আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

মিথ্যাবাদী ইমামের পেছনে নামাজ!

প্রশ্নঃ ৬৩৭২১. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, যারা মিথ্যা বলে তাদের পিছনে নামাজ হবে কি,

৮ জুন, ২০২৪

ঝালকাঠি

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


শোনার উপর ভিত্তি করে কারো বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ আরোপ করা অত্যন্ত গুরুতর গুনাহ ও হারাম।

নবীর হাদিসে এ বিষয়ে কঠোর প্রতিশ্রুতি রয়েছে।

حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ سَعِيدٍ الأَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي سُلَيْمَانُ، - وَهُوَ ابْنُ بِلاَلٍ - عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَهُ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ يَنْبَغِي لِصِدِّيقٍ أَنْ يَكُونَ لَعَّانًا " .
حَدَّثَنِيهِ أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرٍ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ، الرَّحْمَنِ بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ .

আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ একজন সিদ্দীকের তথা মুমিনের পক্ষে লানতকারী হওয়া বাঞ্ছনীয় নয়।

আবু কুরায়ব (রাহঃ) ......... আলা ইবনে আব্দুর রহমান (রাহঃ) সূত্রে এই সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।


আল মুসনাদুস সহীহ- ইমাম মুসলিম রহঃ (সহীহ মুসলিম)
হাদীস নং: ৬৩৭২

হাদীসের লিংকঃ https://muslimbangla.com/hadith/13421

অন্য হাদীসে এসেছে,

6045 - حَدَّثَنَا أَبُو مَعْمَرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الوَارِثِ، عَنِ الحُسَيْنِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ يَعْمَرَ، أَنَّ أَبَا الأَسْوَدِ الدِّيلِيَّ، حَدَّثَهُ عَنْ أَبِي ذَرٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لاَ يَرْمِي رَجُلٌ رَجُلًا بِالفُسُوقِ، وَلاَ يَرْمِيهِ بِالكُفْرِ، إِلَّا ارْتَدَّتْ عَلَيْهِ، إِنْ لَمْ يَكُنْ صَاحِبُهُ كَذَلِكَ»

আবু যর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেছেনঃ একজন অপরজনকে ফাসিক বলে যেন গালি না দেয় এবং একজন আরেকজনকে যেন কাফির বলে অপবাদ না দেয়। কেননা, যদি সে তা না হয়ে থাকে, তবে তা তার উপরই পতিত হবে।

আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ (সহীহ বুখারী)
হাদীস নং: ৫৬১৯ আন্তর্জাতিক নং: ৬০৪৫

হাদীসের লিংকঃ https://muslimbangla.com/hadith/5619


তাই কারও থেকে শোনার উপর ভিত্তি করে মসজিদের ইমামকে মিথ্যা বলা কোনো মতেই জায়েজ হবে না। আর যদি ইমাম মিথ্যা বলে থাকে কিন্তু সে আল্লাহর কাছে তওবা করে থাকে, তবে তার পিছনে নামায পড়তে কোনো সমস্যা নেই।

আর যদি তাদের অভ্যাস হয় মিথ্যা বলা, তাহলে এমন ইমামের পিছনে নামায পড়া মাকরুহে তাহরিমী। তবে নামাজ হয়ে যাবে।


حاشیۃ طحطاوی :

"كره إمامة "الفاسق" العالم لعدم اهتمامه بالدين فتجب إهانته شرعا فلا يعظم بتقديمه للإمامة وإذا تعذر منعه ينتقل عنه إلى غير مسجده للجمعة وغيرها وإن لم يقم الجمعة إلا هو تصلى معه."

(کتاب الصلاۃ، فصل فی بیان الأحق بالإمامة، ص:303، 304، ط:دار الکتب العلمیة)

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি জাওয়াদ তাহের
মুহাদ্দিস, জামিয়া বাবুস সালাম, বিমানবন্দর ঢাকা

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৯০৫১৯

মেসেঞ্জারে বিবাহ করলে‌ কি তা হয়


২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

Gazirchat

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী শাহাদাত হুসাইন ফরায়েজী

৯০৩৪৪

‘‘এক বলেই আউট হয়ে যাবে’’ ‘‘নিশ্চিত আজকে ওরা হারবে’’ এধরণের বাক্য বলার দ্বারা কি শিরক হয়?


২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

CG৩X+VQ

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী শাহাদাত হুসাইন ফরায়েজী

৮৫৭৪৫

ইল্লাল্লাহ জিকির করার বিধান


২০ জানুয়ারী, ২০২৫

কালিয়া

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

৮৮৫৩৫

মুসলিম বাংলা অ্যাপে আরবি তারিখ কেন দুইটি দেখায়?


১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

১৮২২

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy