আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

কুরআনে নামাজের কথা কতবার উল্লেখ আছে

প্রশ্নঃ ১০৯৪৪. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, কোরআন মাজিদে সালাতের কথা ৮২ বার বলা হয়েছে। কিন্তু আমি সূরা আয়াত সংখ্যা গুলো ৮২বার জানতে চাই ?,

১৪ আগস্ট, ২০২৪

ঢাকা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


পবিত্র কুরআনে ৮২ বারের মতো সালাতের কথা এসেছে। যা অন্য কোন ইবাদতের ব্যাপারে এত বেশি আসেনি। এতেই সালাতের গুরুত্ব প্রকাশ পায়।

সূরাহ বাকারাহ : মহান আল্লাহ বলেন, ‘(মুত্তাকী) তারা যারা অদেখা বিষয়ের উপর বিশ্বাস করে, নামাজ প্রতিষ্ঠা করে এবং আমি যা দিয়েছি তা হতে (সৎপথে) ব্যয় করে।’ (আয়াত নং-৩)

ঈমান বিল গইব বা অদৃশ্য বিষয়ের বিশ্বাস হল, রাসূল (সা) যে হিদায়াত ও শিক্ষা নিয়ে এসেছিলেন সেসব আন্তরিকভাবে মেনে নেয়া। ইকামাহ বা প্রতিষ্ঠা অর্থ হল, শুধু নিজে নামাজ আদায় করা নয় বরং নামাযকে সকল দিক দিয়ে ঠিক করা। নামাজে সব ফরয, ওয়াজিব, সুন্নাত, মুস্তাহাব পরিপূর্ণভাবে আদায় করা, এতে সবসময় সুদৃঢ় থাকা এবং এর ব্যবস্থাপনা সুদৃঢ় করা সবই বুঝায়। আর এসব প্রত্যেক নামাযের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। এককথায় নামাযে অভ্যস্ত হওয়া, তা শরীয়াতের নিয়ম মতো আদায় করা এবং এর সকল নিয়ম যর্থাথভাবে পালন করা। আহকাম ও আরকানসমূহ পূর্ণরূপে পালন করে নিয়মিত নামাজ আদায় করা। ইনফাক বা ব্যয় দ্বারা ফরয যাকাত, ওয়াজিব সদাকা এবং নফল দানও বুঝায়।

‘আর নামায কায়েম করো, যাকাত দাও এবং নামাযে অবনত হও তাদের সাথে যারা অবনত হয়।’ (আয়াত নং-৪৩)

ইকামাহ হল, সোজা করা, স্থায়ী রাখা। সাধারণতঃ যেসব খুঁটি দেয়াল বা গাছ প্রভৃতির আশ্রয়ে সোজাভাবে দাঁড়ানো থাকে, সেগুলো স্থায়ী থাকে এবং পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। এজন্য এটা স্থায়ী ও স্থিতিশীলকরণ অর্থেও ব্যবহৃত হয়। নির্ধারিত সময়ে যাবতীয় শর্তাদি ও নিয়মাবলী রক্ষা করে নামায আদায় করা।
‘তোমরা ধৈর্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য চাও। অবশ্যই তা কঠিন। কিন্তু বিনয়ীদের পক্ষেই তা সম্ভব।’ (আয়াত নং-৪৫)

ধৈর্য ধারণ করে ভোগ-বিলাস ও প্রবৃত্তির কামনা বাসনাকে বশীভূত করে ফেলো। তাতে সম্পদপ্রীতি কমে যাবে। সাহায্য চাওয়ার পদ্ধতি ধৈর্য ও নামায। বিনয় অর্থ অধিকারের ক্ষেত্রে ইতর-ভদ্র নির্বিশেষে সবার সঙ্গে একই রকম ব্যবহার করা এবং আল্লাহ যা ফরয করেছেন তা পালন করতে যেয়ে হৃদয়কে শুধু তাঁরই জন্য নির্দিষ্ট করে নেয়া। ইচ্ছাকৃত কৃত্রিম উপায়ে বিনয়ীদের রূপ ধারণ করা শয়তান ও প্রবৃত্তির প্রতারণা মাত্র। আর তা অবশ্যই নিন্দনীয়। অবশ্য তা অনিচ্ছাকৃতভাবে হলেই ক্ষমার্হ।

‘যখন আমি বনী ইসরাঈলের কাছ থেকে অঙ্গীকার নিলাম যে, তোমরা আল্লাহ ছাড়া কারও উপাসনা করবে না, পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন, এতীম ও দীন দরিদ্রদের সাথে সদ্ব্যবহার করবে, মানুষদের সৎ কথা বলবে, নামায প্রতিষ্ঠা করবে এবং যাকাত দিবে। তখন সামান্য কয়েকজন ছাড়া তোমরা মুখ ফিরিয়ে নিলে। তোমরাই অগ্রাহ্যকারী।’ (আয়াত নং-৮৩)

‘তোমরা নামায প্রতিষ্ঠা কর এবং যাকাত দাও। তোমরা নিজের জন্য পূর্বে যে সৎকর্ম প্রেরণ করবে তা আল্লাহর কাছে পাবে। তোমরা যা কিছু কর নিশ্চয় আল্লাহ তা প্রত্যক্ষ করেন।’ (আয়াত নং-১১০)
‘হে মুমিনেরা তোমরা ধৈর্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য চাও। নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন।’ (আয়াত নং-১৫৩)

‘সৎকর্ম শুধু এই নয় যে, পূর্ব বা পশ্চিম দিকে মুখ করবে বরং বড় সৎকর্ম হল এই যে, ঈমান আনবে আল্লাহর উপর, কিয়ামত দিবসের উপর, ফেরেশতাদের উপর এবং নবী-রাসূলদের উপর আর সম্পদ ব্যয় করবে তাঁরই মুহাব্বতে আত্মীয়, এতীম, মিসকিন, মুসাফির, ভিক্ষুক এবং মুক্তিকামী দাসদের জন্য। আর যারা নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দেয়, যারা কৃত ওয়াদা সম্পাদন করে এবং অভাবে, রোগে-শোকে ও যুদ্ধের সময় ধৈর্যধারণকারী তারাই হল, সত্যাশ্রয়ী। আর তারাই পরহেযগার।’ (আয়াত নং-১৭৭)
‘নামাযের প্রতি যত্নবান হও। বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাযের ব্যাপারে। আর আল্লাহর সামনে একান্ত আদবের সাথে দাঁড়াও।’ (আয়াত নং-২৩৮)

‘নিশ্চয় যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে, সৎকাজ করেছে, নামায প্রতিষ্ঠা করেছে এবং যাকাত দিয়েছে তাদের জন্য পুরস্কার তাদের প্রভুর কাছে।’ (আয়াত নং-২৭৭)

সূরাহ আলে ইমরান : ‘যখন তিনি কামরার ভেতরে নামাযে দাঁড়িয়ে ছিলেন, তখন ফেরেশতারা তাঁকে ডেকে বললেন যে, আল্লাহ আপনাকে ইয়াহ্ইয়া সম্পর্কে সুসংবাদ দিচ্ছেন।’ (আয়াত নং-৩৯)

সূরাহ নিসা : ‘হে মুমিনেরা তোমরা যখন নেশাগ্রস্ত থাক তখন নামাযের ধারের কাছেও যেও না, যতক্ষণ না বুঝতে সক্ষম হও যা কিছু তোমরা বলছ…।’ (আয়াত নং-৪৩)
‘তুমি কি সেসব লোককে দেখোনি যাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল, তোমরা নিজেদের হাত সংযত রাখ, নামায কায়েম কর ও যাকাত দিতে থাক ?…।’ (আয়াত নং-৭৭)
‘যখন তোমরা কোন দেশ সফর কর, তখন নামাযে কিছুটা হ্রাস করলে কোন গোনাহ নেই…।’ (আয়াত নং-১০১)
‘যখন আপনি নামাযে দাঁড়ান তখন যেন একদল দাঁড়ায় আপনার সাথে…।’ (আয়াত নং-১০২)
‘অতঃপর যখন তোমরা নামায সম্পন্ন কর, তখন দাঁড়িয়ে, উপবিষ্ট ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ কর…।’
(আয়াত নং-১০৩)
‘তারা (মুনাফিকরা) যখন নামাযে দাঁড়ায়, তখন দাঁড়ায় একান্ত শিথিলভাবে লোক দেখানোর জন্য…।’ (আয়াত নং-১৪২)
‘আর যারা নামাযে অনুবর্তিতা পালনকারী, যারা যাকাত প্রদানকারী এবং যারা আল্লাহ ও কিয়ামতে আস্থাশীল…।’ (আয়াত নং-১৬২)

সূরাহ মায়িদাহ : ‘হে মুমিনেরা যখন নামাযে দাঁড়াও তখন স্বীয় মুখম ল ও হাতদ্বয় কনুই পর্যন্ত ধৌত কর…।’ (আয়াত নং-৬) ‘আল্লাহ বলে দিলেন, আমি তোমাদের সাথে আছি যদি তোমরা নামায কায়েম কর…।’ (আয়াত নং-১২) ‘যারা নামায কায়েম করে, যাকাত দেয় এবং বিনয়ী।’ (আয়াত নং-৫৫) ‘আর যখন নামাযের জন্য আহবান কর, তখন তারা একে উপহাস ও খেলা বলে মনে করে। কারণ তারা নির্বোধ।’ (আয়াত নং-৫৮) ‘শয়তান তো চায় মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের পরস্পরের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সঞ্চারিত করে দিতে এবং আল্লাহর স্মরণ ও নামায হতে বিরত রাখতে…।’ (আয়াত নং-৯১)
‘যদি তোমাদের সন্দেহ হয় তবে উভয়কে নামাযের পর থাকতে বলবে…।’ (আয়াত নং-১০৬)

সূরাহ আনআম : ‘তা এই যে, নামায কায়েম কর ও তাঁকে ভয় কর।’ (আয়াত নং-৭২) ‘যারা পরকালে বিশ্বাস করে তারা এর প্রতি (কুরআন) বিশ্বাস করে ও স্বীয় নামাযের সংরক্ষণ করে।’ (আয়াত নং-৯২) ‘বলুন, আমার নামায, আমার কুরবানী এবং আমার জীবন ও আমার মরণ সবই বিশ্বপ্রভু আল্লাহরই জন্য।’ (আয়াত নং-১৬২)

সূরাহ ‘আরাফ : ‘আর যেসব লোক সুদৃঢ়ভাবে কিতাবকে আঁকড়ে থাকে এবং নামায কায়েম করে, নিশ্চয়ই আমি সৎকর্মশীলদের সওয়াব বিনষ্ট করি না।’ (আয়াত নং-১৭০)

সূরাহ আনফাল : ‘(প্রকৃত মু’মিন তারা) যারা নামায প্রতিষ্ঠা করে এবং আমি তাদেরকে যে রিয্ক দিয়েছি তা হতে ব্যয় করে।’ (আয়াত নং-০৩)
‘কাবার সামনে তাদের সলাত শিস দেয়া আর তালি দেয়া ছাড়া কিছুই ছিল না।’ (আয়াত নং-৩৫)

সূরাহ তাওবা : ‘তবে যদি তারা (মুশরিক) তাওবা করে, নামায প্রতিষ্ঠা করে ও যাকাত দেয় তাহলে তাদের পথ ছেড়ে দাও।’ (আয়াত নং-০৫)
‘অবশ্য তারা যদি তাওবা করে, নামায কায়েম করে ও যাকাত দেয় তাহলে তারা তোমাদের দ্বীনি ভাই।’ (আয়াত নং-১১)
‘নিঃসন্দেহে তারাই আল্লাহর মসজিদসমূহের আবাদ করবে যারা ঈমান এনেছে আল্লাহর প্রতি ও শেষদিনের প্রতি এবং নামায কায়েম করেছে ও যাকাত দিয়েছে আর আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করে না।’ (আয়াত নং-১৮)
‘তারা (মুনাফিক) নামাযে আসে অলসতার সাথে আর ব্যয় করে সংকুচিত মনে।’ (আয়াত নং-৫৪)
‘(মু’মিন) নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে।’ (আয়াত নং-৭১)

সূরাহ ইউনূস : ‘আমি নির্দেশ পাঠালাম মূসা ও তাঁর ভাইয়ের প্রতি, তোমরা তোমাদের জাতির জন্য মিসরের মাটিতে ঘর বানাও আর তোমাদের ঘরগুলো কিবলামুখী বানাবে, নামায কায়েম করবে। আর যারা ঈমানদার তাদের সুসংবাদ দিবে।’ (আয়াত নং-৮৭)

সূরাহ হূদ : ‘তারা বলল হে শুয়াইব, তোমার নামায কি তোমাকে এ শিক্ষা দেয় যে, আমরা ঐসব উপাস্যদের ত্যাগ করব আমাদের বাপ-দাদারা যাদের উপাসনা করত?…। (আয়াত নং-৮৭)‘আর দিনের দুপ্রান্তে নামায ঠিক রাখবে এবং রাতেরও প্রান্তভাগে।’ (আয়াত নং-১১৪)

সূরাহ রাদ : ‘এবং যারা স্বীয় প্রভুর সন্তুষ্টির জন্য সবর করে, নামায কায়েম করে আর আমি যা তাদের রিয্ক দিয়েছি তা হতে ব্যয় করে গোপন ও প্রকাশ্যে এবং যারা মন্দের বিপরীতে ভাল করে তাদের জন্য রয়েছে পরকালের গৃহ।’ (আয়াত নং-২২)

সূরাহ ইবরাহীম : ‘বলুন, আমার বান্দাদেরকে যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে তারা নামায কায়েম করুক এবং আমার দেয়া রিয্ক হতে গোপন ও প্রকাশ্যে ব্যয় করুক ঐ দিন আসার পূর্বে যেদিন কোন বেচাকেনা নেই এবং বন্ধুত্বও নেই।’ (আয়াত নং-৩১) ‘হে আমার প্রভু! আমি নিজের এক সন্তানকে তোমার পবিত্র গৃহের সন্নিকটে চাষাবাদহীন উপত্যকায় আবাদ করেছি। হে আমার প্রভু! যাতে তারা নামায কায়েম করে…।’ (আয়াত নং-৩৭) ‘হে প্রভু! আমাকে নামায কায়েমকারী করুন এবং আমার সন্তানদের মধ্য থেকেও। হে প্রভু! কবুল করুন আমাদের দু‘আ।’ (আয়াত নং-৪০)

সূরাহ ইসরা : ‘সূর্য ঢলে পড়ার সময় থেকে রাতের অন্ধকার পর্যন্ত নামায কায়েম করুন এবং ফজরের কুরআন পাঠও…।’ (আয়াত নং-৭৮)
‘আপনি নিজের নামায আদায়কালে স্বর উচ্চ এবং নিঃশব্দেও পড়বেন না। মধ্যমপন্থা অবলম্বন করুন।’ (আয়াত নং-১১০)

সূরাহ মারইয়াম : ‘আমি যেখানেই থাকি তিনি আমাকে বরকতময় করেছেন, তিনি আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন যতদিন জীবিত থাকি ততদিন নামায আদায় করতে ও যাকাত দিতে।’ (আয়াত নং-৩১)
‘তিনি তার পরিবারকে নামায ও যাকাত আদায়ের নির্দেশ দিতেন এবং তিনি ছিলেন তার প্রভুর কাছে পছন্দনীয়।’ (আয়াত নং-৫৫)
‘অতঃপর তাদের পরে আসলো অপদার্থ, তারা নামায নষ্ট করল এবং কুপ্রবৃত্তির অনুবর্তী হল…।’ (আয়াত নং-৫৯)

সূরাহ ত্বহা : ‘আমিই আল্লাহ আমি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। অতএব আমার ইবাদত কর এবং আমার স্মরণে নামায কায়েম কর।’ (আয়াত নং-১৪)
‘(হে নবী) আপনি আপনার পরিবারের লোকদেরকে নামাযের আদেশ করুন এবং আপনি নিজেও এর উপর অবিচল থাকুন।’ (আয়াত নং-১৩২)

সূরাহ আম্বিয়া : ‘আমি তাদেরকে নেতা করলাম। তারা আমার নির্দেশে পথ প্রদর্শন করবে। আমি তাদের প্রতি ওহী করলাম সৎকর্ম করার, নামায কায়েম এবং যাকাত দেয়ার…।’ (আয়াত নং-৭৩)

সূরাহ হজ্জ : ‘যাদের অন্তর আল্লাহর নাম স্মরণ করা হলে ভীত হয়, বিপদে ধৈর্য ধারণ করে এবং যারা নামায কায়েম করে ও আমি তাদের যা রিয্ক দিয়েছি তা হতে ব্যয় করে।’ (আয়াত নং-৩৫)
‘তারা এমন লোক যাদেরকে আমি পৃথিবীতে ক্ষমতা প্রদান করলে তারা নামায কায়েম করবে, যাকাত দিবে, সৎকাজের আদেশ দিবে এবং অসৎকাজ হতে বিরত রাখবে।’ (আয়াত নং-৪১)
‘অতএব তোমরা নামায কায়েম কর, যাকাত দাও এবং আল্লাহকে শক্তভাবে ধারণ কর।’ (আয়াত নং-৭৮)

সূরাহ মুমিনূন : ‘যারা নিজেদের নামাযে বিনয় ও নম্র। (আয়াত, ০২)
‘এবং যারা নামাযসমূহের খবর রাখে।’ (আয়াত নং-০৯)

সূরাহ নূর : ‘এমন লোকেরা যাদের ব্যবসা বাণিজ্য ও ক্রয়-বিক্রয় আল্লাহর স্মরণ থেকে, নামায কায়েম করা থেকে এবং যাকাত দেয়া থেকে বিরত রাখে না…।’ (আয়াত নং-৩৭)
‘নামায কায়েম কর, যাকাত দাও এবং রাসূলের আনুগত্য কর।…’ (আয়াত, ৫৬)
‘হে মু’মিনেরা তোমাদের দাস-দাসীরা এবং তোমাদের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক হয়নি তারা যেন তিন সময়ে তোমাদের কাছে অনুমতি গ্রহণ করে, ফজরের নামাযের পূর্বে…।’ (আয়াত নং-৫৮)

সূরাহ নামল : ‘যারা নামায কায়েম করে, যাকাত দেয় এবং পরকালে নিশ্চিত বিশ্বাস করে।’ (আয়াত নং-৩)

সূরাহ আনকাবূত : ‘আপনি আপনার প্রতি প্রত্যাদিষ্ট কিতাব পাঠ করুন এবং নামায কায়েম রাখুন। …’ (আয়াত নং-৪৫)

সূরাহ রূম : ‘সবাই তাঁর অভিমুখী হও এবং ভয় কর, নামায কায়েম কর এবং মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না।’ (আয়াত নং-৩১)

সূরাহ লুকমান : ‘যারা সলাত কায়েম করে, যাকাত দেয় ও আখেরাত সম্পর্কে পুরো বিশ্বাস করে।’ (আয়াত নং-০৪)
‘হে বৎস! নামায কায়েম কর, সৎকাজ এর আদেশ কর ও অসৎকাজে নিষেধ কর এবং বিপদাপদে সবর কর।’ (আয়াত নং-১৭)

সূরাহ আহযাব : ‘তোমরা নামায কায়েম করবে, যাকাত দিবে এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করবে।’ (আয়াত নং-৩৩)

সূরাহ ফাতির : ‘যারা তাদের প্রভুকে না দেখেও ভয় করে এবং নামায কায়েম করে।…’ (আয়াত নং-১৮)
‘যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে, নামায কায়েম করে এবং আমি যা দিয়েছি তা হতে গোপন ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে তারা এমন ব্যবসা আশা করে যাতে কোন লোকসান হবে না।’ (আয়াত নং-২৯)

সূরাহ মুজাদালাহ : ‘তখন তোমরা নামায কায়েম কর, যাকাত দাও এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য কর।’ (আয়াত নং-১৩)

সূরাহ জুমু‘আ : ‘হে বিশ্বাসীরা! জুমু‘আর দিন যখন তোমাদের নামাযের আহবান করা হয় তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ত্বরা কর।’ (আয়াত নং-৯)
‘যখন নামায সমাপ্ত হয় তখন তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ তালাশ কর।’ (আয়াত নং-১০)

সূরাহ মা‘আরিজ : ‘তবে তারা স্বতন্ত্র, যারা নামায কায়েমকারী।’ (আয়াত নং-২২)
‘যারা তাদের নামাযে সার্বক্ষণিক কায়েম থাকে।’ (আয়াত নং-২৩)
‘এবং যারা তাদের নামাযে যত্নবান।’ (আয়াত নং-৩৪)

সূরাহ মুয্যাম্মিল : ‘তোমরা নামায কায়েম কর, যাকাত দাও ও আল্লাহকে উত্তম ঋণ দাও।’ (আয়াত নং-২০)

সূরাহ মুদ্দাস্সির : ‘তারা বলবে, আমরা নামায পড়তাম না।’ (আয়াত নং-৪৩)

সূরাহ কিয়ামাহ : ‘সে বিশ্বাস করেনি এবং নামায আদায় করেনি।’ (আয়াত-৩১)

সূরাহ ‘আলা : ‘এবং তাঁর পালনকর্তার নাম স্মরণ করে অতঃপর নামায কায়েম করে।’ (আয়াত নং-১৫)

সূরাহ ‘আলাক : ‘এক বান্দাকে যখন সে নামায পড়ে।’ (আয়াত নং-১০)

সূরাহ বাইয়িনাহ : ‘তাদেরকে এছাড়া আর কোন নির্দেশ করা হয়নি যে, তারা খাঁটি মনে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর ইবাদত করবে, নামায কায়েম করবে ও যাকাত দিবে এটাই সঠিক দ্বীন।’ (আয়াত নং-০৫)

সূরাহ মাউনল: ‘সেসব নামাযী ধ্বংস যারা তাদের নামাযে অমনোযোগী।’ (আয়াত নং-৪-৫)

সূরাহ কাউসার : ‘আপনি আপনার প্রভুর উদ্দেশ্যে নামায পড়ুন।’ (আয়াত নং-০২)‘তোমরা নামায কায়েম করবে, যাকাত দিবে এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করবে।’ (আয়াত নং-৩৩)

সূরাহ ফাতির: ‘যারা তাদের প্রভুকে না দেখেও ভয় করে এবং নামায কায়েম করে।…’ (আয়াত নং-১৮)
‘যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে, নামায কায়েম করে এবং আমি যা দিয়েছি তা হতে গোপন ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে তারা এমন ব্যবসা আশা করে যাতে কোন লোকসান হবে না।’ (আয়াত নং-২৯)

সূরাহ মুজাদালাহ: ‘তখন তোমরা নামায কায়েম কর, যাকাত দাও এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য কর।’ (আয়াত নং-১৩)

সূরাহ জুমু‘আ : ‘হে বিশ্বাসীরা! জুমু‘আর দিন যখন তোমাদের নামাযের আহবান করা হয় তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ত্বরা কর।’ (আয়াত নং-৯)
‘যখন নামায সমাপ্ত হয় তখন তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ তালাশ কর।’ (আয়াত নং-১০)

সূরাহ মা‘আরিজ : ‘তবে তারা স্বতন্ত্র, যারা নামায কায়েমকারী।’ (আয়াত নং-২২)
‘যারা তাদের নামাযে সার্বক্ষণিক কায়েম থাকে।’ (আয়াত নং-২৩)
‘এবং যারা তাদের নামাযে যত্নবান।’ (আয়াত নং-৩৪)

সূরাহ মুয্যাম্মিল : ‘তোমরা নামায কায়েম কর, যাকাত দাও ও আল্লাহকে উত্তম ঋণ দাও।’ (আয়াত নং-২০)

সূরাহ মুদ্দাস্সির : ‘তারা বলবে, আমরা নামায পড়তাম না।’ (আয়াত নং-৪৩)

সূরাহ কিয়ামাহ : ‘সে বিশ্বাস করেনি এবং নামায আদায় করেনি।’ (আয়াত-৩১)

সূরাহ ‘আলা :‘এবং তাঁর পালনকর্তার নাম স্মরণ করে অতঃপর নামায কায়েম করে।’ (আয়াত নং-১৫)

সূরাহ ‘আলাক : ‘এক বান্দাকে যখন সে নামায পড়ে।’ (আয়াত নং-১০)

সূরাহ বাইয়িনাহ : ‘তাদেরকে এছাড়া আর কোন নির্দেশ করা হয়নি যে, তারা খাঁটি মনে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর ইবাদত করবে, নামায কায়েম করবে ও যাকাত দিবে এটাই সঠিক দ্বীন।’ (আয়াত নং-০৫)

সূরাহ মাউন : ‘সেসব নামাযী ধ্বংস যারা তাদের নামাযে অমনোযোগী।’ (আয়াত নং-৪-৫)

সূরাহ কাউসার : ‘আপনি আপনার প্রভুর উদ্দেশ্যে নামায পড়ুন।’ (আয়াত নং-০২

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুসলিম বাংলা ফাতওয়া বিভাগ

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৮৮৭৩৭

মুদারাবার পদ্ধতি


১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

খাগড়াছড়ি

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

৯০৪৯৮

ইমামের সাথে একজন /দুইজন মুকতাদী কিভাবে দাড়াবে?


২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

Bethua

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী শাহাদাত হুসাইন ফরায়েজী

৯০২৩৩

তোমাদের সন্তানদের সন্ধ্যায় ঘরে আটকিয়ে রাখ এবং কিছু সময়ের পর ছেড়ে দিও এটা কোরান বা হাদীসের কোথাও কি আছে?


২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী নাঈম সিদ্দীকী বিন আব্দুস সাত্তার

৯০৩৪৪

‘‘এক বলেই আউট হয়ে যাবে’’ ‘‘নিশ্চিত আজকে ওরা হারবে’’ এধরণের বাক্য বলার দ্বারা কি শিরক হয়?


২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

CG৩X+VQ

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী শাহাদাত হুসাইন ফরায়েজী

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy