাপাশি তাঁর ইন্তিকালও সংঘটিত হয়েছে এই মাসে। ইসলামে এই মাসকে বিশেষ কোনো ইবাদত বা উৎসবের মাস হিসেবে নির্ধারণ করা হয়নি। বরং মুসলিমদের জন্য করণীয় হলো নবী ﷺ-এর শিক্ষাকে আঁকড়ে ধরা, তাঁর আনুগত্য করা এবং তাঁর আনা দ্বীনের অনুসরণ করা। অতএব, রবিউল আউয়াল মাসে আমাদের কর্তব্য হলো নবী ﷺ-এর জীবন ও আদর্শ সম্পর্কে গভীরভাবে জানা এবং তাঁর সুন্নাহ অনুযায়ী জীবন গঠন করা, আর বর্জনীয় হলো এমন সব নতুন উদ্ভাবিত অনুষ্ঠান ও কর্ম, যা তিনি নিজে করেননি এবং সাহাবিরাও পালন করেননি।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই! কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে এ মাসের সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো বিশেষ আমলের প্রমাণ নেই। তাই এ মাসকে কেন্দ্র করে নিজের পক্ষ থেকে আমল ও ইবাদতের বিধান তৈরি করা শরিয়তে সংযোজন, যা সম্পূর্ণরূপে নাজায়েজ।

রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর মহিমান্বিত স্মরণ সর্বোচ্চ ইবাদতগুলোর একটি; বরং এটি ঈমানের প্রাণসত্তা। তাঁর জন্ম, শৈশব, যৌবন, নবুওয়াত প্রাপ্তি, দাওয়াত, জিহাদ, ইবাদত ও সালাত, তাঁর চরিত্র ও আচার-আচরণ, তাঁর রূপ ও সীরাত, তাঁর যুহদ ও তাকওয়া, শান্তি ও যুদ্ধ, অসন্তোষ ও ক্রোধ, রহমত ও স্নেহ, হাসি ও মৃদু হাসি, তাঁর ওঠা-বসা, চলাফেরা, ঘুম ও জাগরণ; সংক্ষেপে, তাঁর প্রতিটি অঙ্গভঙ্গি ও প্রতিটি স্থিরতা-চলন উম্মতের জন্য উত্তম আদর্শ এবং পরিপূর্ণ হিদায়াতের উৎস। আর এগুলো শেখা-শেখানো, আলোচনা করা এবং তার দিকে আহ্বান জানানো উম্মতের জন্য এক অপরিহার্য কর্তব্য।

আমাদের দেশে রবিউল আউয়াল মাস মানেই ভিন্নধর্মী একটি রুপ। ভালোবাসার নামে শরীয়তে মনগড়া কাজের আঞ্জাম। নি:সন্দেহে এটি নিকৃষ্ট বেদআত।

“রবিউল আউয়াল মাসের প্রচলিত কিছু রীতি ও ভুল ধারণা”
১. ১২ রবিউল আউয়ালে নবী ﷺ-এর জন্য ঈসালে সাওয়াব নির্দিষ্ট করা।
পর্যালোচনাঃ নবী ﷺ-এর প্রতি ঈসালে সাওয়াব পাঠানো নিঃসন্দেহে সওয়াবের কাজ এবং সময় ও স্থানের কোনো সীমাবদ্ধতা ছাড়াই এটি করা যায়। বরং নবী ﷺ-এর প্রতি উম্মতের এমন ঋণ রয়েছে যে, জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে ঈসালে সাওয়াব করা হলেও তাঁর হক আদায় হবে না। কিন্তু শুধুমাত্র ১২ রবিউল আউয়ালকে এ কাজের জন্য নির্দিষ্ট করা এবং অন্য সময় এতে উদাসীন থাকা শরীয়তে ভিত্তিহীন এবং বড় বঞ্চনার বিষয়। এটি অমুসলিমদের জন্মদিন বা মৃত্যুবার্ষিকী পালনের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ, যার অনুকরণ থেকে রাসূল ﷺ নিষেধ করেছেন।

২. ১২ রবিউল আউয়ালে বিশেষভাবে খাবার বিতরণ করা।
পর্যালোচনাঃ এই দিনকে কেন্দ্র করে বিশেষ খাবার রান্না করে বিতরণ করাকে আবশ্যক মনে করা এবং এটিকে দ্বীনের অংশ বানানো বিদআত। এ প্রথা বন্ধ করার জন্য এমন খাবার গ্রহণ না করাই শ্রেয়। তবে যদি অজান্তে এমন কোনো খাবার আসে এবং খেয়ে ফেলা হয়, তাতে গুনাহ হবে না। তবে মনে রাখতে হবে, যদি ওই খাবার কোনো অল্লাহ ছাড়া অন্য কারও নামে দেওয়া হয় বা অন্যের নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে হয়, তবে তা মুসলমানের জন্য হারাম। আর সাধারণ মানুষের মধ্যে সঠিক আকিদার অজ্ঞতা থাকার কারণে কার উদ্দেশ্যে খাবার দেওয়া হয়েছে তা নির্ধারণ কঠিন, তাই এমন খাবার থেকে বিরত থাকাই উত্তম।

৩. ১২ রবিউল আউয়ালে বিশেষভাবে রোজা রাখা।
পর্যালোচনাঃ সহীহ হাদীসে এসেছে, নবী ﷺ সোমবারে রোজা রাখতেন এবং বলেছিলেন: “এই দিনে আমার জন্ম হয়েছে এবং এই দিনেই আমার উপর ওহি নাজিল হয়েছে।” (সহীহ মুসলিম)
এছাড়া তিনি বলেছেন: “সোমবার ও বৃহস্পতিবারে মানুষের আমল আল্লাহর দরবারে পেশ করা হয়, আমি পছন্দ করি আমার আমল যেন রোজার অবস্থায় পেশ হয়।” (তিরমিজি: ৭৪৭)
অতএব, সোমবারে রোজা রাখা সুন্নাহ এবং সারা বছরই তা পালন করা যায়। কিন্তু শুধু ১২ রবিউল আউয়ালকে জন্মদিনের কারণে রোজার জন্য নির্দিষ্ট করা বিদআত।

৪. ১২ রবিউল আউয়ালে ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ রাখা।
পর্যালোচনাঃ কেউ কেউ এ দিনে ব্যবসা বন্ধ রাখে এবং মনে করে এদিন ব্যবসা করা গুনাহ। অথচ শরীয়তে এ বিষয়ে কোনো বিশেষ নির্দেশ নেই। কেউ যদি স্বাভাবিকভাবে ছুটি নেয় বা প্রশাসনিক কারণে ছুটি হয়, তাতে সমস্যা নেই। কিন্তু একে ইবাদত মনে করা বা সওয়াবের কাজ মনে করা ভিত্তিহীন।

৫. রবিউল আউয়াল মাসের আগমন উপলক্ষে বিশেষ শুভেচ্ছা প্রচার।
পর্যালোচনাঃ কিছু লোক এ মাস শুরু হলে একটি কথিত হাদীস প্রচার করে: “যে ব্যক্তি এই মাসের আগমন উপলক্ষে সবার আগে শুভেচ্ছা জানাবে, তার উপর জাহান্নামের আগুন হারাম হবে।”
এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও মনগড়া বর্ণনা। এর কোনো সনদ হাদীসের কিতাবে নেই এবং এটি যে বানানো, তার স্পষ্ট প্রমাণ বিদ্যমান। তাই এ কথাটি রাসূল ﷺ-এর সঙ্গে সম্পৃক্ত করা হারাম।

শরঈ দলীলঃ
سنن أبي داؤد: (کتاب اللباس، باب في لبس الشھرۃ، رقم: 4031)
عن ابن عمر رضي اللّٰہ عنہما قال: قال رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم: من تشبہ بقوم فہو منہم۔

رد المحتار: (244/2، ط: دار الفکر، بیروت)
مطلب في إهداء ثواب القراءة للنبي صلى الله عليه وسلم تتمة ذكر ابن حجر في الفتاوى الفقهية أن الحافظ ابن تيمية زعم منع إهداء ثواب القراءة للنبي لأن جنابه الرفيع لا يتجرأ عليه إلا بما أذن فيه وهو الصلاة عليه وسؤال الوسيلة له ۔ قال وبالغ السبكي وغيره في الرد عليه بأن مثل ذلك لا يحتاج لإذن خاص ألا ترى أن ابن عمر كان يعتمر عنه عمرا بعد موته من غير وصية وحج ابن الموفق وهو في طبقة الجنيد عنه سبعين حجة وختم ابن السراج عنه أكثر من عشرة آلاف ختمة وضحى عنه مثل ذلك اه
قلت رأيت نحو ذلك بخط مفتي الحنفية الشهاب أحمد بن الشلبي شيخ صاحب البحر عن شرح الطيبة للنويري ومن جملة ما نقله أن ابن عقيل من الحنابلة قال يستحب إهداؤها له اه
قلت وقول علمائنا له أن يجعل ثواب عمله لغيره يدخل فيه النبي فإنه أحق بذلك حيث أنقذنا من الضلالة ففي ذلك نوع شكر وإسداء جميل له والكامل قابل لزيادة الكمال۔

کذا في فتاويٰ عزیزي: (ص: 199، ط: سعید، کراتشي)

الاعتصام للشاطبي: (53/1، ط: دار ابن عفان)
ومنها: التزام العبادات المعينة في أوقات معينة لم يوجد لها ذلك التعيين في الشريعة، كالتزام صيام يوم النصف من شعبان وقيام ليلته.

الاعتصام للشاطبي: (389/1، ط: دار ابن عفان، السعودية)
إِذَا ثَبَتَ هَذَا؛ فَالدُّخُولُ فِي عَمَلٍ عَلَى نِيَّةِ الِالْتِزَامِ لَهُ، إِذَا ثَبَتَ هَذَا، فَالدُّخُولُ فِي عَمَلٍ عَلَى نِيَّةِ الِالْتِزَامِ لَهُ إِنْ كَانَ فِي الْمُعْتَادِ، بِحَيْثُ إِذَا دَاوَمَ عَلَيْهِ؛ أَوْرَثَ مَلَلًا، يَنْبَغِي أَنْ يُعْتَقَدَ أَنَّ هَذَا الِالْتِزَامَ مَكْرُوهٌ ابْتِدَاءً، إِذْ هُوَ مُؤَدٍّ إِلَى أُمُورِ جَمِيعُهَا مَنْهِيٌّ عَنْهُ:
أَحَدُهَا: أَنَّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ أَهْدَى فِي هَذَا الدِّينِ التَّسْهِيلَ وَالتَّيْسِيرَ، وَهَذَا الْمُلْتَزِمَ يُشْبِهُ مَنْ لَمْ يَقْبَلْ هَدِيَّتَهُ، وَذَلِكَ يُضَاهِي رَدَّهَا عَلَى مُهْدِيهَا، وَهُوَ غَيْرُ لَائِقٍ بِالْمَمْلُوكِ مَعَ سَيِّدِهِ، فَكَيْفَ يَلِيقُ بِالْعَبْدِ مَعَ رَبِّهِ؟ ۔۔۔۔۔وَالْخَامِسُ): الْخَوْفُ مِنَ الدُّخُولِ تَحْتَ الْغُلُوِّ فِي الدِّينِ؛ فَإِنَّ الْغُلُوَّ هُوَ الْمُبَالَغَةُ فِي الْأَمْرِ، وَمُجَاوَزَةُ الْحَدِّ فِيهِ إِلَى حَيِّزِ الْإِسْرَافِ،

الاعتصام للشاطبي: (391/1، ط: دار ابن عفان، السعودية)
فصل مِنَ الْبِدَعِ الْإِضَافِيَّةِ إِخْرَاجُ الْعِبَادَةِ عَنْ حَدِّهَا الشَّرْعِيِّ
وَمِنَ الْبِدَعِ الْإِضَافِيَّةِ الَّتِي تَقْرُبُ مِنَ الْحَقِيقِيَّةِ: أَنْ يَكُونَ أَصْلُ الْعِبَادَةِمَشْرُوعًا؛ إِلَّا أَنَّهَا تُخْرَجُ عَنْ أَصْلِ شَرْعِيَّتِهَا بِغَيْرِ دَلِيلٍ تَوَهُّمًا أَنَّهَا بَاقِيَةٌ عَلَى أَصْلِهَا تَحْتَ مُقْتَضَى الدَّلِيلِ، وَذَلِكَ بِأَنْ يُقَيَّدَ إِطْلَاقُهَا بِالرَّأْيِ، أَوْ يُطْلَقَ تَقْيِيدُهَا، وَبِالْجُمْلَةِ؛ فَتَخْرُجُ عَنْ حَدِّهَا الَّذِي حُدَّ لَهَا.۔۔۔۔ وَمِنْ ذَلِكَ قِرَاءَةُ الْقُرْآنِ بِهَيْئَةِ الِاجْتِمَاعِ عَشِيَّةَ عَرَفَةَ فِي الْمَسْجِدِ لِلدُّعَاءِ تَشَبُّهًا بِأَهْلِ عَرَفَةَ.

نفع المفتي و السائل: (ص:134) کذا في فتاويٰ رحیمیة: (203/2، ط: دار الا شاعت) کذا فی احسن الفتاويٰ: (361/1، ط: سعید)
ان ختم القرآن بالجماعۃ جہرا ویسمی بالفارسیۃ سیپارہ خواندن مکروہ

الموسوعة الفقھیة الکویتیة: (21/8، ط: دار السلاسل)
أطلق أصحاب الاتجاه الأول البدعة على كل حادث لم يوجد في الكتاب والسنة، سواء أكان في العبادات أم العادات، وسواء أكان مذموما أم غير مذموم.

رأس السنة هل نحتفل؟: (84/1، ط: دار الخلفاء الراشدين)
وإما أن تكون التهنئة في أزمان معينة كالأعياد والأعوام والأشهر والأيام، وهذا يحتاج إلى بيان وتفصيل، وتفصيله كما يلي:
- أما الأعياد عيد الأضحى وعيد الفطر فهذا واضح لا إشكال فيه وهو ثابت عن جمع من الصحابة.
- وأما الأعوام فكالتهنئة بالعام الهجري الجديد أو ما يسمى رأس السنة الهجرية.
- وأما الأشهر فكالتهنئة بشهر رمضان، وهذا له أصل والخلاف فيه مشهور.
- وأما الأيام فكالتهنئة بيوم ميلاد النبي - صلى الله عليه وآله وسلم - أو بيوم الإسراء والمعراج وما شابه ذلك، والحكم فيه معروف وهو من البدع لارتباطه بمناسبات دينية مبتدعة.
وكل هذه التهاني ماعدا الأول منها لم يثبت فيها شيء عن النبي - صلى الله عليه وآله وسلم - ولا عن الصحابة الكرام ولا عن أحد من السلف مع أن موجبها انعقد في زمن النبي - صلى الله عليه وآله وسلم - والصحابة - رضي الله عنهم - ولم يوجد المانع ومع ذلك لم ينقل عن أحد منهم أنه فعل ذلك بل قصروا التهنئة على العيدين فقط۔

صحیح مسلم: (کتاب الصیام: باب استحباب صیام ثلاثة ایام، رقم الحدیث: 2746) سنن ابي داؤد: (باب صوم الدھر تطوعاً، رقم الحدیث:2426) مسند احمد: (297/5، ط: عالم الکتب، بیروت)
عن ابي قتادة الانصاري رضي الله عنه، رسول الله صلى الله عليه وسلم: سئل عن صومه، قال: " فغضب رسول الله صلى الله عليه وسلم "، فقال عمر رضي الله عنه: رضينا بالله ربا وبالإسلام دينا وبمحمد رسولا وببيعتنا بيعة، قال: فسئل عن صيام الدهر، فقال: " لا صام ولا افطر، او ما صام وما افطر "، قال: فسئل عن صوم يومين وإفطار يوم، قال: " ومن يطيق ذلك "، قال: وسئل عن صوم يوم وإفطار يومين، قال: " ليت ان الله قوانا لذلك "، قال: وسئل عن صوم يوم وإفطار يوم، قال: " ذاك صوم اخي داود عليه السلام "، قال: وسئل عن صوم يوم الاثنين، قال: " ذاك يوم ولدت فيه، ويوم بعثت او انزل علي فيه "، قال: فقال: " صوم ثلاثة من كل شهر، ورمضان إلى رمضان صوم الدهر "، قال: وسئل عن صوم يوم عرفة، فقال: " يكفر السنة الماضية والباقية "، قال: وسئل عن صوم يوم عاشوراء، فقال: " يكفر السنة الماضية "
سنن الترمذي: (رقم الحدیث: 747)
فتاويٰ محمودیة: (201/10، ط: ادارۃ الفاروق، کراتشي)
فتاويٰ محمودیة: (222/3، ط: ادارۃ الفاروق، کراتشي)
https://muslimbangla.com/article/869

والله اعلم بالصواب

শাহাদাত হুসাইন ফরায়েজী মুফতী, ফাতাওয়া বিভাগ, মুসলিম বাংলা লেখক ও গবেষক, হাদীস বিভাগ, মুসলিম বাংলা খতীব, রৌশন আলী মুন্সীবাড়ী জামে মসজিদ, ফেনী

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন