আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

কত বছর বয়স হলে আমল নামায় গুনাহ লেখা হয়?

প্রশ্নঃ ১০৯৮৭. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, একজন মানুষের কত বছর বয়স হলে তার আমল নামায় গুনাহ লেখা হয়? জাযাকাল্লাহু খয়রান।,

২৩ অক্টোবর, ২০২৩

নোয়াখালী

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


কোনো ছেলে বা মেয়ের মধ্যে বালেগ হওয়ার নির্দিষ্ট আলামত পাওয়া গেলে বা নির্দিষ্ট বয়সসীমায় পৌঁছলেই তাকে বালেগ গণ্য করা হয় এবং তখন থেকেই শরীয়তের হুকুম-আহকাম তার উপর প্রযোজ্য হয়। নেক কাজ করলে আমলনামায় সাওয়াব এবং গুনাহ করলে আমলনামায় শাস্তি লিপবদ্ধ করা শুরু হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَإِذَا بَلَغَ الأَطْفَالُ مِنْكُمُ الْحُلُمَ فَلْيَسْتَأْذِنُوا

তোমাদের সন্তান-সন্ততিরা যখন বায়োপ্রাপ্ত হয়, তারাও যেন তাদের পূর্ববর্তীদের ন্যায় অনুমতি চায়। (সূরা নূর ৫৯)

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

رُفِعَ الْقَلَمُ عَنْ ثَلَاثَةٍ: عَنِ النَّائِمِ حَتَّى يَسْتَيْقِظَ، وَعَنِ الصَّبِيِّ حَتَّى يَحْتَلِمَ، وَعَنِ الْمَجْنُونِ حَتَّى يَعْقِلَ

‘তিন শ্রেণীর মানুষ থেকে কলম উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে; ঘুমন্ত ব্যক্তি জাগ্রত হওয়ার আগ পর্যন্ত, নাবালেগ বালেগ হওয়ার আগ পর্যন্ত ও পাগল ব্যক্তি সুস্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত।’ (সুনান আবু দাউদ ৩০১৬)


ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের বালেগ হওয়ার বয়সসীমা ও আলামত শরীয়তের পক্ষ থেকে নির্ধারিত রয়েছে। কোনো ছেলে বা মেয়ের মধ্যে বালেগ হওয়ার নির্দিষ্ট আলামত পাওয়া গেলে বা নির্দিষ্ট বয়সসীমায় পৌঁছলেই তাকে বালেগ গণ্য করা হবে এবং তখন থেকেই শরীয়তের হুকুম-আহকাম তার উপর প্রযোজ্য হবে। ছেলেদের বালেগ হওয়ার আলামত হল:

ক) স্বপ্নদোষ হওয়া।

খ) বীর্যপাত হওয়া।

গ) দাঁড়ি বা গোঁফ উঠা।

আর মেয়েদের বালেগ হওয়ার আলামত হল:

ক) স্বপ্নদোষ হওয়া।

খ) হায়েয (ঋতুস্রাব) আসা।

গ) গর্ভধারণ করা।

ঘ) স্তন বড় হওয়া।

বালেগ হওয়ার উপরোক্ত নির্দিষ্ট আলামত যদি কোনো ছেলে বা মেয়ের মধ্যে পাওয়া না যায় সেক্ষেত্রে যখন মেয়েদের ১২/১৩ বছর ও ছেলেদের ১৫ বছর পূর্ণ হবে তখন প্রত্যেককে বালেগ গণ্য করা হবে ।এবং পনেরো বছর পূর্ণ হওয়ার পর কোনো আলামত পাওয়া না গেলেও সে বালেগ বলেই বিবেচিত হবে। (আল ইনায়া শারহুল হেদায়া ৮/২০১; আদ্দুররুল মুখতার ৬/১৫৩; তাফসীরে কুরতুবী ১২/১৫১)

হাদিস শরিফে এসছে, নাফে রহ. আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাযি. থেকে বর্ণনা করেন, উহুদ যুদ্ধের দিন রাসুলুল্লাহ ﷺ আমাকে (সবার সামনে) পেশ করেন, তখন আমি ১৪ বছরের বালক। রাসুলুল্লাহ ﷺ তখন আমাকে (যুদ্ধে গমনের) অনুমতি দেন নি। পরে খন্দকের যুদ্ধে তিনি আমাকে পেশ করেন ও অনুমতি দেন। তখন আমি ১৫ বছরের যুবক। নাফে রহ. বলেন, আমি খলিফা ওমর ইবনে আবদুল আজিজের কাছে গিয়ে এ হাদিস শুনালাম। তিনি বলেন, إِنَّ هَذَا لَحَدٌّ بَيْنَ الصَّغِيرِ وَالْكَبِيرِ এটাই হচ্ছে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্ত বয়সের সীমারেখা। তারপর তিনি তাঁর গভর্নরদের লিখিত নির্দেশ পাঠালেন যে (সেনাবাহিনীতে) যাদের বয়স ১৫ হয়েছে, তাদের জন্য যেন ভাতা নির্দিষ্ট করা হয়। (বুখারি ২৬৬৪, ৪০৯৭ মুসলিম ১৮৬৮)

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুসলিম বাংলা ফাতওয়া বিভাগ

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৯০৬৮৩

বিধর্মীরা কি উম্মতে মুহাম্মাদীর দলভুক্ত?


২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

ওয়েস্ট বেঙ্গল ৭৪৩৫০২

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী আরিফুর রহমান

২৫৬৩৭

আল্লাহ তাআলা সম্পর্কে বাজে চিন্তা আসে; করণীয় কী?


২২ নভেম্বর, ২০২২

চট্টগ্রাম

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

৩৪৭৯১

আল্লাহ সম্পর্কে বাজে চিন্তা আসে; করণীয় কী?


১৪ জুন, ২০২৩

পাবনা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

২৪৯২১

দুর্বল ঈমান শক্তিমান করার উপায় ও আমল


১৬ নভেম্বর, ২০২২

দিনাজপুর ৫২০০

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy