আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ১০৭৩৯. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, হযরত এ এপে দোয়ার আদবে বলা হয়েছে, আল্লাহর কাছে যাতে ধৈর্য্যের দোয়া না করা হয়।কারন ধৈর্য্য চাওয়া বিপদ চাওয়ার শামিল! আবার কোরানেই বর্ণিত আছে যে প্রভুহে আমাকে সবরে ( ধৈর্য্যে) দৃঢ়তা দান কর। বিষয়টি আরো সহজভাবে বুঝিয়ে বললে উপকার হতো।,

২৮ নভেম্বর, ২০২১

সিলেট ৩১০০

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم





তিরমিজি শরীফের একটি হাদীসে বিষয়টি সুস্পষ্ট উল্লেখ আছে, আল্লাহ তাআলার কাছে সবর চাইতে নবীজি এক সাহাবীকে নিষেধ করেছেন। কেননা এর মাধ্যমে পক্ষান্তরে বিপদ চাওয়া হয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শিখিয়েছেন তুমি আল্লাহ তায়ালার কাছে عافية "আফিয়ত" তথা বিপদ মুক্তি চাও।

কুরআনুল কারীমে সবরের অনেক ফজিলত ও গুরুত্বের কথা এসেছে এবং একটি জায়গায়

ربنا افرغ علينا صبرا

হে আল্লাহ আমাদের উপর সবর অবতীর্ণ করুন। এমন দোয়া এসেছে।
বিষয়টি হলো, বিপদ যখন এসে যাবে তখন আল্লাহ তা'আলার কাছে সবর করতে হবে, সবরের জন্য দোয়া করতে হবে। সাধারণ অবস্থায় সবরের দোয়া করা যাবে না।

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي الْوَرْدِ، عَنِ اللَّجْلاَجِ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ، قَالَ سَمِعَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم رَجُلاً يَدْعُو يَقُولُ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ تَمَامَ النِّعْمَةِ ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ أَىُّ شَيْءٍ تَمَامُ النِّعْمَةِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ دَعْوَةٌ دَعَوْتُ بِهَا أَرْجُو بِهَا الْخَيْرَ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَإِنَّ مِنْ تَمَامِ النِّعْمَةِ دُخُولَ الْجَنَّةِ وَالْفَوْزَ مِنَ النَّارِ ‏"‏ ‏.‏ وَسَمِعَ رَجُلاً وَهُوَ يَقُولُ يَا ذَا الْجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ فَقَالَ ‏"‏ قَدِ اسْتُجِيبَ لَكَ فَسَلْ ‏"‏ ‏.‏ وَسَمِعَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم رَجُلاً وَهُوَ يَقُولُ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الصَّبْرَ ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ سَأَلْتَ اللَّهَ الْبَلاَءَ فَسَلْهُ الْعَافِيَةَ ‏"‏ ‏.‏
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏

মুআয ইবনু জাবাল রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত:
তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম শুনতে পেলেন যে, এক ব্যক্তি তার দু’আয় বলছে “হে আল্লাহ! আমি তোমার সকল নিআমাত কামনা করি”। তিনি বলেনঃ সকল নিয়ামত কি? সে বলল, আমি একটি দু’আ করেছি যার উসীলায় কল্যাণ লাভের কামনা করি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেলেনঃ পূর্ণ নিয়ামাত হচ্ছে জান্নাতে প্রবেশলাভ এবং জাহান্নাম হতে রেহাই।
তিনি আরেক ব্যক্তিকে বলতে শুনেনঃ “হে মর্যাদা ও মহত্বের অধিকারী”। তিনি বলেলেনঃ তোমার দু’আ ক্ববুল করা হবে, অতএব প্রার্থনা কর। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরেক ব্যক্তিকে বলতে শুনেনঃ “হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট সবরের প্রার্থনা করি”। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেলেনঃ তুমি তো আল্লাহ তা’আলার নিকটে দুরবস্থা প্রার্থনা করেছ, অতএব তাঁর নিকটে শান্তি ও নিরাপত্তা কামনা কর।

—জামে' আত-তিরমিজি, হাদীস নং ৩৫২৭

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ ইসহাক মাহমুদ
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৩৬৫২৬

দোয়া কবুল হওয়ার রুকন ও শর্তসমূহ


২১ জুলাই, ২০২৩

ঢাকা ১২০৫

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

২৬৯৮০

অলসতা ও উদাসীনতার প্রতিকার


২৬ ডিসেম্বর, ২০২২

Laxmikole Rd

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

৮৫৬৭১

মুমূর্ষু ব্যক্তির পাশে করনীয় আমাল


২০ জানুয়ারী, ২০২৫

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী আবু সাঈদ

২৬৩৩০

যেভাবে দোয়া করলে আল্লাহ কবুল করেন


৭ ডিসেম্বর, ২০২২

নামবিহীন রাস্তা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy