আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

দুনিয়ার পর আখিরাতে কি ভাই-বোনের আর দেখা হবে না? এটা কি সহীহ্ হাদিস? এটার প্রমাণ কি?

প্রশ্নঃ ১০০৪৮০. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, দুনিয়ার পর আখিরাতে কি ভাই-বোনের আর দেখা হবে না? এটা কি সহীহ্ হাদিস? এটার প্রমাণ কি?,

২৩ এপ্রিল, ২০২৫

ঢাকা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

لِکُلِّ امۡرِیًٴ مِّنۡہُمۡ یَوۡمَئِذٍ شَاۡنٌ یُّغۡنِیۡہِ ؕ
(কেননা) সে দিন তাদের প্রত্যেকের এমন দুশ্চিন্তা দেখা দেবে, যা তাকে অন্যের থেকে ব্যস্ত করে রাখবে। (সূরা আবাসা: ৩৭)
তাফসীরে তাওযীহুল কুরআন:
ফলে নিজেকে ছাড়া অন্য কাউকে নিয়ে ভাবতে পারবে না। এমন কি নবী-রাসূলগণও সেদিনের বিভীষিকায় সন্ত্রস্ত হয়ে বলতে থাকবে হায়, আমার কী উপায় হবে, আমার কী উপায় হবে!

এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলা হয়, কিয়ামতের দিন মানুষের ভয়ে, চিন্তায় ও নিজের জবাবদিহির ভয়ে—সে নিজের সবচেয়ে প্রিয় মানুষদের থেকেও মুখ ফিরিয়ে নিবে।

অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআ’লা বলেন,
وَالَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَاتَّبَعَتۡہُمۡ ذُرِّیَّتُہُمۡ بِاِیۡمَانٍ اَلۡحَقۡنَا بِہِمۡ ذُرِّیَّتَہُمۡ وَمَاۤ اَلَتۡنٰہُمۡ مِّنۡ عَمَلِہِمۡ مِّنۡ شَیۡءٍ ؕ کُلُّ امۡرِیًٴۢ بِمَا کَسَبَ رَہِیۡنٌ
যারা ঈমান এনেছে এবং যাদের সন্তান-সন্ততিগণ ঈমানের ক্ষেত্রে তাদের অনুগামী হয়েছে, আমি তাদের সন্তান-সন্ততিদেরকে তাদের সাথে মিলিয়ে দেব এবং তাদের কর্ম হতে কিছুমাত্র হ্রাস করব না। ৩ প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ কৃতকর্মের বিনিময়ে বন্ধক রয়েছে। (সূরা তুর: ২১)

উপরোক্ত দুটি আয়াতকে সামনে রাখলে বুঝা যায়, মিলিত হওয়ার একমাত্র আমল রবকে রাজিখুশি করা। যে কাজ করলে আল্লাহ তাআ’লা রাজিখুজি থাকেন, তা করলে মৃত্যুর পরও একসাথ হওয়া যাবে। ইনশাআল্লাহ।

সুতরাং আপনারা যদি ঈমানদার হোন, তবে জান্নাতে পরিবার ও প্রিয়জনদের সঙ্গে মিলন হবে।
হবে না মর্মে যে কথাটি বলা হয়েছে তা এ উদ্দেশ্যে এভাবে হাদীসে বর্ণিত হয়নি।

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী শাহাদাত হুসাইন ফরায়েজী
খতীব, রৌশন আলী মুন্সীবাড়ী জামে মসজিদ, ফেনী

প্রসঙ্গসমূহ: