প্রবন্ধ
স্মৃতিতে অম্লান বড় চাচাজান: হযরত প্রফেসর হামীদুর রহমান রহ.
হযরত প্রফেসর হামীদুর রহমান ছাহেব রহ. সম্পর্কে আমার আপন বড় চাচা। পারিবারিক ঐতিহ্য অনুযায়ী আমরা তাঁকে 'চাচ্চু' বলে ডাকতাম। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়। মেঝো চাচা জনাব ডা. শহীদুর রহমান সাহেব দীর্ঘ অর্ধ-শতাব্দী পূর্ব হতেই আমেরিকার বাসিন্দা। আর সবার ছোট হলেন আমার মুহতারাম আব্বাজান ইঞ্জিনিয়ার মাশহুদুর রহমান সাহেব দা.বা.।
আমার জন্ম হয়েছে বড় চাচার বুয়েটের বাসায়। ১৩ শাওয়াল ১৩৯৭ হিজরী মোতাবেক ২৮ সেপ্টেম্বর ১৯৭৭ ঈসায়ী সালে। আব্বার কাছে শুনেছি, আমার জন্মের পর বড় চাচা আমাকে প্রথমবার কোলে নিয়ে শুভ-লক্ষণ হিসেবে সূরা হুদের নিম্নলিখিত আয়াতটি তিলাওয়াত করেছিলেন-
قَالُوا أَتَعْجَبِينَ مِنْ أَمْرِ اللَّهِ ۖ رَحْمَتُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ عَلَيْكُمْ أَهْلَ الْبَيْتِ ۚ إِنَّهُ حَمِيدٌ مَّجِيدٌ
অর্থ: ফেরেশতাগণ বললেন, আপনি (হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালামের স্ত্রী হযরত সারা) কি আল্লাহর হুকুম সম্বন্ধে বিস্ময়বোধ করছেন? আপনাদের মতো সম্মানিত পরিবারবর্গের উপর রয়েছে আল্লাহর রহমত ও প্রভূত বরকত। নিশ্চয়ই তিনি সর্বময় প্রশংসার হকদার, অতি মর্যাদাবান। (সূরা হুদ-৭৩)
বি.দ্র. আয়াতে কারীমার এ তরজমারও অবকাশ রয়েছে- "হে পরিবারবর্গ! তোমাদের প্রতি রয়েছে আল্লাহর রহমত ও বরকত।" (তাফসীরে তাওযীহুল কুরআন (বাংলা) খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ৭৩)
আমার শৈশব ও ছেলেবেলা কেটেছে এ আলোকিত মানুষটির নিবিড় তত্ত্বাবধানে, তাঁরই চোখের সামনে, বুয়েটের সবুজ ক্যাম্পাসে। প্রতিটি ব্যাপারে তিনি আমার নেগরানী (তত্ত্বাবধান) করতেন। হাতের নখ বড় না ছোট নিয়মিত পরখ করতেন। পানি পান করার সময় বসে পান করি কিনা, ডান হাতে পান করি কিনা, নামাযের জামাআতে সময় মতো শরীক হই কিনা, আযান চলাকালীন কোনো কথাবার্তা বলি কিনা, রাস্তায় গোবর বা অন্য কোনো নাপাকী হতে সতর্ক থাকি কিনা- ইত্যাদি সব ব্যাপারে সতর্ক দৃষ্টি রাখতেন। এভাবে ছোট্ট বয়সেই তিনি আমার কোমল হৃদয়ে সুন্নাতে নববীর প্রতি ভালোবাসার বীজ বুনে দেন।
তিনি মৃদুভাষী ও মিতবাক মানুষ ছিলেন। কথাবার্তা খুবই কম বলতেন। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কথা বলতেন না। অকারণে হাসি-তামাশা করতেন না। জীবনে কখনও অশ্লীল কথা বলেননি। কাউকে গালি দেননি। মানবীয় সকল উত্তম গুণের আধার ছিলেন। যে তাঁর সংস্পর্শে অল্প সময় থাকতো সে-ই তাঁর ভক্ত হয়ে যেতো। সবাই মনে করতো, তিনি তাকেই সবচেয়ে বেশী মহব্বত করেন। ছোটদেরকে খুব স্নেহ করতেন। তাঁর থেকে প্রায় ৪০ বছরের ছোট হওয়া সত্ত্বেও তিনি আমাকে 'আপনি' বলে সম্বোধন করতেন। রিকশা বা সিএনজিতে উঠলে নির্ধারিত ভাড়া থেকে অতিরিক্ত টাকা চালককে দিয়ে দিতেন। অসহায় মানুষের প্রতি খুব লক্ষ রাখতেন।
২০০০ সালে আমার প্রথম হজ্জের সফরে চাচাজানের সঙ্গী হওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল। তখন খুব কাছে থেকে দেখেছি, কিভাবে তিনি পাগলপারা হয়ে অসহায় বয়স্ক দেশী-বিদেশী হাজীদের খেদমত করেন। প্রচণ্ড রোদের মধ্যে অজানা স্থান হতে ঠাণ্ডা পানি সংগ্রহ করে নিজে বহন করে অনেক দূর পর্যন্ত চলে যেতেন। যে কাজ ২৩ বছরের টগবগে যুবক হয়েও আমি করতে সক্ষম ছিলাম না, সেই কাজ ৬২ বছরের এই 'বৃদ্ধ-যুবক' কিভাবে আঞ্জাম দিতেন তা এখনও বুঝে আসে না!
ঐ হজ্জের সফরেই মদীনা মুনাওওয়ারা হতে জেদ্দা বিমান বন্দরে যাওয়ার সময় বাসে স্থান সংকুলান না হওয়ায় তিনি আমাদেরকে জোর করে বাসের ভেতর বসিয়ে নিজে বাসের ছাদে আরোহণ করেন।
জামি'আ রাহমানিয়ায় শিক্ষকতা শুরু করার পর (২০০১ ঈসায়ী) আমি চাচাজানের সাপ্তাহিক ইসলাহী মাহফিলে (আজিমপুরের চায়না বিল্ডিংয়ের গলি) নিয়মিত শরীক হতে পারছিলাম না, তাই একদিন আমাকে বললেন, কী ব্যাপার আপনাকে যে আমরা নিয়মিত পাই না! কী চমৎকার ও মিষ্টি সম্বোধন। অথচ তিনি আমাকে নির্দেশ দিয়েও কথাটা বলতে পারতেন।
১৯৮৪ সালে মাত্র কয়েকদিনের জন্য চীন সফরে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়েও আমাকে ভুলেননি; কার্ডের পেছনে নসীহত সংবলিত চিঠি লিখে পাঠিয়েছিলেন। আর পবিত্র রমাযানে তারাবীহর সময় তিনি আমাদের যে খেদমত করতেন, সেকথা মনে পড়লে এখনও চোখ ভিজে ওঠে। প্রতি চার রাকআত পরপর ঠাণ্ডা পানীয় বা জুস ইত্যাদি পান করাতেন। আর তারাবীহ শেষে পলাশী মোড়ের রাজধানী ফাস্টফুড-এ নিয়ে গিয়ে যার-যার পছন্দমত আইসক্রীম খাওয়াতেন।
কুরআনে কারীমের এমন নজিরবিহীন আশেক আমি আজ পর্যন্ত দেখিনি। আমার সঙ্গে দেখা হলেই তিনি কোনো না কোনো আয়াতে কারীমার অর্থ বা ব্যাখ্যা জিজ্ঞেস করতেন। তাঁর তো সেটা জানাই ছিল, শুধু আমার ফায়দার জন্যই তিনি এমনটি করতেন।
উত্তরায় প্রতি সোমবার বাদ মাগরিব হতে ইশা পর্যন্ত চাচাজানের ইসলাহী মজলিস হতো। বহু মানুষ এর দ্বারা উপকৃত হয়েছেন। লজ্জার কারণে আমি অনেক সময় দূরে বসতাম। কিন্তু তিনি ঠিকই আমাকে দেখে ফেলতেন। ফলে সামনে ডেকে নিতেন এবং আমার অন্তরে যা আসে তা-ই বলার জন্য অনুরোধ করতেন। এভাবেই তিনি ছোটদেরকে মূল্যায়ন করতেন, উৎসাহ দিতেন।
আমি অধম কর্তৃক লিখিত বা অনূদিত কোনো বই চাচাজানকে হাদিয়া দেওয়া হলে এতো খুশী হতেন যে, ভাষায় ব্যক্ত করার মতো নয়। মাকতাবাতুল আশরাফ কর্তৃক প্রকাশিত 'মাওয়ায়েযে আবরার সমগ্র' যখন নতুন আঙ্গিকে প্রকাশিত হলো, তখন তিনি একাধিক কপি সংগ্রহ করে বিভিন্নজনকে উপহার দেন। আমার শাইখ ও মুরশিদ হযরতওয়ালা মুফতী ছাহেব হুযূরকেও এক কপি হাদিয়া দিয়েছিলেন।
তিনি ছিলেন ইখলাসের মূর্তপ্রতীক। ১৯৯৭ সালে যখন আমার একটা প্রবন্ধ ইসলামিক ফাউন্ডেশনে পাঠানোর জন্য প্রস্তুত করা হলো, আর আমার একজন উস্তাদ পৃষ্ঠার শুরুতে আমার পরিচিতিমূলক কিছু উপাধি জুড়ে দিলেন। ঘটনাক্রমে ঐ কাগজটি হযরত চাচাজান রহ.-এর দৃষ্টিগোচর হওয়া মাত্রই তিনি প্রবন্ধের প্রথম পৃষ্ঠাটি ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে কাগজের ঝুড়িতে ফেলে দেন। আর বলেন, আপনার নামে যদি কেউ চোর, ডাকাত, বদমাশ ইত্যাদি বিশেষণ যুক্ত করে, আপনি কি সেটা মানতে পারবেন? ব্যস, সেই এক সবকেই আমার সারা জীবনের নসীহত হয়ে গেছে।
২০০৪ সালের ডিসেম্বরে মুহিউস সুন্নাহ হযরতওয়ালা হারদূয়ী রহ. সর্বশেষ বাংলাদেশ সফর করেন। তখন আমি অধম কর্তৃক অনূদিত 'মাওয়ায়েযে আবরার সমগ্র' ২য় খণ্ড প্রকাশিত হয়। আমি সরাসরি হযরতের হাতে একটি কপি হাদিয়া পৌছাতে চাচ্ছিলাম; কিন্তু কোনোভাবেই সক্ষম হচ্ছিলাম না। তাই চাচাজান রহ.-কে অনুরোধ করলাম, তিনি যেন কপিটি হযরতওয়ালা হারদূয়ী রহ. পর্যন্ত পৌঁছে দেন। তখন তিনি আমাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলেছিলেন, আমি পৌঁছানোর চেষ্টা করব, তবে না পৌঁছাতে পারলে আপনি মনে কোনো কষ্ট রাখবেন না। কারণ, আল্লাহ পাক সূরা হাদীদের ২৫ নম্বর আয়াতে বলেছেন-
وَلِيَعْلَمَ اللَّهُ مَن يَنصُرُهُ وَرُسُلَهُ بِالْغَيْبِ ۚ إِنَّ اللَّهَ قَوِيٌّ عَزِيزٌ
অর্থ: এটা এজন্য যে, আল্লাহ তা'আলা জানতে চান, কে তাঁকে না দেখে তাঁর দীনের ও তাঁর রাসূলগণের সহযোগিতা করে। নিশ্চয়ই আল্লাহ মহাশক্তিমান ও সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। (সূরা হাদীদ-২৫)
চাচাজান রহ. আয়াতটি পড়ে আমাকে বুঝিয়েছেন যে, হযরতওয়ালা হারদূয়ী যদি কোনো কারণে তোমার এই কলমী খেদমত সম্পর্কে জানতে না পারেন তাতে কোনো সমস্যা নেই। কারণ মহান আল্লাহ তো সব কিছুই জানেন। আর এটাই তো নেক কাজের একমাত্র লক্ষ্য-উদ্দেশ্য।
২০০০ সালে আমার আব্বাজানের সফরসঙ্গী হিসেবে ভারতের রাজধানী দিল্লী গিয়েছিলাম। রাতে একটি হোটেলে ছিলাম। শেষ রাতের দিকে আমার পায়ের মাংসপেশীতে প্রচণ্ড টান পড়ে। অসহ্য যন্ত্রণায় ছটফট করছিলাম। হঠাৎ দেখি, চাচাজান রহ, আমার পা টিপে দিচ্ছেন। বিনয় ও নম্রতা আর কাকে বলে!
অধমের বড় ছেলে হাফেয আব্দুল্লাহ সিদ্দীক শাবীবের কুরআনে কারীমের হিফয শেষ করার খবর শুনে তিনি খুশীতে কেঁদে ফেলেছেন। মেঝো ছেলে আব্দুর রহমান আল-আসাদ খুব দ্রুত হিফয সম্পন্ন করছে- বড় ভাই মুহতারাম মুফতী রিযওয়ানুর রহমান ছাহেব দা.বা.-এর মাধ্যমে এ সংবাদ জানতে পেরে তার জন্যও হাত তুলে দু'আ করেছেন। দু'আর সময় অশ্রু সংবরণ করতে পারেননি।
প্রতি মঙ্গলবার আমার চাচাজান ও আব্বাজান দুই ভাই মিলে তাঁদের দেশের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের নয়াগাঁও যেতেন সেখানকার ফুরকানিয়া মকতব চাঙ্গা রাখার জন্য। মাঝে-মধ্যে বাদ মাগরিব সেখানে আম-বয়ানও হতো। চাচাজান একাধিকবার সরাসরি ফোন করে আমাকে বয়ান করার জন্য ডেকে পাঠান, যা ছিল আমার প্রতি তাঁর স্নেহ-মমতার বহিঃপ্রকাশ। আজিমপুর ছাপড়া মসজিদ-সংলগ্ন হিফযখানায়ও যেখানে আমি (১৯৮৩-১৯৮৬) হিফয করেছি ও শুনিয়েছি- ছাত্রদের উদ্দেশে নসীহত করার জন্য অধমকে বহুবার পাঠিয়েছেন। এটাও আমার জীবনের অন্যতম সুখস্মৃতি হয়ে আছে।
২০১৭ সালের হজ্জের সফরে মিনার তাঁবুতে জুমু'আর নামায পড়ানোর জন্য তিনি চারজন আলেমকে বাছাই করেছিলেন। তার মধ্যে এই অযোগ্য অধমের নামও ছিল। চাচাজান যে আমাকে মনে-প্রাণে কতোটা ভালো-বাসতেন এটা তারই একটা নমুনা মাত্র।
চাচাজানের তৃতীয় ছাহেবযাদা মাওলানা আরিফুর রহমান ছাহেব হাফিযাহুল্লাহ- যিনি সফরে-হযরে, আবাসে-প্রবাসে চাচাজানের খেদমত করে সম্ভবত নিজের জন্য জান্নাত ওয়াজিব করে নিয়েছেন- কয়েকদিন আগেও বলেছেন, "আব্বা তোমাকে কখনও ভাতিজা নয়, বরং নিজের ছেলে হিসেবেই দেখেছেন।" আহ! একথায় আমার শরীরের পশমগুলো দাঁড়িয়ে গিয়েছিল।
চাচাজানের মেঝো ছাহেবযাদা ও অত্যন্ত আদরের পুত্র হাফেয মাওলানা মুস্তাফীযুর রহমান ছাহেব এই সেদিনও বললেন, "তুমি যখন জিগাতলা মাহফিলে বয়ান করছিলে তখন আব্বা ও আম্মা খুব মনোযোগ দিয়ে তোমার কথা শুনছিলেন। আব্বা তো বয়ান শুনছিলেন আর কাঁদছিলেন।"
বস্তুত এখানে আমার কোনো কৃতিত্ব নেই। সবই হলো মহান আল্লাহর দান ও চাচাজীর দু'আর বরকত। তাঁর নেক তাওয়াজ্জুহ ও দু'আর বরকতেই সম্ভবত আমার নামটি মানুষের কাতারে আছে। আল্লাহ তা'আলা যে আমাকে এমন চাচা মিলিয়েছেন, তার জন্য আমি গর্বিত, ধন্য।
নেই নেই এমন চাচার নেই যে তুলনা,
পারলে কেউ আনুক দেখি তাঁর নমুনা।
চাচাজান রহ.-এর জীবনের যে বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলো আমার বুঝে আসে তা নিম্নরূপ-
০১. উলামা হযরতদেরকে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে শ্রদ্ধা ও মহব্বত করা। কখনই তাঁদের বদনাম বা সমালোচনা না করা। তিনি প্রায় সময় তাঁর প্রথম শাইখ হযরত হাফেজ্জী হুযূর রহ.-এর উদ্ধৃতিতে বলতেন- "মানুষের খুবী দেখন চাই।" অর্থাৎ যার মধ্যে যে ভালো গুণটি আছে সেটা দেখা উচিত; মন্দ স্বভাবের দিকে না দেখা।
০২. সারা দেশে ফুরকানিয়া মকতব প্রতিষ্ঠা করার জন্য অক্লান্ত মেহনত। এজন্য তিনি দিন-রাত একাকার করে ফেলেছেন। নিজের স্বাস্থ্য বা আরামের প্রতি কোনো খেয়াল থাকতো না। শুধু যদি কেউ বলত- "স্যার বা হুযূর! আমার গ্রামে একটি মকতব করতে চাই বা করেছি। আপনি একটু কষ্ট করে গেলে খুব খুশী হবো।" সঙ্গে সঙ্গে নিজ খরচে সেখানে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে যেতেন। কী শীত, কী গরম, কী শহর, কী দুর্গম গ্রামীণ জনপদ- এ সবের তিনি মোটেই পরওয়া করতেন না। এ ব্যাপারে মাঝে-মধ্যে হযরত হাফেজ্জী হুযূর রহ.-এর কথা শোনাতেন, যা তিনি ১৯৮১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে বলেছিলেন- "যদি আল্লাহ তা'আলা আমাকে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট বানান তাহলে আমি ৬৮ হাজার গ্রামে ৬৮ হাজার মকতব প্রতিষ্ঠা করব।"
০৩. সর্বক্ষেত্রে নিজের উপর অন্যকে প্রাধান্য দান। যেটা সাহাবায়ে কেরাম রাযি.-এর বিশেষ গুণ ছিল। এই গুণটিও আমার চাচাজানের মধ্যে পরিপূর্ণ মাত্রায় বিদ্যমান ছিল। এ প্রসঙ্গে বহু ঘটনা ব্যক্তিগতভাবে আমার জানা আছে। কলেবর বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় আমি এই স্মৃতিচারণমূলক রচনার লাগাম এখানেই টেনে ধরছি।
মহান আল্লাহ তাঁর এ নেক বান্দার উপর কিয়ামত পর্যন্ত রহমতের বৃষ্টি বর্ষণ করুন। তাঁর কবরকে জান্নাতের টুকরো বানিয়ে দিন। আমীন।
মন্তব্য (...)
এ সম্পর্কিত আরও প্রবন্ধ
বয়স্কদের ইলম শেখা : কিছু সমস্যা ও সমাধান
আপনারা আর সাধারণ তালিবুল ইলম যারা তারা এক নয়। যেহেতু আপনারা সকলেই বয়স্ক। একেকজন একেক পেশার সঙ্গে য...
মা-বাবাকে খুশি রাখো, সব জায়গায় সফল হবে
দুঃখজনক বিষয় হলো, পাশ্চাত্যের অশুভ প্রভাবে আমাদের সমাজেও এখন মা-বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানোর প্রবণতা ব...
হাদীসের পাঠ : নাজাতের পথ
الحمد لله رب العالمين، والصلاة والسلام على سيد الأنبياء والمرسلين سيدنا ومولانا محمد وعلى آله وأصحاب...
সমাজসভ্যতা ও মানব জনমের অভিনব বিবরণ
মুহতারাম ভাই ও বোনেরা আমার! আপনারা আমার প্রতি যে আস্থা ও সম্মান প্রদর্শন করেছেন সেজন্য আমি শুকরিয়া জ...