আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ৬৮৬৩. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, 1)এক হজুরের কাছে শুনেছি রমজানের কাযা রোজা ও শাওয়াল মাসের ছয় টি রোজা যদি কেউ দুই রোজার নিয়ত করে একটি রোজা রাখে তাহলে দুটিরই সোয়াব পাওয়া যাবে। সত্যিই কি দুটি রোজার নিয়তে একটি রোজা রাখলে হবে2)উমরি কাযা নামাজ পরার সময় কি বেতের নামাজও উমরি কাযা পরতে হবে। 3) সেহরি খাওয়া শেষ বলার সাথে সাথে এক গ্লাস পানি খেয়েছি তাহলে তাহলে কি রোজা হবে

১৪ জুলাই, ২০২১
রুপগঞ্জ

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


১- রযমানের কাযা রোযা এবং শাওয়ালের ছয় রোযা একত্রে নিয়ত করলে শুধু রমযানের কাযা রোযা আদায় হবে। শাওয়ালের ছয় রোযা আদায় হবে না। শাওয়ালের ছয় রোযা রাখতে হলে পৃথকভাবে শুধু এর নিয়তে রোযা রাখতে হবে।

-বাদায়েউস সানায়ে ২/২২৮; আদ্দুররুল মুখতার ২/২৭৯; ফাতহুল কাদীর ২/২৪৮; আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৩৪৪; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৯৭

২- বিতর নামায আদায় করা ওয়াজিব। তাই এটি কাযা হয়ে গেলে কাযা আদায় করতে হবে। বিতির নামাযের কাযা পড়তে হবে।

فى تنوير الأبصار- وكذا حكم الوتر

وقال ابن عابدين، لأنه فرض عملى عنده (رد المحتار، كتاب الصلاة، باب قضاء الفوائت-2/73، سعيد)

৩- আমাদের জানা মতে প্রতিটি সাহরী ও ইফতারের সময়সূচির ক্যালেন্ডারেই সতর্কতামূলক কত মিনিট আগ পিছ করে সময়টি লিখা হয়েছে তা লিখা থাকে।

আপনি যে সময়সূচি ফলো করছেন, সেখানে দেখুন সময়সূচিটি সুনির্দিষ্ট সময়ভিত্তিক দেয়া হয়েছে, নাকি সতর্কতামূলক কয়েক মিনিট আগেই সময় শেষ লেখা হয়েছে?

যদি দু’ এক মিনিট বা এর চেয়ে বেশি সময় আগেই সতর্কতামূলক সেহরীর শেষ সময় লেখা হয়ে থাকে। তাহলে আপনার রোযাটি হয়ে গেছে। আর যদি একদম সঠিক টাইমই লিখা হয়ে থাকে। তাহলে আপনার রোযা হয়নি। পরবর্তীতে কাযা করে নিতে হবে।

উদাহরণতঃ

সুবহে সাদিক হয় ৩ বেজে ১৯ মিনিটে। কিন্তু ক্যালেন্ডারে সতর্কতামূলক লেখা হয়েছে সুবহে সাদিক তথা সেহরীর শেষ সময় হল ৩টা ১৭ মিনিট।

তাহলে বুঝা গেল, সেহরীর শেষ সময় মূলত ৩টা ১৯। কিন্তু সতর্কতা হিসেবে লিখা হয়েছে ৩টা ১৭।

তাই ক্যালেন্ডারে ১৭ লেখা থাকলেও আপনি ১৯ এর আগ পর্যন্ত প্রয়োজনে সেহরী খেতে পারেন। কিন্তু এর পর খেলে রোযা হবে না।

তাই আপনি যে ক্যালেন্ডার অনুপাতে খানা খাচ্ছেন, সেটির সময় সংশ্লিষ্ট মন্তব্যটি দেখে নিন। সেই অনপাতে আপনার রোযা হল, কি না? তা আপনি নিজেই বের করে নিতে পারবেন।

وَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّىٰ يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الْأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الْأَسْوَدِ مِنَ الْفَجْرِ ۖ [٢:١٨٧]

আর পানাহার কর যতক্ষণ না কাল রেখা থেকে ভোরের শুভ্র রেখা পরিষ্কার দেখা যায়। [সূরা বাকারা-১৮৭]

والله اعلم بالصواب

মুসলিম বাংলা ইফতা বিভাগ

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

#১৩৩৬৬
আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,
মুহতারাম, আমি কখন বালেগ হয়েছি তা বলতে পারি না, তবে নিয়মিত নামাজ পড়ি 6/7 বছর থেকেই, কোন নামায কাযা হয়না, তবে একটি কথা, আমি জানি নামাজ সহীহ হওয়ার জন্য নিয়াত করা ফরয। নিয়ত না করলে নামায হয় না।
তাই আমার প্রশ্ন হল, নামাজের সময় নিয়াত অবশ্যই করেছি, কিন্তু আমার উপর নামাজ ফরজ হয়েছে কিনা তা জানা না থাকার কারণে এমনি সাধারণ নামাজের নিয়ত করেছি, আমার উপর যে এই নামাজ ফরজ সেভাবে নিয়ত করিনি। আমার নামাজ কি হয়েছে? আমি বালেগ হয়েছি একথা জানার পূর্বে যে নামায রোযা গুলো আদায় করেছি তা কি আদায় হয়েছে? নাকি তা পুনরায় আদায় করতে হবে? নিয়ত সহীহ হওয়ার জন্য ফরজ হওয়ার কথা জানা থাকা কি জরুরী? সাধারণ নিয়ত করলেই যথেষ্ট?
খুবই দ্রুত জানালে উপকৃত হব। আল্লাহ আপনাদের সহায় হোন।
question and answer iconউত্তর দিয়েছেন: মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
খুলনা