আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

২০+ দিন কি কারো হায়েজ হতে পারে?!!

প্রশ্নঃ ৫৬২৮০. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমার গত মাসের ১৩ তারিখ পিরিয়ড হয়েছে, ব্লিডিং প্রায় ২০+ ছিলো। ওষুধ খেয়ে বন্ধ হয় তিন/ চার দিন হবে। আজ ১৩ তারিখ আবার ব্লাড দেখা দিছে। আমার নামাজ রোজা বিধান কি হবে? উল্লেখ্য, আমার প্রথম দিনের মতোই খারাপ লাগছে।,

২৮ মার্চ, ২০২৪

চট্টগ্রাম

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


শরিয়তের দৃষ্টিতে হায়েজের সর্বনিম্ম সময়সীমা তিনদিন এবং সর্বোচ্চ সময়সীমা দশদিন। তবে এক্ষেত্রে সাধারণত অধিকাংশ নারীর একটা নির্দিষ্ট মেয়াদকাল থাকে। পাঁচদিন, সাতদিন বা আটদিন ইত্যাদী। ওই দিনগুলোতে এক দুই ফোঁটা করেও যদি ব্লিডিং হয় (ব্লাডের রঙে যাই হোক) তাহলে সেটা হায়েজ হিসেবেই গণ্য হবে। তখন তিনি নামাজ রোজা করবেন না। অনুরূপভাবে কখনো যদি তার নিজস্ব মেয়াদকাল অতিক্রান্ত হওয়ার পরও দশদিনের মধ্যে কোনো ব্লিডিং দেখা যায় তাহলে সেটাও হায়েজ হিসেবে গণ্য হবে এবং ধরে নিতে হবে যে তার নিজস্ব মেয়াদকাল পরিবর্তণ হচ্ছে। কাজেই এমন অবস্থা হলে দশ দিনের মধ্যে তিনি নামাজ রোজা করবেন না।

হাদিস শরিফে এসেছে,
عن ابی امامة الباھلی قال قال رسول اللہ ۖ لایکون الحیض للجاریة والثیب الذی قد ایئست من الحیض اقل من ثلاثة ایام ولا اکثر من عشرة ایام فاذا رأت الدم فوق عشرة ایام فھی مستحاضة فمازاد علی ایام اقرائھا قضت ودم الحیض اسود خائر تعلوہ حمرة ودم المستحاضة اصفر رقیق (دار قطنی ، نمبر ٨٣٤)

অন্যত্রে এসেছে
عن واثلة بن الاسقع قال قال رسول اللہ ۖ اقل الحیض ثلاثة ایام و اکثرہ عشرة ایام -(دار قطنی، کتاب الحیض ، ج اول ،ص ٢٢٥ ٨٣٦)

সম্মানিত প্রশ্নকারী!
২০ + দিন কখনো হায়েজের ব্লিডিং হতে পারে না! বরং প্রথম ১০ দিন হবে হায়েজ কেননা হায়েজের সর্বোচ্চ সময়সীমা ১০ দিন। তারপর অন্তত ১৫ দিন হবে ইস্তেহাজা। এর কারণ হলো, শরীয়তের বিধান মতে দুই হায়েজের মধ্যবর্তী অন্তত ১৫ দিন হলো নারীর পিরিয়ড মু্ক্ত (সুস্থতার) সময়। যদি কারো এই সময়ও ব্লিডিং হয় তাহলে সেটা হায়েজ নয় বরং ইস্তেহাজা (সাধারণ রক্তপাত) হিসেবে গণ্য হবে। এই সময়টাতে তিনি নামাজ রোজা, কুরআন তেলাওয়াত ইত্যাদী সবই করবেন। আপনার দেয়া তথ্য মতে ১৩ -২৩ তারিখ হবে হায়েজ। তারপর ২৪-১৩ তারিখ পর্যন্ত ইস্তেহাজা (সাধারণ রক্তপাত)। কাজেই ২৪ তারিখ থেকে ১৩ তারিখ (ব্লিডিংয়েরে আগে) পর্যন্ত যত নামাজ রোজা ছেড়েছেন সেগুলো কাজা করতে হবে। তারপর ১৩ তারিখ থেকে আপনার হায়েজ গণনা করা হবে।

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
উস্তাজুল ইফতা, জামিয়া ইমাম বুখারী, উত্তরা, ঢাকা।

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৫১১৩৪

আমিরুল মু'মিনিন আর খলিফা কি এক শব্দ?


১৬ মে, ২০২৪

নারায়ণগঞ্জ

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ ইসহাক মাহমুদ

৩৭৮৯৫

আজকের শিশুরা কেন অতিরিক্ত বদমেজাজী?


১৬ আগস্ট, ২০২৩

West Bengal ৭১৩৪০৫

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

৩৯৯৪৫

বদনজর থেকে বাঁচতে সোনা রুপার পানির ব্যবহার


৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

ঢাকা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

৬৭১৯০

'লাল বাতি জ্বলা অবস্থায় নামাজ পড়া নিষেধ' এভাবে লেখা কি ঠিক হবে


১১ জুলাই, ২০২৪

কক্সবাজার

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী সিরাজুল ইসলাম

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy