و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

প্রিয় প্রশ্নকারী ভাই, অনেকগুলো সহীহ হাদীসে রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর নির্দেশনা আছে, জুমার জন্য যেন আগে আগে যাওয়া হয়, মসজিদে পৌঁছে যদি দেখা যায়, ইমাম আসেন নি তাহলে নামায পড়বে, ইমাম এসে গেলে চুপচাপ বসে বয়ান বা খুতবা শুনবে।
যেমন, এক হাদীসে এসেছে,
عن عطاء الخراساني قال : كان نُبَيْشَة الهُذَلي يحدث عن رسول الله ﷺ : أن المسلم إذا اغتسل يوم الجمعة، ثم أَقْبَلَ إلى المسجد لا يُؤْذِيْ أحدا، فإن لم يجد الإمام خَرَج صلى ما بدا له، وإن وجد الإمامَ قد خرج، جلس، فاستمع وأنصت حتى يقضي الإمام جمعته وكلامه، إن لم يُغْفَر له في جمعته تلك ذنوبُه كلُّها، أن تكون كفارة للجمعة التي تليها
আতা খোরাসানী রহ. নুবাইশা রাযি. থেকে রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর হাদীস বর্ণনা করতেন যে, মুসলিম যখন জুমার দিন গোসল করে মসজিদের দিকে রওনা হয়, কাউকে কষ্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকে, ইমাম বের হয়নি দেখলে যে পরিমাণ ইচ্ছা নামায পড়ে, ইমাম বের হয়ে থাকলে বসে যায় ও চুপচাপ শুনতে থাকে, একপর্যায়ে ইমামের নামায ও বক্তব্য সমাপ্ত হয়, তাহলে এ ব্যক্তির এ সপ্তাহের সকল গুনাহ যদি মাফ না-ও হয় এ তো অবশ্যই হবে যে, পরবর্তী জুমার জন্য তা কাফফারা হয়ে যায়। (মুসনাদে আহমদ ২০৭২১)
এই মর্মে আরেকটি হাদীসের ভাষ্য নিম্নরূপ--
عن سلمان الفارسي قال : قال النبي ﷺ : لا يغتسل رجل يوم الجمعة ويتطَهَّر ما استطاع من طُهر ويَدَّهن من دُهنِه أو يمس من طيب بيته، ثم يخرج فلا يُفَرِّق بين اثنين، ثم يُصَلِّي ما كُتِب له، ثم يُنْصِت إذا تكلَّم الإمام، إلا غُفِر له ما بينه وبين الجمعة الأخرى
সালমান ফারেসী রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
কোনো পুরুষ যখন জুমার দিন গোসল করে, সাধ্যমত পবিত্রতা অর্জন করে, তেল ব্যবহার করে বা ঘরে যে সুগন্ধি আছে তা ব্যবহার করে, এরপর (জুমার জন্য) বের হয় এবং (বসার জন্য) দুই জনকে আলাদা করে না, এরপর তাওফীক মতো নামায পড়ে এবং ইমাম যখন কথা বলে তখন চুপ থাকে, তাহলে অন্য জুমা পর্যন্ত তার গুনাহ মাফ করা হয়। (সহীহ বুখারী ৮৮৩; মুসনাদে আহমদ ২৩৭১০)
প্রকাশ থাকে যে, জুমার দিনের মহব্বতে ও নামাজের প্রতি ভক্তি পোষণ হিসেবে পরে কাবলাল জুমা আদায় করে নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে জুমআর ফরযের পরে প্রথমে জুমআর পরের চার রাকাত সুন্নত পড়ে এরপর আগের চার রাকাত সুন্নত পড়ে নিবেন।
কেননা, হাদীসে এসেছে,
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ الْعَتَكِيُّ الْمَرْوَزِيُّ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِ يَّ ﷺ كَانَ إِذَا لَمْ يُصَلِّ أَرْبَعًا قَبْلَ الظُّهْرِ صَلاَّهُنَّ بَعْدَهُ ‏.‏
আয়েশা রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী ﷺ যদি জোহরের পূর্বে চার রাকাত না আদায় করতেন তবে জোহরের (ফরযের) পর তা আদায় করতেন। (তিরমিযী ৪২৬)
তাছাড়া নামাজ যত বেশি পড়া যায়, ততই ভালো। সাহাবায়ে কেরাম অনেকে দিন-রাতে ৫০ থেকে ২০০ রাকাত পর্যন্ত নফল নামাজ পড়তেন। আমরা সুযোগ পেলে দু-চার রাকাত পড়ি। এটা পারতপক্ষে ছেড়ে না দেয়াই উত্তম।

والله اعلم بالصواب