প্রবন্ধ

একটি সুন্নাহকে বাঁচাবো বলে (৪৮তম পর্ব) – বউসেবী সুন্নাত

লেখক:শাইখ মুহাম্মাদ আতীক উল্লাহ
৯ জুলাই, ২০২৪
১০০৬ বার দেখা হয়েছে
মন্তব্য

কিছু সুন্নাত আছে, আদায় করলে সমাজে পারিবারিক অশান্তি বলে কিছু থাকবে না। চারদিকে সুখ আর সুখের নহর বইতে থাকবে। স্ত্রীর সম্মান করা, সংসার নিয়ে তার উদয়স্ত খাটুনির স্বীকৃতি দিতে পারা, একজন স্বামীর বড় গুণ।


কিন্তু মৌখিক প্রশংসার পাশাপাশি সরাসরি হাত লাগিয়ে সহযোগিতা করাও কিন্তু সুন্নাত। এক-দু’দিনের সুন্নাত নয়, নবীজি সা.-এর নিয়মিত প্রাত্যহিক আমল। আম্মাজান আয়েশাকে প্রশ্ন করা হলো:

-নবীজি ঘরের সময়টা কী করে কাটাতেন?

-তিনি ঘরের মানুষের কাজে হাত লাগাতেন। সেবাযত্ন করতেন। টুকিটাকি কাজ করতেন। নামাযের সময় হলে মসজিদে চলে যেতেন (ভাব তরজমা। বুখারী)


স্বামীরা বাইরের কাজে ব্যস্ত থাকেন। ঘরে ফেরেন ক্লান্ত-শ্রান্ত হয়ে। তারপরও তারা যদি নবীজির আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে, স্ত্রীর কাজে এগিয়ে যান, সঙ্গীনির মনটা নিশ্চয় কৃতজ্ঞবোধে আপ্লুত হয়ে উঠবে। নামকাওয়াস্তে নয়, বাস্তবিকই যদি সামান্য হলেও রান্নাঘরের কাজে, সামান্য সময় দেয়া হয়, একমিনিটের জন্যে হলেও, সংসারের রঙই বদলে যাবে।


পাঁচমিনিট সময় কিন্তু খুব বেশি নয়, যে কারো পক্ষে সম্ভব। পরিমাণে অল্প কিন্তু ফল বয়ে আনবে পাঁচঘণ্টারও বেশি। একটা প্লেট ধুয়ে দেয়া। বিছানাটা ঝেড়ে দেয়া। মশারীটা টাঙিয়ে দেয়া। ফাঁক করে ঘরটা ঝাড়ু দিয়ে দেয়া। একটু খানি ‘ছোট’ বাচ্চাটাকে সামলে-সুমলে রাখা। এসবকিছু নবীজিও করেছেন তাই আমিও করবো, এমন চিন্তা নিয়ে করলে, দ্বীনও হলো আখিরাতও বাদ পড়লো না।


নিজে না পারলে, সুন্নাত আদায়ের নিয়তে একজন ঠিকে সহকারীনি নিয়োগ দিয়ে হলেও হলেও টেনেটুনে কাজ চালানোর কসরত করা যেতে পারে।

মন্তব্য (...)

এ সম্পর্কিত আরও প্রবন্ধ

লেখকবৃন্দ

সকল লেখক →