প্রশ্নঃ ১১০৯৭. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, চাশত, ইশরাক এবং আওবীনের সালাত কী একই?? যদি ভিন্ন হয় তবে পার্থক্য কী??,
২ ডিসেম্বর, ২০২১
দৌলতপুর
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
ইশরাক, চাশত, আউয়াবীন ও তাহাজ্জুদ নামায নফল পর্যায়ের। রাসূলুল্লাহ (সা.) ফরজ, ওয়াজিব ও সুন্নাতের পর নফল আমলের প্রতি উম্মতকে উৎসাহিত করেছেন। নবী কারীম (সা.) ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ তাআলা বলেন--
"আমার বান্দা নফলের মাধ্যমে আমার নিকটবর্তী হতে থাকে। একপর্যায়ে সে আমার মাহবুব ও ভালোবাসার পাত্র হয়ে যায় ...।" (সহীহ বুখারী, ২ : ৯৬৩)
এরূপ নফল নামাযসমূহের মধ্যে তাহাজ্জুদ নামায ফজীলতের দিক দিয়ে অন্যতম। সেই সাথে ইশরাক, চাশত ও আউয়াবীন ইত্যাদি সময়সংশ্লিষ্ট নফল নামাযেরও অনেক ফজীলতের বর্ণনা হাদীস শরীফে এসেছে।
এ ধরনের ফজীলতপূর্ণ নফল আমলের কারণে অন্যান্য নবীর উম্মতের তুলনায় এ উম্মতের বয়সসীমা কম হলেও এসব অতিরিক্ত আমলের দ্বারা ছাওয়াব বেশী হওয়ার মাধ্যমে অন্য সকল উম্মতের তুলনায় এ উম্মতের আমলের আধিক্য হবে বলে হাদীসে রয়েছে। তাই নিয়মিত ফরজ, ওয়াজিব ও সুন্নাত আমল আদায়ের পর যাদের সময়-সুযোগ হয়, তাদের এ নফল নামায এবং অন্যান্য নফল আমলে তৎপর হওয়া উত্তম নেক কাজ।
নিম্নে ইশরাক, চাশত, আউয়াবীন এবং তাহাজ্জুদ নামাযের সময় ও ফজীলত ক্রমানুসারে উল্লেখ করা হলো--
ইশরাকের সময় ও তার ফজীলত
------------------------------
ফজরের নামায পড়ার পর দুনিয়ার কাজকর্ম ও কথাবার্তা থেকে বিরত থেকে সূর্য ওঠা পর্যন্ত স্বীয় নামাযের জায়গায় বা (পুরুষগণ) মসজিদে অন্যকোন জায়গায় বসে কুরআন তিলাওয়াত, যিকির-আযকার তাসবীহ-তাহলীল ইত্যাদিতে লিপ্ত থাকবেন। অতঃপর সূর্যোদয়ের ১২/১৩ মিনিট পর সূর্য একটু উপরে উঠলে তখন ইশরাকের সময় হয়--ঐ সময় দুই রাক‘আত ইশরাকের নামায পড়লে এক হজ্ব ও এক উমরার সমান ছাওয়াব লাভ হবে বলে হাদীসে রয়েছে। ((জামে তিরমিযী ১ : ১৩০) এতব্যতীত আরো দুই রাক‘আতসহ মোট চার রাক‘আত পড়লে আল্লাহ তা‘আলা সন্ধ্যা পর্যন্ত তার এদিনের সকল কাজের জিম্মাদার হয়ে যান বলে অপর হাদীসে উল্লেখ আছে। (জামি তিরমিযী, ১ : ১০৮)
অবশ্য যদি কেউ ফজরের নামাযের পর দুনিয়াবী কাজে লিপ্ত হয়ে যায় এবং সূর্য
ওঠার পর ইশরাক পড়ে, তাও জায়িয আছে। এতেও ইশরাক আদায় হবে।
চাশতের সময় ও তার ফজীলত
-----------------------------
সূর্য যখন আকাশে এক চতুর্থাংশ ওপরে উঠে এবং সূর্যের তাপ প্রখর হয়, তখন থেকে দ্বিপ্রহরের আগ পর্যন্ত (৯টা থেকে ১১টার মধ্যে) চাশতের সময়। তখন দুই, চার বা আট রাক‘আত নামায পড়বেন। একে চাশতের নামায বলে।
হাদীস শরীফে আছে--চাশতের দুই রাক‘আত নামাযে শরীরের সর্বমোট ৩৬০টি
জোড়ার সদকা আদায় হয়ে যায় এবং সমুদ্রের ফেনার সমান গুনাহ (সগীরা) হলেও মাফ হয়ে যায়। অপর হাদীসে আছে--তার জন্য জান্নাতে একটি বালাখানা তৈরী করা হয়। এছাড়াও হাদীসে চাশতের নামাযের আরো অনেক ফজীলত বর্ণিত হয়েছে।
আউয়াবীনের নামাযের সময় ও তার ফজীলত
-------------------------------------------
মাগরিবের ফরজ ও সুন্নাতের পর ইশার ওয়াক্ত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত আউয়াবীনের নামাযের সময়। এ সময়ে নফলের নিয়তে কমপক্ষে ছয় রাক‘আত ঊর্ধ্বে বিশ রাক‘আত পর্যন্ত নামায পড়া যায়। এ নামাযকে আউয়াবীনের নামায বলে।
হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি মাগরিবের সুন্নাতের পর ছয় রাক‘আত
নফল নামায পড়বে, সে বার বছর ইবাদতের সমান ছাওয়াব লাভ করবে। (জামে তিরমিযী, ১ : ৯৮)
তাহাজ্জুদ নামাযের সময় ও তার ফজীলত
-------------------------------------------
নফল নামাযসমুহের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে তাহাজ্জুদ নামায। পাচওয়াক্ত নামায ফরজ হওয়ার পূর্বে এ নামায ফরজ ছিলো। পরবর্তীতে তা নফল গণ্য হয়। এ নামায সম্পর্কে নবী কারীম (সা.) ইরশাদ করেন, "ফরজ নামাযের পর শ্রেষ্ঠ নামায হল--রাতের নামায (তাহাজ্জুদ)।" (জামি তিরমিযী, ১ : ৯৯)
শেষ রাতে ত্রিপ্রহরের সময় (সাহরীর সময়) থেকে সুবহে সাদিকের পূর্ব পর্যন্ত এ নামাযের সময়।
তবে দিনের কঠোর পরিশ্রমে যাদের শেষ রাতে ওঠা অনিশ্চিত হয়, তারা ইশার পর ঘুমানোর পূর্বে তাহাজ্জুদের নিয়তে ২/৪ রাকআত নামায পড়ে নিতে পারেন। এরপর সম্ভব হলে আবার শেষ রাতে ওঠে তাহাজ্জুদ পড়বেন। আর তখন না ওঠতে পারলে প্রথম রাত্রির সেই নামাযের কারণে তাহাজ্জুদের ফজীলত থেকে একেবারে মাহরূম হবেন না আশাকরি।
আরেকটি ফজীলতপূর্ণ নফল নামায হচ্ছে 'যাওয়ালের নামায'
--------------------------------------------------------
উল্লেখ্য, সময়সংশ্লিষ্ট উক্ত নফল নামাযসমূহ ছাড়াও 'যাওয়ালের নামায' নামে আরেকটি ফজীলতপুর্ণ নফল নামায রয়েছে। এ নামায দুপুরে সূর্য পশ্চিম দিকে ঢলে পড়ার সাথে সাথে আদায় করতে হয়। যেমন, নামাযের স্থায়ী সময়সূচি ক্যালেন্ডারে যোহরের যে শুরু ওয়াক্ত দেয়া হয়, সেটাই সূর্য ঢলার সময়। সেই সময় হওয়ার সাথে সাথে যাওয়ালের নামায হিসেবে চার রাক'আত নফল নামায পড়তে হয়।
এ সমযের নামাযের ফজীলত হলো-- এ সময় আল্লাহ তা'আলা আসমানের সব দরজা খুলে দেন এবং আছানীর সাথে সব ইবাদত-বন্দেগী ও দু’আ কবুল হয়। (জামি তিরমিযী, হাদীস নং ৪৭৮)
““““““““““““““““““““““““““““““““““““““““““““““““““““““““““““““““““““
والله اعلم بالصواب
মন্তব্য (০)
কোনো মন্তব্য নেই।
এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর
২৬৫৭৪
নফল নামাযে উচ্চস্বরে কেরাত পড়া যাবে কি?
১৬ ডিসেম্বর, ২০২২
ঢাকা

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী
৩৭৫৭১
নবীজির রওজায় আমলের সাওয়াব পাঠানো কি জায়েজ?
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
Gabtali - Adur Bazar Rd

উত্তর দিয়েছেনঃ মুসলিম বাংলা ইফতা বিভাগ
৪১০০০
১২ ই রবিউল আউয়ালে বিশেষ রোযা বা আমল আছে কি?
৬ নভেম্বর, ২০২৩
ঢাকা

উত্তর দিয়েছেনঃ মুসলিম বাংলা ইফতা বিভাগ
সাম্প্রতিক প্রশ্নোত্তর
মাসায়েল-এর বিষয়াদি
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে