আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ৯৪১৩. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমার একটা ভাই বিয়ে করার সময় তার শশুড় বাড়ি থেকে জোর পূবক অনেক টাকা দেনমোহর লেখায় কিন্তু এতো টাকা আমার ভাই এর পক্ষে দেওয়ার সম্ভব না। এক মাত্র লোকের কাছ থেকে সুদ এ টাকা নিয়ে দেনমোহর দিতে হবে। এখন যেকোনো কারনে এখন তারা তালাক দিবে।প্রশ্নঃ ১।এখন কি ছেলেকে দেনমোহরের টাকা সব দিতে হবে (সব টাকা দিতে গেলে তাকে সব টাকা সুদ এ নিতে হবে)২। নাকি দেনমোহরের কিছু অংশ টাকা দিলেই হবে।,

১৪ অক্টোবর, ২০২১

শাজাহানপুর

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


ওয়ালাইকুম আসসালামু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

সম্মানিত প্রশ্নকারী!
প্রথমত, ইসলামী শরিয়তে দেনমোহর একমাত্র স্ত্রীর হক। সে তার অমূল্য সম্পদ-সতীত্ব দান করার মাধ্যমে এর মালিকানা লাভ করেছে। অপরদিকে এই সম্পদ গ্রহনকারীকে এই অবকাশও দিয়েছে সে যেন তার সাধ্যের মধ্য দিয়ে এটাকে গ্রহন করে। এখানে লৌকিকতার আশ্রয় নেওয়া প্রতারণার নামান্তর।

বিবাহের আকদের সময় মহরের যে পরিমান নির্ধারিত হয় নির্জনবাসের পর সেই পরিমান মহর আদায় করা স্বামীর জন্য ওয়াজিব। সেখানে হ্রাস করার কোনো সুযোগ নেই। তবে স্ত্রী যদি স্বেচ্ছায়, স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে, সন্তুষ্টচিত্তে, কোনোপ্রকার শারীরিক-মানসিক চাপ ব্যতীত নিজের মহরের কিছু অংশ বা সম্পূর্ণ মহর মাফ করে দেয় তাহলেই কেবল সেখানে হ্রাস করার সুযোগ আছে।

স্বামী তার ওপর আবশ্যকীয় ঋণ কিভাবে আদায় করবে এটা একান্তই তার ব্যাপার। সেটা স্ত্রীর দেখার বিষয় নয়।

দ্বিতীয়ত সুদ একটি অর্থনৈতিক অভিশাপ। ইসলামে যা সুস্পষ্ট হারাম। কাজেই ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে সুদে জড়িত হওয়ার কোনো সুযোগ নাই। বরং এক্ষেত্রে তিনি দুইটি পন্থা অবলম্বন করতে পারেন।
১.আলোচনার মাধ্যমে মহরের পরিমান কমানে।

২. সুদ মুক্ত ঋণ গ্রহনের মাধ্যমে।

কুরআনুল কারীমে ইরশাদ হয়েছে "

وَمَنْ يَتَّقِ اللَّهَ يَجْعَلْ لَهُ مَخْرَجًا * وَيَرْزُقْهُ مِنْ حَيْثُ لَا يَحْتَسِبُ وَمَنْ يَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ فَهُوَ حَسْبُهُ إِنَّ اللَّهَ بَالِغُ أَمْرِهِ قَدْ جَعَلَ اللَّهُ لِكُلِّ شَيْءٍ قَدْرًا {الطلاق:2-3}.

* বাংলা অর্থ :
আর যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্যে নিস্কৃতির পথ করে দেবেন।
এবং তাকে তার ধারণাতীত জায়গা থেকে রিযিক দেবেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে তার জন্যে তিনিই যথেষ্ট। আল্লাহ তার কাজ পূর্ণ করবেন। আল্লাহ সবকিছুর জন্যে একটি পরিমাণ স্থির করে রেখেছেন। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে তাওফিক দান করুন।

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর

প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

২১২৯৭

মহরে ফাতেমীর পরিমাণ কত?


২০ অক্টোবর, ২০২৪

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy