প্রবন্ধ

নেয়ামতের প্রভাব - পুরনোদের জোড়ে টঙ্গীতে ৩০ নভেম্বর,২০২৪ মাগরিব বাদ

লেখক:মাওলানা ইবরাহীম দেউলা
৩০ নভেম্বর, ২০২৪
৪২২৫ বার দেখা হয়েছে
মন্তব্য

[পুরনোদের জোড়ে টঙ্গীতে ৩০ নভেম্বর,২০২৪ মাগরিব বাদ বয়ান থেকে সংগৃহীত]

মূল বয়ানের লিঙ্কঃ- https://muslimbangla.com/lecture/3296/


আল্লাহ ﷻ এর হামদ ও সালাতের পর…


১. দ্বীনের কথা ইচ্ছাকৃতভাবে শুনা উচিত।

২. ‘যাকে যে নেয়ামত দেয়া হয়েছে, সে নেয়ামতের প্রভাব (জাহের হওয়া) যেন তার উপর থাকে। এটা আল্লাহ ﷻ পছন্দ করেন। এটা হাদীসের কথা।

যেমন- ধনী ব্যক্তি তার শান অনুযায়ী পোশাক-পরিচ্ছদ পরিধান করা।

তো আল্লাহ ﷻ যে আমাদের দাওয়াতের মেহনতের নেয়ামত দিয়েছেন, সেটার কি প্রভাব আমাদের উপর থাকা উচিত?

দ্বীনের কথা শুনার দ্বারা, দ্বীনের মেহনত করার দ্বারা কি আছর আমাদের উপর হলো?

৩. জ্ঞানী ও জাহেলের পার্থক্য

দুনিয়া দিয়ে দুনিয়া বানায়- জাহেল লোক

দুনিয়া দিয়ে আখেরাত বানায়- জ্ঞানী মানুষ।

৪. সাহাবায়ে কেরাম [রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম] দুনিয়া দ্বারা আখেরাত বানাইছেন। যার দ্বীন যত উঁচুতে গেছে, তিনি তত দুনিয়া দ্বারা আখেরাত বানাইছেন। যেমন- হযরত আবু বকর [রদ্বিয়াল্লাহু আনহু]

৫. দুনিয়ার হাক্বিক্বত হাদীসের আলোকে

দুনিয়াকে ঘর ঐ ব্যক্তিই বানায়, যার আখেরাতে ঘর নাই। দুনিয়ার মাল দিয়ে দুনিয়া ঐ ব্যক্তিই কামায়, যার আখেরাতে মাল নাই। দুনিয়াকে ঐ ব্যক্তিই জমা করে, যার আক্বল নাই।

৬. দুনিয়ায় দুটি জিনিস গুরুত্বপূর্ণ

হায়াত- আল্লাহ ﷻ এর সৃষ্টি।

মাল- জরুরত পুরা করার মাধ্যম।

এই দুটি জিনিস দিয়েছেন কারণ, দুনিয়া হক আদায় করার জায়গা। এজন্যই এই জিন্দেগী দামি। আর আখেরাত পুরস্কার লাভের জায়গা।

৭. দুনিয়ায় সবচেয়ে বড় হক্ব আল্লাহ ﷻ এর হুকুক আদায় করা। তার সাথে কাউকে শরীক না করা। তার উপর ঈমান আনা।

৮. সকল নবী ঈমানেরই দাওয়াত দিয়েছেন। এটা সবচেয়ে বড় জিনিস। যাতে আমাদের জিন্দেগী আল্লাহ ﷻ এর আনুগত্যের উপর কাটে। সাহাবায়ে কেরাম [রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম]ও এমন ছিলেন।

৯. জান ও মালের ব্যাপারে একজন মুমিন আমানতদার। সে এই জান ও মাল নিজের খেয়ালখুশি অনুযায়ী খরচ করবেনা। এটা আল্লাহ ﷻ এর ইচ্ছানুযায়ী ব্যবহার করবে।

১০. যদি কেউ ঈমান আনে ও আনুগত্য করে, তখন আল্লাহ ﷻ দুনিয়া ও আখেরাতের বরকত দিয়ে দেন।

১১. আনুগত্য দুই প্রকার

এক. আল্লাহ ও তাঁর রাসূল ﷺ এর আনুগত্য।

দুই. নফসের আনুগত্য।

এক. আল্লাহ ও তাঁর রাসূল ﷺ এর আনুগত্য- আল্লাহ ﷻ তাঁর রাসূল ﷺ এর আনুগত্য করা মহব্বতের সহিত। মুসলিমদের জিম্মাদারের আনুগত্য করা যতক্ষণ তিনি শরিয়াহ’র আনুগত্যের উপর থাকেন।

দুই. নফসের আনুগত্য- এটা শয়তানের ধোঁকা। নিজের মনমতো চলা। যেখানে শরিয়াহ’র বালাই নেই।

১২. ইলম ও যিকিরের সাথে হরকত করতে হবে। ইলমের দ্বারা জাহালাত তথা অজ্ঞতা দূর হয়। আর যিকিরের দ্বারা গাফলত তথা অলসতা দূর হয়।

হযরত মাওলানা ইলিয়াস সাহেব রহ. একথা বলতেন, ❝ সর্বপ্রথম ফাযায়েলের ইলম অর্জন করা উচিত। যদি কারো ফাযায়েলের ইলম থাকে, তবেই সে আমলকে দামি মনে করবে। ❞

১৩. এক হলো জাযায়েলের ইলম জেনে আমল করা। আরেকটা হলো আদত বা অভ্যাস হিসেবে গাফলতের সাথে করা। নবীর সকল সুন্নাহ’য় নূর আছে। তাই সুন্নাহ হিসেবে করা উচিত।

১৪. সংক্ষেপে বলতেছি- আমাদের ইজতেমায়ি জিন্দেগী আল্লাহ ﷻ এর দ্বীনের নুসরতের (দাওয়াতের আমল) সাথে হবে। আর আমাদের ইনফেরাদি জিন্দেগী হবে সুন্নাতের সাথে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত (সর্বদা)।

মন্তব্য (...)

এ সম্পর্কিত আরও প্রবন্ধ

কাদিয়ানী থেকে মুসলমানঃ ফিরে আসার গল্প - ০১

...

বিবিধ
১০ নভেম্বর, ২০২৪
১৪৩৮ বার দেখা হয়েছে

‘এ দাওয়াত ও তাবলীগের উদ্দেশ্য হচ্ছে দ্বীনের তলব পয়দা করা’

...

আল্লামা সাইয়্যেদ আবুল হাসান আলী নদভী রাহ.
১০ নভেম্বর, ২০২৪
২৫৬২ বার দেখা হয়েছে

লেখকবৃন্দ

সকল লেখক →

বিবিধ

মাওলানা আবু তাহের মিছবাহ দাঃ

শাইখ মুহাম্মাদ আওয়ামা

মাওলানা ইমদাদুল হক

আল্লামা সাইয়্যেদ আবুল হাসান আলী নদভী রাহ.

মাওলানা মুহাম্মদ গিয়াসুদ্দীন হুসামী

আল্লামা মনযুর নোমানী রহঃ

মাওলানা শিব্বীর আহমদ

মাওলানা মাহমুদ বিন ইমরান

আল্লামা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম দাঃ

মাওলানা ইনআমুল হাসান রহ.

মাওলানা যাইনুল আবিদীন

আবদুল্লাহ আল মাসউদ

শাইখুল ইসলাম আব্দুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ রহ.

মুফতী আবুল হাসান মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ

আল্লামা ইকবাল

হযরত মাওলানা মুহিউদ্দীন খান

মাওলানা আবদুল্লাহ বিন সাঈদ জালালাবাদী

শাইখ আলী তানতাভী

মাওলানা আতাউল কারীম মাকসুদ