প্রবন্ধ
একটি সুন্নাহকে বাঁচাবো বলে (৪৭তম পর্ব) – পানি পান
নবীজি সা.-এর সুন্নাত ও আদর্শ জীবনের প্রতিটি দিককে ছুঁয়ে আছে। এখানেই তার সাথে অন্য নেতাদের ফারাক। রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে শুরু করে একান্ত ব্যক্তিগত কাজেও আমরা ‘সুন্নাত’ খুঁজে পাই।
পানি পান করারও সুন্নাত তরীকা আছে। কিভাবে পান করতে হবে, সেটা নবীজি আমাদেরকে শিখিয়ে গেছেন। আমরা অনেকেই পান করার সময়, মুখে গ্লাসটা লাগিয়ে পান করা শুরু করি। একেবারে গ্লাস শেষ করে তবে গ্লাসটা মুখ থেকে আলগা করি।
না এটা নবীজির আদর্শ নয়। একবারে পুরো গ্লাস পান করলে অনেক সময় দেখা যায়, প্রয়োজনের চেয়ে বেশি পান করা হয়ে যায়। গ্লাস খালি করা তো উদ্দেশ্য নয়, পিপাসা মেটানো উদ্দেশ্য। কিন্তু আমরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই গ্লাস খালি করার জন্যেই যেন পান করি।
এটা ঠিক বেশি বেশি পানি পান করা স্বাস্থ্যের জন্যে ভাল। কিন্তু সব সময় বেশি পানি পান করা নিশ্চয় উপকারী নয়। বেশি পানি পান করারও নির্দিষ্ট নিয়ম আছে।
বেশি পিপাসার সময় তাড়াহুড়ো করে গ্লাস খালি করতে গিয়ে ‘বিষম’ লেগে দমও আটকে আসতে পারে। কাশিও উঠে যেতে পারে। এক্ষেত্রে নবীজির সুন্নাতও আমাদের জন্যে শ্রেষ্ঠ সমাধান। তিনি সব সময় তিনঢোকে পানি পান করতেন। একঢোক পান করতেন তারপর গ্লাসকে মুখ থেকে সরিয়ে নিতেন। তারপর আবার চুমুক দিতেন। এভাবে তিনবার। প্রত্যেকবার চুমুক দেয়ার পর একটা শ্বাস গ্রহণ করতেন। তারপর পাত্রে মুখ দিতেন। তবে নিশ্বাসটা পানপাত্রে ফেলতেন না। মুখকে দূরে সরিয়ে তবেই নিশ্বাস ফেলতেন।
আনাস রা. বলেছেন: নবীজি তিনঢোকে পানি পান করতেন। এবং বলতেন:
এ পদ্ধতিতে পানি পান করাটা অধিক তৃপ্তিকর, অধিক স্বাস্থ্যকর, অধিক সুন্দর! (মুসলিম)
আমরা চাইলেই সুন্নাতটা আদায় করতে পারি। দ্বীন ও দুনিয়া উভয় দিকেই লাভবান হতে পারি।
মন্তব্য (...)
এ সম্পর্কিত আরও প্রবন্ধ
সুন্নাতে খাতনা : করণীয়-বর্জনীয়
একটি হাদীসে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, পাঁচটি বিষয় ইসলামের স্বভাবজাত বৈ...
নিজের যিন্দেগীতে ফাতেমী সুন্নত যিন্দা করুন
...
ইসলামে শ্রমিকের অধিকার
ইসলাম একটি কালজয়ী অনবদ্য জীবন বিধান। বিশ্বসৃষ্টির শুরু থেকেই মহীয়ান- গরীয়ান ও সর্বশক্তিমান মহান আ...
রাসুলুল্লাহ সা.-এর ভাষায়: যারা আমাদের মধ্য থেকে নয়
اَلْحَمْدُ لِلّهِ وَكَفَى وَسَلَامٌ عَلَى عِبَادِهِ الَّذِيْن َاصْطَفَى اَمَّا بَعْدُ! فَاَعُوْذُ ...