و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

কুরআনুল কারীমের এত স্পষ্ট বর্ণনা থাকার পরেও আম্মাজানদের ব্যাপারে এ ধরনের প্রশ্ন হওয়া খুবই দুঃখজনক !

আম্মাজান হযরত আয়িশা সিদ্দীকা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা এর ব্যাপারে অনলাইন ও অফলাইনে এই ধরনের সংশয় সন্দেহ ছড়িয়ে দিয়েছে একদল দুষ্টু লোক। ওদের খপ্পর থেকে আল্লাহ তাআলা আমাদের ঈমান আমল হেফাজত করেন।
পবিত্র কুরআনুল কারীমে আল্লাহ তা'আলার দেয়া বর্ণনাগুলো ধারাবাহিকভাবে পড়ুন ও ভাবুন :

یٰنِسَآءَ النَّبِیِّ مَنۡ یَّاۡتِ مِنۡکُنَّ بِفَاحِشَۃٍ مُّبَیِّنَۃٍ یُّضٰعَفۡ لَہَا الۡعَذَابُ ضِعۡفَیۡنِ ؕ وَکَانَ ذٰلِکَ عَلَی اللّٰہِ یَسِیۡرًا

হে নবী পত্নীগণ! তোমাদের মধ্যে কেউ প্রকাশ্য অশ্লীল কাজ করলে তাকে দ্বিগুণ শাস্তি দেয়া হবে। এটা আল্লাহর জন্য সহজ।
—আল আহ্‌যাব - ৩০

وَمَنۡ یَّقۡنُتۡ مِنۡکُنَّ لِلّٰہِ وَرَسُوۡلِہٖ وَتَعۡمَلۡ صَالِحًا نُّؤۡتِہَاۤ اَجۡرَہَا مَرَّتَیۡنِ ۙ وَاَعۡتَدۡنَا لَہَا رِزۡقًا کَرِیۡمًا

তোমাদের মধ্যে যে কেউ আল্লাহ ও তাঁর রসূলের অনুগত হবে এবং সৎকর্ম করবে, আমি তাকে দুবার পুরস্কার দেব এবং তার জন্য আমি সম্মান জনক রিযিক প্রস্তুত রেখেছি।
—আল আহ্‌যাব - ৩১

یٰنِسَآءَ النَّبِیِّ لَسۡتُنَّ کَاَحَدٍ مِّنَ النِّسَآءِ اِنِ اتَّقَیۡتُنَّ فَلَا تَخۡضَعۡنَ بِالۡقَوۡلِ فَیَطۡمَعَ الَّذِیۡ فِیۡ قَلۡبِہٖ مَرَضٌ وَّقُلۡنَ قَوۡلًا مَّعۡرُوۡفًا ۚ

হে নবী পত্নীগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও; যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, তবে পরপুরুষের সাথে কোমল ও আকর্ষনীয় ভঙ্গিতে কথা বলো না, ফলে সেই ব্যক্তি কুবাসনা করে, যার অন্তরে ব্যাধি রয়েছে তোমরা সঙ্গত কথাবার্তা বলবে।
—আল আহ্‌যাব - ৩২

وَقَرۡنَ فِیۡ بُیُوۡتِکُنَّ وَلَا تَبَرَّجۡنَ تَبَرُّجَ الۡجَاہِلِیَّۃِ الۡاُوۡلٰی وَاَقِمۡنَ الصَّلٰوۃَ وَاٰتِیۡنَ الزَّکٰوۃَ وَاَطِعۡنَ اللّٰہَ وَرَسُوۡلَہٗ ؕ  اِنَّمَا یُرِیۡدُ اللّٰہُ لِیُذۡہِبَ عَنۡکُمُ الرِّجۡسَ اَہۡلَ الۡبَیۡتِ وَیُطَہِّرَکُمۡ تَطۡہِیۡرًا ۚ

তোমরা গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করবে-মূর্খতা যুগের অনুরূপ নিজেদেরকে প্রদর্শন করবে না। নামায কায়েম করবে, যাকাত প্রদান করবে এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য করবে। হে নবী পরিবারের সদস্যবর্গ। আল্লাহ কেবল চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদেরকে পূর্ণরূপে পূত-পবিত্র রাখতে।
—আল আহ্‌যাব - ৩৩

হাদীসের ভাষ্য :

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلّى الله عليه وسلم: «عَائِشَةُ زَوْجِي فِي الْجَنَّةِ» .

রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, আয়েশা জান্নাতে আমার স্ত্রী।
—মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবহ

فقد جاءت الأحاديث الصحيحة، الكثيرة في فضل عائشة -رضي الله عنها- ومن أعظمها ما جاء في بيان أنها زوجة النبي صلى الله عليه وسلم في الجنة، ففي مستدرك الحاكم وصححه- ووافقه الذهبي والألباني وشعيب الأرناؤوط- أن النبي صلى الله عليه وسلم قال لعائشة -رضي الله عنها-: «أَمَا تَرْضَيْنَ أَنْ تَكُونِي زَوْجَتِي فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ؟» قُلْتُ: بَلَى وَاللَّهِ، قَالَ: «فَأَنْتِ زَوْجَتِي فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ»
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত আয়িশাকে উদ্দেশ্য করে বললেন, তুমি কি এতে সন্তুষ্ট নও যে, তুমি দুনিয়া ও আখিরাতে আমার স্ত্রী হবে? আমি বললাম, আল্লাহর কসম! অবশ্যই। তিনি বললেন, তুমি দুনিয়া ও আখিরাতে আমার স্ত্রী।
— মুস্তাদরাক হাকিম

والله اعلم بالصواب