প্রশ্নঃ ৯৪২৪. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমার মেয়ের বয়স ১ বছর চলছে।তার কিছু টাকা আছে।১.এই টাকা গুলো কি শুধু তার কাজেই ব্যয় করতে হবে নাকি আমরাও ব্যবহার করতে পারবো?২.আমি শুনেছিলাম ইসলামে যার যার মালিকানা ভিন্ন ভিন্ন।এই টাকাগুলো কার মালিকানায় এবং সে বালেগা হওয়ার আগ পর্যন্ত নেসাব পরিমাণ টাকা হলে কি তার উপর যাকাত ফরয ও কোরবানি ওয়াজিব হবে?৩.তার কিছু রুপার গহনা আছে এগুলো কার মালিকানায়? ৪.আমার এই পরিমাণ টাকা নেই যে আমার উপর যাকাত ফরয হবে অথবা কুরবানি ওয়াজিব হবে।কিন্তু মেয়ের টাকা আর আমার টাকা একত্র করলে হয়তো যাকাত ফরয এবং কোরবানি ওয়াজিব হবে।তাই এক্ষেত্রে কী হুকুম?আমার উপর কি যাকাত ফরয ও কোরবানি ওয়াজিব হবে?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
ওয়ালাইকুমুস সালাম,
প্রিয় ভাই!
প্রশ্নোক্ত টাকাগুলো আপনাদের হাতে আমানত। সন্তান বড় হওয়া পর্যন্ত সেগুলো হেফাজত করা আপনাদের দায়িত্ব। একান্ত শিশুর প্রয়োজনেই সেগুলো খরচ করার অবকাশ আছে। আপনাদের নিজস্ব কিংবা সাংসারিক প্রয়োজনে সেগুলো খরচ করতে পারবেন না।
প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া যাকাত এবং কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার পূর্বশর্ত। কাজেই বালেগ হওয়ার আগে তার সম্পদে যাকাত কিংবা কুরবানী দিতে হবে না। চাই সম্পদের পরিমাণ যত বেশীই হোক।
তার স্বর্ণ-রূপার মালিক সে নিজেই যা বর্তমানে আপনাদের হাতে আমানত। যকাত- কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার ক্ষেত্রে সেগুলো অন্যান্য টকা-পয়সার মতই।
আপনি নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলেই কেবল আপনার ওপর যাকাত-কুরবানী আবশ্যক হবে। তা না হলে নয়। যাকাতের ক্ষেত্রে যৌথ বা সামষ্টিক নেসাব গ্রহণযোগ্য নয়।
আশা করছি আপনি সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন। জাজাকুমুল্লাহ খাইরান।
والله اعلم بالصواب
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন