আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ১১১৪৫. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমার আমার পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিজ আছে। এ কারনে আমার মাসিক এর সময়সীমা অনিয়মিত। কোন মাসে ৫ দিন,কোন মাসে ৭ দিন, কোন মাসে ৯/১০ দিন ও থাকে। আমি মাসিক বন্ধ যে দিন হবে সেই দিন থেকেই কি নামাজ পড়তে পারবো বা রোজা রাখতে পারবো?? নাকি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আমাকে অপেক্ষা করতে হবে?? আর যদি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত নামাজ রোজা না করতে পারি তবে আমার ক্ষেত্রে সময়সীমা কত দিনের হবে?? আসসালামু আলাইকুম,

৬ ডিসেম্বর, ২০২১

নারায়ণগঞ্জ

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েজ (মাসিক) এর সর্বনিম্ন সময় হলো তিন দিন এবং সর্বোচ্চ সময়সীমা হলো দশ দিন।
তিন দিনের কম বা ১০ দিনের বেশী সময় ধরে ব্লিডিং হয় তাহলে সেটা ইস্তেহাযা বা
স্বাভাবিক অসুস্থতা বলে গন্য হবে।

হাদীস শরীফে এসেছে
عن ابی امامة الباھلی قال قال رسول اللہ ۖ لایکون الحیض للجاریة والثیب الذی قد ایئست من الحیض اقل من ثلاثة ایام ولا اکثر من عشرة ایام فاذا رأت الدم فوق عشرة ایام فھی مستحاضة فمازاد علی ایام اقرائھا قضت ودم الحیض اسود خائر تعلوہ حمرة ودم المستحاضة اصفر رقیق (دار قطنی ، نمبر ٨٣٤)

অন্যত্রে এসেছে
( ٢)عن واثلة بن الاسقع قال قال رسول اللہ ۖ اقل الحیض ثلاثة ایام و اکثرہ عشرة ایام ۔(دار قطنی، کتاب الحیض ، ج اول ،ص ٢٢٥ ٨٣٦)

যার সারমর্ম হলো হায়েজ (মাসিক) এর সর্বনিম্ন সময় হলো তিন দিন,সর্বোচ্চ সময়সীমা হলো দশ দিন।

সুতরাং আপনার যেহেতু হায়েযের নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই,তাই যখনই আপনার হায়েজ (মাসিক) শুরু হবে, তখন থেকে আপনি নামাজ,কুরআন তেলাওয়াত বন্ধ করে দিবেন।

যদি ৩ দিনের কম সময়েই রক্ত আসা বন্ধ হয়ে যায়,তাহলে আপনি উক্ত দিনগুলোকে ইস্তেহাযা ধরে নিয়ে উক্ত নামাজসমূহের কাজা করে নিবেন।

আর যদি ১০ দিনের বেশি রক্ত আসে,তাহলে ১০ম দিনের পরবর্তী নামাজগুলো আদায় করতে হবে।

তবে দশদিন আগেই যদি মনে হয় যে ব্লিডিং বন্ধ হয়ে গেছে এবং পুনরায় ফিরে আসার সম্ভবনা নাই তাহলে দ্রুত গোসল করে নামাজ-রোজা শুরু করে দিতে হবে।

والله اعلم بالصواب

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর

প্রসঙ্গসমূহ: