আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

মাজুরের সালাত

প্রশ্নঃ ৯৩৬৫. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম, আমার বয়স ২১ এর কম। আমি প্রস্রাব করার পর অনেকক্ষন যাবত আমার প্রস্রাব বন্ধ হয় না। ১-২ ঘন্টা পরও বন্ধ হয় না। কিন্তু প্রস্রাবের পরিমান বের হয় খুবই কম। সুইয়ের আগায় যেমন পানি থাকে তার থেকে একটু বেশি।এর কারনে নামাযে ঠিক মত মনযোগ দিতে পারি না। এক্ষেত্রে আমার করনীয় কি?আর যে কাপড়ের মধ্যে তা পড়ে তা দিয়ে কি নামাজ পড়া যাবে? প্রতিদিন তো আর কাপড় ধোয়া সম্ভব নয়।,

২৮ জানুয়ারী, ২০২৩

Chāndpur

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


প্রিয় ভাই! সর্বপ্রথম আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করি আল্লাহ তায়ালা আপনাকে এই রোগ থেকে চিরমুক্তি দান করুন। হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। কারণ শরিয়ত কারোও ওপর সাধ্যাতিরিক্ত কোনো কিছু চাপিয়ে দেয়নি। আপনার জন্য এখন করনীয় হলো,
১. আপনি যথাসম্ভব নামাজের পূর্বমূহুর্তে পেশাব করবেন না।হয়তো প্রতি ওয়াক্তে এটা সম্ভব হবে না তবে আপনি চেষ্টা করবেন যেন নামাজের আনেক আগেই আপনার পেশাবের রাস্তা শুকিয়ে যায়।
২.আর আপনার রোগটা যদি এমন হয় যে সারাক্ষণই অল্প অল্প পরিমাণ বের হতে থাকে, এতটুকু সময় পাওয়া যায় না, যার মাঝে ফরজ নামাজটুকু আদায় করা যায়, তাহলে শরিয়তের পরিভাষায় আপনি মাজুরের অন্তর্ভুক্ত। এমন ব্যক্তি প্রতি ওয়াক্ত নামাজের জন্য নতুন করে অজু করবেন এবং এই অজু দিয়ে ফরজ বা নফল যত রাকাত নামাজ পড়তে চায় পড়তে পারবে, কোরআন স্পর্শ করতে পারবে। ওয়াক্তের মধ্যে প্রস্রাব নির্গত হতে থাকলেও কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু পরের নামাজের সময় হয়ে গেলেই অজু ভেঙে যাবে। আবার নতুন করে অজু করে নামাজ পড়তে হবে। এভাবে আপনি আপনরা নামাজ-তেলাওয়াত চালিয়ে যেতে পারেন।
৩. আপনি নির্গত পেশাবের যে পরিমাণ উল্লেখ করেছেন তাতে মনে হয় না যে তা কাপড়ে লাগে। বরং কাপড়ে লাগার আগেই তা শুকিয়ে যাওয়ার কথা। তবে সতর্কতাবশত আপনি আন্ডারওয়ার পরিধান করতে পারেন।নামাজের আগে সেটাকে খুলে নিয়ে নামাজ আদায় করবেন এবং প্রয়োজনে পুনরায় পরিধান করাবেন এবং এটাকে অসম্ভব ভাবারও কোনো কারণ নেই।
৪. আরেকটি বিষয় স্মরণ রাখতে হবে অন্যান্য রোগের ন্যায় এটাও একটা স্বভাবিক রোগ। বর্তমানে এর চিকিৎসাও পাওয়া যায়।কাজেই অত্যধিক হতাশায় না ভুগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন। আল্লাহ তায়ালা তাওফিক দান করুন। আমিন ।
দেখুন সহিহুল বুখারি, হাদিস নং-228
عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ جَاءَتْ فَاطِمَةُ ابْنَةُ أَبِي حُبَيْشٍ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي امْرَأَةٌ أُسْتَحَاضُ فَلاَ أَطْهُرُ، أَفَأَدَعُ الصَّلاَةَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لاَ، إِنَّمَا ذَلِكِ عِرْقٌ، وَلَيْسَ بِحَيْضٍ، فَإِذَا أَقْبَلَتْ حَيْضَتُكِ فَدَعِي الصَّلاَةَ، وَإِذَا أَدْبَرَتْ فَاغْسِلِي عَنْكِ الدَّمَ ثُمَّ صَلِّي ‏"‏‏.‏ قَالَ وَقَالَ أَبِي ‏"‏ ثُمَّ تَوَضَّئِي لِكُلِّ صَلاَةٍ، حَتَّى يَجِيءَ ذَلِكَ الْوَقْتُ‏
মারাকিল ফালাহ-শরহে নুরুল ইজাহ্ পৃ:1১৪৯
ومن به عذر كسلس بول أو استطلاق بطن" وانفلات ريح ورعاف دائم وجرح لا يرقأ ولا يمكن حبسه بحشو من غير مشقة ولا بجلوس ولا بالإيماء في الصلاة فبهذا يتوضؤون "لوقت كل فرض" لا لكل فرض ولا نفل لقوله صلى الله عليه وسلم: "المستحاضة تتوضأ لوقت كل صلاة" رواه سبط ابن الجوزي عن أبي حنيفة رحمه الله تعالى فسائر ذوي الأعذار في حكم المستحاضة فالدليل يشملهم "ويصلون به" أي بوضوئهم في الوقت ما شاؤوا من "النوافل"

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
বাইতুল কুরআন মাদরাসা,মোহাম্মাদপুর

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৮০১৮৮

TVS টেস্টের কারণে কি গোসল ফরজ হবে?


২৮ জানুয়ারী, ২০২৫

নরসিংদী

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

৩৫৪০৪

ওযু ছাড়া আয়াত লেখার বিধান


২৩ জুন, ২০২৩

বশিকপুর

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী সিরাজুল ইসলাম

৩৪০৪৭

ফরজ গোসল করার সঠিক নিয়ম কি ?


৩১ মে, ২০২৩

চট্টগ্রাম

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ ইসহাক মাহমুদ

৩১৩০২

অমুসলিমে ঝুটা খাওয়ার বিধান


৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

জুড়ী

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy