আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

আজকের শিশুরা কেন অতিরিক্ত বদমেজাজী?

প্রশ্নঃ ৩৭৮৯৫. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমার বাচ্চা খুব জেদি হয়ে গেছে কি আমল করলে ও একটু স্বাভাবিক হবে ওর বয়েস ৬ বছর

১৬ আগস্ট, ২০২৩
West Bengal ৭১৩৪০৫

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


এখনকার বাচ্চাদের মধ্যে অস্বাভাবিক রাগ, ক্রোধ এবং বদমেজাজ কাজ করছে। যা বিগত ১৫/২০ বছর আগেও ছিল না। বাচ্চাদের এমন ক্রোধাগ্নিতার একটা বড় কারণ হলো বিভিন্নধরনের ইলেক্ট্রনিক গেম। গেমিংয়ের মধ্যে যেটা শেখানো হয় সেটা হলো নিজের বিপরীতে যেই থাকুক তাকে পরাজিত করতে হবে। এর ফলে শিশুর মনে অন্যকে সহ্য করার মানসিকতা লোপ পেতে থাকে। যা ফিজিক্যাল খেলাধুলায় পাওয়া যায় না। বরং ফিজিক্যাল খেলাধুলায় আজকে যে প্রতিপক্ষ দলে খেলছে কালকে আবার সে নিজের পক্ষে খেলছে। এর ফলে খেলার মাঠে হারি জিতি মানসিকতা থাকলেও মাঠের বাইরে, পড়ার টেবিলে, ক্যান্টিনে, গাল-গল্পে তারা অন্তরঙ্গতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে মিলিত হয়। এরফলে তাদের মনে পরমত সহিষ্ণুতা তৈরী হয়। অপরের ইচ্ছা, আগ্রহ এবং চাহিদার প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শনের সুযোগ হয়।

কাজেই বাচ্চার রাগ কমাতে প্রযুক্তির অযাচিত ব্যবহার রোধ করতে হবে। তা না হলে এর সুদুরপ্রসারি ক্ষতি থেকে পরবর্তী প্রজন্মকে রক্ষা করা অসম্ভব হয়ে যাবে।

বাচ্চার রাগ কমাতে বাচ্চা যে জিনিসের উপরে জেদ ধরে জেদের কারণে তাত্ক্ষণিক তাকে সেই জিনিস দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কেননা সে যদি বুঝতে পারে যে জেদের কারণে সে যা চায় তাই পায় তাহলে এতে তার জেদ এবং আনাড়ী ভাব আরো বেড়ে যাবে। বরং যদি সেই বস্তুটা দেওয়ার মত হয় তাহলে তার রাগ প্রশমিত হওয়ার পর দিতে হবে। এবং তাকে এ কথা বুঝতে দিতে হবে যে রাগ করলেই সবকিছু পাওয়া যায় না।

শিশু রাগ করলে কখন তাকে ধমক দিতে হবে এবং কখন তাকে আদর করতে হবে সেই বিষয়টাও বুঝতে হবে। অভিভাবকদের অনেকেই এখানে ভুল করেন। কাজেই সোহাগ এবং সতর্ক উভয়টা দিয়েই কাজ নিতে হবে।

উপরোক্ত পদ্ধতি অবলম্বনের সাথে সাথে রুকিয়ার এই আমলটিও করা যেতে পারে। সেটি হলো তার খাবারের মধ্যে সাতবার اعوذ بالله من الشيطان الرجيم পড়ে ফু দিয়ে তাকে খেতে দিতে হবে। এভাবে নিয়মিত আমল করতে থাকলে ইনশাআল্লাহ তার রাগ অবশ্যই কমে যাবে।
আল্লাহ তাআলা আমাদের তৌফিক দান করুন।

والله اعلم بالصواب

মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি উস্তাজুল ইফতা, জামিয়া ইমাম বুখারী, উত্তরা, ঢাকা।

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন