আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ৭৯২৮. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, প্রশ্ন সুদ খেয়ে নামাজ পড়লে নামাজ কবুল হবে কিনা‍?

১১ আগস্ট, ২০২১
WJ৬V+VMV

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


وعليكم السلام ورحمة الله

আল্লাহ তাআলা সুদকে হারাম করেছেন।
হাদীসে এসেছে,
عبد الله بن مسعود عن أبيه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لعن الله آكل الربا وموكله وشاهديه وكاتبه

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-“যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়, তার সাক্ষী যে হয়, আর দলিল যে লিখে তাদের সকলেরই উপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯, মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদিস নং-৪৯৮১)

সুদী কারবারের মাধ্যমে উপার্জন নিঃসন্দেহে একটি হারাম উপার্জন।
সুদী উপার্জনের দরুন ব্যক্তি হারাম খাচ্ছে, হারাম পরিধান করছে আর হারামের মধ্যেই লিপ্ত আছে।

কোরআন ও হাদীস অনুযায়ী হারাম উপার্জনে অর্জিত শক্তি সামর্থের দ্বারা কৃত কোনো ইবাদত কবুল হবে না। তবে, ইবাদতের আদেশটুকু পালিত হবে। কবুল হবে না মানে সওয়াব বা প্রতিদান না পাওয়া। এরদ্বারা আল্লাহর সন্তুষ্টি ও জান্নাত না পাওয়া।
কিন্তু হারাম উপার্জনওয়ালা ব্যক্তির নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত মাফ নয়। বিধান হিসাবে এগুলো পালন করতেই হবে।

আমলের দুই অবস্থা। যথা-

১ আমলের দায়িত্বমুক্ত হওয়া।

২ আল্লাহর কাছে উক্ত আমল মকবুল হওয়া।

অতএব, ইবাদতে তার দায়মুক্তি হতে পারে। তবে,
ইবাদত আল্লাহর কাছে কবুল হবে না। যদিও পরবর্তীতে আর উক্ত আমলকে পুনরায় আদায় করা লাগবে না।

হারাম ভক্ষণকারীর করণীয়;

এসব আমলের পাশাপাশি তাকে অবিলম্বে হারাম ত্যাগ করতে হবে। হালাল পথ ধরতে হবে। কবুল হবে না বলে ইবাদত ছেড়ে দেওয়া মানুষকে কুফুরীর পথে ঠেলে দেয়। কেননা, এতে সংশোধন না হয়ে বরং আল্লাহর হুকুমের সাথে বিদ্রোহের মনোভাব অথবা নৈরাশ্যের আলামত দেখা যায়।

والله اعلم بالصواب

মুসলিম বাংলা ইফতা বিভাগ

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন