আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

তিন সময়ে নামাজ পড়া নিষেধ কেন?

প্রশ্নঃ ৬৬৪৭৭. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, সূর্যোদয়ের সময় এবং সূর্যাস্তের সময় নামাজ পড়া কেন নিষিদ্ধ ?,

৫ জুলাই, ২০২৪

ঢাকা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


এমন কিছু সময় আছে, যেসব সময় ফরজ, ওয়াজিব ও নফল কোনো ধরনের নামাজ আদায় করা জায়েজ নেই। এমনকি কাজা নামাজও পড়া যাবে না। সূর্যোদয়ের সময়, সূর্য মধ্যাকাশে অবস্থানের সময় এবং সূর্যাস্তের সময়।

এর মূল কারণ হচ্ছে, হাদীসে এই সময়ে নামাজ পড়ার নিষেধাজ্ঞা এসেছে।

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُلَىٍّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ عُقْبَةَ بْنَ عَامِرٍ الْجُهَنِيَّ، يَقُولُ ثَلاَثُ سَاعَاتٍ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَنْهَانَا أَنْ نُصَلِّيَ فِيهِنَّ أَوْ أَنْ نَقْبُرَ فِيهِنَّ مَوْتَانَا حِينَ تَطْلُعُ الشَّمْسُ بَازِغَةً حَتَّى تَرْتَفِعَ وَحِينَ يَقُومُ قَائِمُ الظَّهِيرَةِ حَتَّى تَمِيلَ الشَّمْسُ وَحِينَ تَضَيَّفُ الشَّمْسُ لِلْغُرُوبِ حَتَّى تَغْرُبَ .

উলাঈ (রাহঃ) বলেন, আমি উকবা ইবনে আমির জুহানী (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছি যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তিনটি সময়ে নামায আদায় এবং মৃত ব্যক্তিকে কবরস্থ করা হতে আমাদেরকে নিষেধ করতেন, সূর্য যখন আলোকজ্জ্বল হয়ে উদয় হতে থাকে তখন থেকে পরিষ্কারভাবে উপরে না উঠা পর্যন্ত। যখন সূর্য ঠিক মধ্যাকাশে থাকে তখন থেকে ঢলে না পড়া পর্যন্ত এবং সূর্য অস্ত যাওয়া শুরু হলে, যাবৎ না সম্পূর্ণরূপে অস্তমিত হয়।

আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ (সহীহ মুসলিম)
হাদীস নং: ১৮০২ আন্তর্জাতিক নং: ৮৩১

হাদীসের লিংকঃ https://muslimbangla.com/hadith/8851
হাদীসের ব্যাখ্যাঃ
এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, উপরিউক্ত তিন ওয়াক্তে সব ধরণের নামায পড়াই মাকরূহ। তবে কেউ ঐ দিনের আসর না পড়ে থাকলে সূর্য ডুবন্ত অবস্থাতেও তা পড়ে নিবে। বুখারী-৫২৯) এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৩৭১)
উলামায়ে কিরামের তাহকীক মতে উক্ত মাকরূহ সময় হলো সূর্যোদয় থেকে ১০ মিনিট পর্যন্ত, সূর্য মাথায় আসার পূর্বে ৩ মিনিট ও পরে ৩ মিনিট এবং সূর্যাস্তের পূর্বে ১০ মিনিট।

এছাড়া আর কোনো কারণ আছে কি-না তা আল্লাহ তাআলা ভালো জানেন। তবে বিজ্ঞ উলাময়ে এর একটি কারণ এটাও বলেছেন যে, এসময় মুসরিক ও অগ্নিপূজক যারা রয়েছে তারা উপাসনা করে। তাদের সাথে যেন সাদৃশ্য না হয়, সেকারণে এসময় নামাজ পড়তে নিষেধ করা হয়েছে। আর হাদীসে বিজাতীদের সাথে যেকোনো বিষয়ে সাদৃশ্য গ্রহণ করতে নিষেদ করা হয়েছে।



لعل الحكمة من النهي عن الصلاة في هذه الأوقات هي مخالفة الكفار في أوقات عبادتهم. قال صاحب الحجة البالغة: (لأنها أوقات صلاة المجوس وهم قوم حرفوا الدين جعلوا يعبدون الشمس من دون الله واستحوذ عليهم الشيطان، وهذا هو معنى قوله ﷺ: فإنها تطلع بين قرني شيطان.)

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি জাওয়াদ তাহের
মুহাদ্দিস, জামিয়া বাবুস সালাম, বিমানবন্দর ঢাকা

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৮০০৩৪

সাহাবীর নামে মায়ের অসন্তুষ্টির মিথ্যা গল্প!!


৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

চট্টগ্রাম

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

৯০২১৪

রজব শব্দটি মুনসারিফ নাকি গায়রে মুনসারিফ?


২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

৮P৩C+GV৭

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী নাঈম সিদ্দীকী বিন আব্দুস সাত্তার

৭৭১৪৪

নবীর কাছে উম্মতের গুনাহ পেশ করা হয়?


২৪ নভেম্বর, ২০২৪

HHMC+F৪৭ - Old Umm Al Quwain - Umm Al Quawain - সংযুক্ত আরব আমিরাত (AE)

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী শাহাদাত হুসাইন ফরায়েজী

৭৭৪৮৭

নখ কাটার সুন্নত


৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

রংপুর

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী নাঈম সিদ্দীকী বিন আব্দুস সাত্তার

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy