আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ৫৭১৭. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, বর্তমানে কিছু আলেম প্রচার করছেন যে তারাবির নামাজ ইচ্ছাকৃতভাবে ছেড়ে দিলেও গুনাহ হবে না। আর এটা নিয়ে ইদানীংকালে বেশ বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। আমার জানা মতে দৈনিক নামাজের সুন্নাত নামাজের মত তারাবিহ ও সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ।আর এগুলো ছেড়ে দিলে কবীরা গুনাহ হবে। আশা করি ব্যাপার টি পরিষ্কার করবেন।

২৯ এপ্রিল, ২০২১
চট্টগ্রাম

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


السلام عليكم ورحمة الله وبركاته

তারাবীহের নামায সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ। নিয়মিত সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ উপেক্ষা করা সুন্নতকে তুচ্ছ জ্ঞান করার শামিল। আর (আল্লাহ মাফ করুক) সুন্নতকে তুচ্ছ জ্ঞান করলে এটি আর সগিরাহ গুনাহ থাকবেনা। কবীরাহ হয়ে যায়। এছাড়া সগিরাহ গুনাহ বারবার করলেও কবীরাহ হয়ে যায়। তারাবীহের নামায সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এত বড় ফযীলত শোনানোর পরেও একজন মুসলিম বিনা ওজরে স্বেচ্ছায় কী করে তারাবীহ ছেড়ে দিতে পারে? রমাযান মাস তো আখিরাত কামাই করার পূর্ণ মৌসম।
আহ্! ঐসব লোকেরা আছে মানুষকে ইবাদত থেকে গাফেল করার তালে। যেমনটি শয়তান মানুষকে গাফিল করতে চায়।

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ مَنْ قَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ ‏"‏‏.‏ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ فَتُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَالأَمْرُ عَلَى ذَلِكَ، ثُمَّ كَانَ الأَمْرُ عَلَى ذَلِكَ فِي خِلاَفَةِ أَبِي بَكْرٍ وَصَدْرًا مِنْ خِلاَفَةِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما.‏

আবূ হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত:
আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি রমযানে ঈমানের সাথে সওয়াব লাভের আশায় তারাবীর সালাতে দাঁড়াবে তার পূর্ববর্তী গোনাহসমূহ মাফ করে দেয়া হবে।
হাদীসের রাবী ইব্‌নু শিহাব (রহঃ) বলেন, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইনতিকাল করেন এবং তারাবীর ব্যাপারটি এভাবেই চালু ছিল। এমনকি আবূ বকর (রাঃ)- এর খিলাফতকালে ও ‘উমর (রাঃ)- এর খিলাফতের প্রথমভাগে এরূপই ছিল।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ২০০৯

والله اعلم بالصواب

ইসহাক মাহমুদ মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর
প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন