আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ৬৬৪২. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম হযরত সালাতুত তাসবিহ নামাজ কী পড়া যাবে। এবং সালাতুত হাজত নামাজ পরার নিয়ম বললে উপকার হতো।

১২ জুন, ২০২১
ঢাকা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم






সালাতুত তাসবীহ একাধিক সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। এই নামায পড়ার ব্যাপারে কোনো সংশয় থাকার কথা নয়। শুধুমাত্র সংশয়বাদীরা সংশয় ছড়িয়ে বেড়ায়।
ওদের কবল থেকে আল্লাহ তাআলা আল্লাহর বান্দাদেরকে হিফাযত করুক।

حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ بِشْرِ بْنِ الْحَكَمِ النَّيْسَابُورِيُّ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ أَبَانَ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لِلْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ ‏ "‏ يَا عَبَّاسُ يَا عَمَّاهُ أَلاَ أُعْطِيكَ أَلاَ أَمْنَحُكَ أَلاَ أَحْبُوكَ أَلاَ أَفْعَلُ بِكَ عَشْرَ خِصَالٍ إِذَا أَنْتَ فَعَلْتَ ذَلِكَ غَفَرَ اللَّهُ لَكَ ذَنْبَكَ أَوَّلَهُ وَآخِرَهُ قَدِيمَهُ وَحَدِيثَهُ خَطَأَهُ وَعَمْدَهُ صَغِيرَهُ وَكَبِيرَهُ سِرَّهُ وَعَلاَنِيَتَهُ عَشْرَ خِصَالٍ أَنْ تُصَلِّيَ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ تَقْرَأُ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ فَاتِحَةَ الْكِتَابِ وَسُورَةً فَإِذَا فَرَغْتَ مِنَ الْقِرَاءَةِ فِي أَوَّلِ رَكْعَةٍ وَأَنْتَ قَائِمٌ قُلْتَ سُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ خَمْسَ عَشْرَةَ مَرَّةً ثُمَّ تَرْكَعُ فَتَقُولُهَا وَأَنْتَ رَاكِعٌ عَشْرًا ثُمَّ تَرْفَعُ رَأْسَكَ مِنَ الرُّكُوعِ فَتَقُولُهَا عَشْرًا ثُمَّ تَهْوِي سَاجِدًا فَتَقُولُهَا وَأَنْتَ سَاجِدٌ عَشْرًا ثُمَّ تَرْفَعُ رَأْسَكَ مِنَ السُّجُودِ فَتَقُولُهَا عَشْرًا ثُمَّ تَسْجُدُ فَتَقُولُهَا عَشْرًا ثُمَّ تَرْفَعُ رَأْسَكَ فَتَقُولُهَا عَشْرًا فَذَلِكَ خَمْسٌ وَسَبْعُونَ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ تَفْعَلُ ذَلِكَ فِي أَرْبَعِ رَكَعَاتٍ إِنِ اسْتَطَعْتَ أَنْ تُصَلِّيَهَا فِي كُلِّ يَوْمٍ مَرَّةً فَافْعَلْ فَإِنْ لَمْ تَفْعَلْ فَفِي كُلِّ جُمُعَةٍ مَرَّةً فَإِنْ لَمْ تَفْعَلْ فَفِي كُلِّ شَهْرٍ مَرَّةً فَإِنْ لَمْ تَفْعَلْ فَفِي كُلِّ سَنَةٍ مَرَّةً فَإِنْ لَمْ تَفْعَلْ فَفِي عُمُرِكَ مَرَّةً ‏"‏ ‏.

ইবনু ‘আব্বাস রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত:
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ‘আব্বাস ইবনু ‘আব্দুল মুত্তালিব (রাঃ)-কে বললেনঃ হে ‘আব্বাস! হে আমার চাচা ! আমি কি আপনাকে দান করবো না? আমি কি আপনাকে উপহার দিবো না? আমি কি আপনার দশটি মহৎ কাজ করে দিবো না? আপনি যখন সে কাজগুলো বাস্তবায়ন করবেন, তখন আল্লাহ আপনার প্রথম ও শেষ, অতীত ও বর্তমান, ইচ্ছা ও অনিচ্ছাকৃত, ছোট ও বড় এবং প্রকাশ্য ও গোপন সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন। ঐ দশটি মহৎ কাজ হচ্ছেঃ আপনি চার রাক’আতের ক্বিরাআত হতে অবসর হয়ে দাঁড়ানো অবস্থায় বলবেন, “সুবহানাল্লাহ ওয়াল-হামদুলিল্লাহ ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার” পনের বার, অতঃপর রুকূ’ করুন এবং রুকূ’ অবস্থায় তা পাঠ করুন দশবার, আবার রুকূ’ হতে মাথা উঠিয়ে তা পাঠ করুন দশবার, অতঃপর সাজদাহ্‌য় যান এবং সাজদাহ্‌ অবস্থায় তা পাঠ করুন দশবার, অতঃপর সাজদাহ্‌ হতে মাথা উঠিয়ে তা পাঠ করুন দশবার। আবার সাজদাহ্‌ করুন, সেখানে তা পাঠ করুন দশবার। অতঃপর সাজদাহ্‌ হতে মাথা তুলে তা পাঠ করুন দশবার, এ নিয়মে প্রত্যেক রাক’আতে তাসবীহর সংখ্যা হবে পঁচাত্তুর বার এবং তা করতে থাকুন পূর্ণ চার রাক’আতে। (এতে পুরো সলাতে তাসবীহর সংখ্যা হবে তিন শত বার)। আপনার পক্ষে সম্ভব হলে উক্ত সলাত দৈনিক একবার আদায় করুন। অন্যথায় সপ্তাহে একবার, তাও সম্ভব না হলে মাসে একবার, এটাও সম্ভব না হলে বছরে একবার, যদি তাও না হয় তবে সারা জীবনে অন্তত একবার আদায় করুন।

—সুনান আবু দাউদ, হাদীস নং ১২৯৭

২. সালাতুল হাজত দু'রাকাআত নফল নামায। এই নামায পড়ার জন্য বিশেষ কোনো নিয়ম, বিশেষ কোন কিরাআত, বিশেষ কোনো সূরা নেই। দিনে রাত্রে নিষিদ্ধ সময় ছাড়া যেকোনো সুযোগমতো দু'রাকাআত নামায হাজতের নিয়ত করে পড়বেন। ফজর, মাগরিব ও ইশার পরে দুরাকাআত সুন্নত যেভাবে পড়েন, একইভাবে সালাতুল হাজত পড়বেন।
তারপর আল্লাহ তা'আলার কাছে নিজের মনের কথাগুলো খুলে বলবেন। আল্লাহর কাছে চাইবেন। তিনি অবশ্যই চাওয়া পূরণ করে দেবেন ইনশাআল্লাহ।

والله اعلم بالصواب

ইসহাক মাহমুদ মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন