আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ৪৪৪০. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, ১। কোন ব্যক্তি যদি ফরজ ও সুন্নাত দাঁড়িয়ে নামাজ৷ পড়ে, সুস্থ থাকা স্বত্বেও নফল নামাজ বসে বসে পড়ে৷ তার নফল নামাজ হবে কিনা?২। যিনি আজান দিবে তার অনুমতি ব্যতিত ইকামত দিলে হবে কিনা?৩। ইমাম থাকা অবস্তায় দেরি হওয়ার কারণে অন্য কেহ ইমামের অনুমতি ছাড়া ইমামতি করলে নামাজ শুদ্ধ হবে কিনা?

২৫ জানুয়ারী, ২০২১
চান্দিনা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


১. হবে।

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا خَالِدٌ، وَهُوَ الْحَذَّاءُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَ سَأَلْتُهَا عَنْ صَلاَةِ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ تَطَوُّعِهِ قَالَتْ كَانَ يُصَلِّي لَيْلاً طَوِيلاً قَائِمًا وَلَيْلاً طَوِيلاً قَاعِدًا فَإِذَا قَرَأَ وَهُوَ قَائِمٌ رَكَعَ وَسَجَدَ وَهُوَ قَائِمٌ وَإِذَا قَرَأَ وَهُوَ جَالِسٌ رَكَعَ وَسَجَدَ وَهُوَ جَالِسٌ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

আবদুল্লাহ ইবনু শাকীক হতে ‘আয়িশাহ্‌ রাযিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত :
তিনি তাকে (‘আয়িশাহ্‌কে) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের নফল নামায আদায় করা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলেন। ‘আয়িশাহ্ রাযিয়াল্লাহু আনহা বললেন, তিনি কখনও দীর্ঘ রাত পর্যন্ত দাড়িয়ে নামায আদায় করতেন, আবার কখনও দীর্ঘ রাত ধরে বসে নামায আদায় করতেন। তিনি যখন দাড়িয়ে কিরা’আত পাঠ করতেন, তখন রুকূ-সাজদাহও দাড়ানো অবস্থায় করতেন। তিনি বসে কিরা’আত পাঠ করলে রুকূ-সাজদাহও বসে করতেন।
জামে' তিরমিজী ৩৭৫

২. অনুমতি নিয়ে ইক্বামাত দিতে পারবে।

৩. নামায শুদ্ধ হলেও একজনের ইমামতির জায়গায় অন্যকে ইমামতি করতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিষেধ করেছেন।

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ رَجَاءٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَوْسَ بْنَ ضَمْعَجٍ، يَقُولُ سَمِعْتُ أَبَا مَسْعُودٍ، يَقُولُ قَالَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ يَؤُمُّ الْقَوْمَ أَقْرَؤُهُمْ لِكِتَابِ اللَّهِ وَأَقْدَمُهُمْ قِرَاءَةً فَإِنْ كَانَتْ قِرَاءَتُهُمْ سَوَاءً فَلْيَؤُمَّهُمْ أَقْدَمُهُمْ هِجْرَةً فَإِنْ كَانُوا فِي الْهِجْرَةِ سَوَاءً فَلْيَؤُمَّهُمْ أَكْبَرُهُمْ سِنًّا وَلاَ تَؤُمَّنَّ الرَّجُلَ فِي أَهْلِهِ وَلاَ فِي سُلْطَانِهِ وَلاَ تَجْلِسْ عَلَى تَكْرِمَتِهِ فِي بَيْتِهِ إِلاَّ أَنْ يَأْذَنَ لَكَ أَوْ بِإِذْنِهِ ‏"‏ ‏.

আবূ মাস’ঊদ রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত :
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে বললেনঃ আল্লাহর কিতাব কুরআন মাজীদের জ্ঞান যে সবচেয়ে বেশী এবং যে কুরআন তিলাওয়াতও সুন্দরভাবে করতে পারে সে-ই সলাতের জামা’আতে ইমামাত করবে। সুন্দর ক্বিরাআতের ব্যাপারে সবাই যদি সমকক্ষ হয় তাহলে তাদের মধ্যে যে হিজরাতে অগ্রগামী সে ইমামাত করবে। হিজরাতের ব্যাপারেও সবাই যদি সমকক্ষ হয় তাহলে তাদের মধ্যে যে বয়সে প্রবীণ সেই ইমামাত করবে। কোন ব্যক্তি যেন কারো নিজের বাড়ীতে (বাড়ীর কর্তাকে বাদ দিয়ে) কিংবা কারো ক্ষমতাসীন এলাকায় নিজে ইমামাত না করে। আর কেউ যেন কারো বাড়ীতে গিয়ে অনুমতি ছাড়া তার বিছানায় না বসে।
সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ১৪২০

والله اعلم بالصواب

ইসহাক মাহমুদ, মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর
প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন