আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

forses.i এটা কি হালাল না হারাম?

প্রশ্নঃ ৪৫২৩৬. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, forses.i এটা কি হালাল না হারাম,

৮ নভেম্বর, ২০২৩

কালিয়াকৈর

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


সম্মানিত প্রশ্নকারী!
আপনাকে বলা হয়েছিল ফরসেজ কি? সেটা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে তারপর প্রশ্ন করতে। কিন্তু আপনি সেটা না করে কয়েক মিনিটের মাথায় আবার সেই একই প্রশ্ন করেছেন। যেটা আসলে উচিত হয়নি। কেননা আপনি যে বিষয়টি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করছেন সেটা সম্পর্কে যদি আপনার নিজেরই স্বচ্ছ ধারণা না থাকে তাহলে উত্তরদাতা কিভাবে উত্তর দিবে? উত্তরদাতাগণ প্রশ্নের উপর ভিত্তি করেই উত্তর দিয়ে থাকেন। তাই এজাতীয় নিত্যনতুন কোনো বিষয় প্রশ্ন করার ক্ষেত্রে অবশ্যই এই নীতিটি লক্ষ্য রাখার অনুরোধ রইলো। নিচের প্রশ্নোত্তরটি দেখুন।

প্রশ্ন: ফরসেজ এর কাজ টা হলো রেফার করে মানুষের একাউন্ট খুলে দেওয়া যা চলে trx নামে এক ধরনের cryptocurrency দিয়ে। এইখানে কেউ যদি একটি রেফার করে তাহলে সে পাবে ৩$ আর তার উপরে যে আছে মানে যার রেফার এ সে একাউন্ট খুলছে সে পাবে ৩$। আর কিছু ইনভেস্টমেন্ট এর বিষয়ও আছে.. স্লট কিনে রাখতে হয় পরে সেই স্লট থেকে ইনকাম আসে আর ওই স্লট এর ইনকাম হয় যদি কেউ স্লট কিনে। কাজ টা হচ্ছে টিম ওয়ার্ক... চেইন যত বড় হবে ইনকাম তত বেশি হবে।


উত্তর: প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী ফরসেজ বিজনেস কখনো জায়েয হবে না। কেননা ফরসেজ হল,এম এল এম ব্যবসা।আর এম এল এম ব্যবসা নাজায়েয। এম. এল. এম কোম্পানীগুলোতে শরীয়ত নিষিদ্ধ বেশ কিছু বিষয়াবলী পাওয়া যাওয়া কারণে উলামায়ে কেরাম উক্ত ব্যবসাকে নাজায়েয বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।

নিষিদ্ধ বিষয়সমূহ যেমন,
১. (صفقتان في صفقة) এক চুক্তির মধ্যে অন্য চুক্তির শর্ত করা।
২. (التعليق بالشرط) চুক্তিকে শর্তের সাথে ঝুলন্ত রাখা।
৩. (غرر) ধোঁকা ও অনিশ্চয়তা
৪. (العمل بلا أجرة) বিনিময়হীন শ্রম
৫. ( الأجرة بلا عمل) শ্রমহীন বিনিময়
৬. সুদ ( الربا)

এর সবই শরীয়ত নিষিদ্ধ বিষয়। এম.এল এম এর কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ, তাদের নিয়ম-পদ্ধতির বিশ্লেষণ ও এ সকল প্রতিষ্ঠানের অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের অভিমতের আলোকে জানা যায় যে, এ ব্যবসা পদ্ধতিতে উল্লিখিত নিষিদ্ধ বিষয়গুলো ছাড়া আরোও কিছু শরীয়ত নিষিদ্ধ বিষয় রয়েছে। সুতরাং কোনো মুসলমানের জন্য এ সকল কোম্পানীর সাথে কোনোভাবেই সম্পৃক্ত হওয়া জায়েজ ও বৈধ হবে না। তাই প্রত্যেক মুসলমানের উচিৎ ঈমানী দাবীতে এম.এল.এম মার্কেটিং বর্জন করা। আল্লাহ তা'আলা সকল মুসলমানকে এম.এল.এমসহ সকল প্রকার নাজায়েয লেনদেন থেকে বেঁচে থাকার তাওফীক দান করুক।আমীন।(দরসুল ফিকহ-হাটহাজারী-১/৩০৫)
Islamic Online Madrasah এর ফতোয়া থেকে সংগৃহিত ও সম্পাদিত।

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি
উস্তাজুল ইফতা, জামিয়া ইমাম বুখারী, উত্তরা, ঢাকা।

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৭৭১৪৪

নবীর কাছে উম্মতের গুনাহ পেশ করা হয়?


২৪ নভেম্বর, ২০২৪

HHMC+F৪৭ - Old Umm Al Quwain - Umm Al Quawain - সংযুক্ত আরব আমিরাত (AE)

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী শাহাদাত হুসাইন ফরায়েজী

৮৫৯৭৬

স্ত্রীর সাথে কথা বন্ধ রাখা


২২ জানুয়ারী, ২০২৫

১৭০২

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী আবু সাঈদ

৯০৪৯৮

ইমামের সাথে একজন /দুইজন মুকতাদী কিভাবে দাড়াবে?


২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

Bethua

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী শাহাদাত হুসাইন ফরায়েজী

৮১৭৯৯

অমুসলিমের সাথে বর্গা চুক্তি করলে উশর নাকি খারাজ দিবে?


২০ ডিসেম্বর, ২০২৪

নামবিহীন রাস্তা

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী শাহাদাত হুসাইন ফরায়েজী

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy