আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

মহল্লা থেকে ইমাম সাহেবের খাবার প্রসঙ্গ

প্রশ্নঃ ৯৮১৫. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমি শরীয়তপুর থেকে নুরুল ইসলাম । আমাদের গ্রামে যে মসজিদ সংলগ্ন একটি মাদ্রাসা আছে। গতডিসেম্বরে হেফজ খানায় একজন ওস্তাদ রাখা হয় ।হেফজখানা য় লিল্লাহ বোর্ডিং নাই। সাধারণত গ্রামের লোকজন একজন এর খাবার দিয়ে অভ্যস্ত ওই ওস্তাদ কিছুদিন পর একজন ছাত্র তার আগের চাকুরীর জায়গা থেকে নিয়ে আসেন । ছাত্র টি আর্থিকভাবে স্বচ্ছল না। ছাত্র টি হেফজ খানায় থেকে হিফজ সম্পন্ন করতেছে।প্রথমে গ্রামের লোকেরা একজনকে খাবার দিত ।কিন্ত আর একজন ছাত্র দেখে হুজুরকে বিষয়টি জিজ্ঞাসা করলো।তিনি বললেন যে আমাদের এক জনের খাবারেই দুই জনের হয়ে যায়। কিন্তু গ্রামের লোকেরা এর পর থেকেই দুই জনের খাবার দেয়া শুরু করে দিল । যদিও কমিটি এই বিষয় কোন ঘোষণা দেয় নাই ।আমার মোটামুটি সচ্ছল।এরপর ও মাঝে মাঝে দুই জনের খাবার দেয়া একটু চাপ মনে হয়। অন্যদের খবর জানা নাই।সবাই সন্তুষ্ট চিত্তে খাবার দেয় কিনা জানা নেই ।আমার প্রশ্ন হলো :ওই ছাত্রের জন্য এই ভাবে খেদমত (খাবার) নেয়া(সরাসরি না ঘোষণা দিয়ে ) শরিয়তের দৃষ্টিতে ঠিক কিনা ? ঠিক হইলে তো আলহামদুলিল্লাহ।যদি ঠিক না হয় তবে সাধারণ মুসল্লি হিসেবে আমি কি করতে পারি?

১৫ জানুয়ারী, ২০২৫
Z৮০১২

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


যেহেতু ইমাম সাহেব আপনাদের কাছে দুইজনে খাবারের আবেদন করেননি। বরং “আমাদের এক জনের খাবারেই দুই জনের হয়ে যায়” বলে জানিয়েছেন । পরবতর্তীতে যারা দুইটা খাবার দেয়া শুরু করেছেন মনে হচ্ছে সেটা তারা স্বপ্রণোদিত হয়ে বা দয়ার পরবশ হয়েই দিচ্ছেন। কাজেই যদি কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা না থাকে তাহলে কারো জন্য দুইজনে খাবার দেওয়া আবশ্যক নয়। আর একজনের খাবারে দুইজন খেলে সেখানে যতি কমিটির কোনো অপত্তি না থাকে তাহলে অন্যদের অপত্তির প্রয়োজন নেই। কেননা যখন খাবার ইমাম সাহেবে রুমে পৌছে যায় তখন তিনি সেই খাবারের মালিক হয়ে যাবেন। তিনি চাইলে নিজেও খেতে পারেন আবার অন্যকেও খাওয়াতে পারেন।

والله اعلم بالصواب

মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন