و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

আপনার এই উদ্যোগ খুবই প্রশংসিত। এটি আমাদের প্রিয়নবী মুহাম্মাদ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আদর্শ।
নবীজি ইরশাদ করেছেন, যে তোমার প্রতি জুলুম করেছে তুমি তাকে মাফ করে দাও। যে আত্মীয় তোমার সঙ্গে আত্মীয়তা ছিন্ন করেছে, তার সঙ্গে তুমি আত্মীয়তা বজায় রাখ।
এই মহান পদক্ষেপে শয়তান আপনাকে সুযোগ দিবে, কী করে ভাবছেন? শয়তান তো আপনার মন খারাপ করে দেয়ার চেষ্টা করবেই। আপনি দৃঢ়তার সাথে সাহসী পদক্ষেপে এগিয়ে চলুন। আল্লাহ তাআলা আপনাকে কামিয়াব করবেন।
ওদের কষ্ট দেয়ার কথা মনে আসবে। আপনি তাদের কল্যাণের জন্য দোয়া করবেন। আর পড়বেন
لا حول ولا قوة الا بالله العلي العظيم
লা- হাউলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা- বিল্লাহিল আলিয়্যিল আযীম।

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ جَمِيلِ بْنِ طَرِيفِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الثَّقَفِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبَّادٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَاتِمٌ، - وَهُوَ ابْنُ إِسْمَاعِيلَ - عَنْ مُعَاوِيَةَ، - وَهُوَ ابْنُ أَبِي مُزَرِّدٍ مَوْلَى بَنِي هَاشِمٍ - حَدَّثَنِي عَمِّي أَبُو الْحُبَابِ، سَعِيدُ بْنُ يَسَارٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ إِنَّ اللَّهَ خَلَقَ الْخَلْقَ حَتَّى إِذَا فَرَغَ مِنْهُمْ قَامَتِ الرَّحِمُ فَقَالَتْ هَذَا مَقَامُ الْعَائِذِ مِنَ الْقَطِيعَةِ ‏.‏ قَالَ نَعَمْ أَمَا تَرْضَيْنَ أَنْ أَصِلَ مَنْ وَصَلَكِ وَأَقْطَعَ مَنْ قَطَعَكِ قَالَتْ بَلَى ‏.‏ قَالَ فَذَاكَ لَكِ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ اقْرَءُوا إِنْ شِئْتُمْ ‏{‏ فَهَلْ عَسَيْتُمْ إِنْ تَوَلَّيْتُمْ أَنْ تُفْسِدُوا فِي الأَرْضِ وَتُقَطِّعُوا أَرْحَامَكُمْ * أُولَئِكَ الَّذِينَ لَعَنَهُمُ اللَّهُ فَأَصَمَّهُمْ وَأَعْمَى أَبْصَارَهُمْ * أَفَلاَ يَتَدَبَّرُونَ الْقُرْآنَ أَمْ عَلَى قُلُوبٍ أَقْفَالُهَا‏}‏ ‏"‏ ‏.‏

আবূ হুরাইরাহ্ রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত :
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা যখন সৃষ্টিকুল সৃষ্টি করে তা সমাপ্ত করলেন, তখন ‘রাহিম’ দন্ডায়মান হলো এবং বলল, এ হচ্ছে আত্মীয়তার সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করা থেকে আশ্রয় প্রার্থনাকারীর স্থান। তিনি বললেন, হ্যাঁ। তুমি কি এতে সন্তুষ্ট নও যে, যে তোমাকে সংযুক্ত রাখবে আমিও তাঁর সাথে সম্পর্ক রাখব, আর যে তোমাকে বিচ্ছিন্ন করে দিবে আমিও তাকে পৃথক করে দিব? তখন সে বলল, হ্যাঁ। তিনি বললেন, তোমার জন্য তাই হবে। এরপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, যদি তোমরা চাও তাহলে তিলাওয়াত করতে পার, “তোমরা কি অস্বীকার করতে পারবে যে, তাদের উপর দায়িত্ব অর্পণ করলে পৃথিবীতে বিপর্যয় ও ফাসাদ সৃষ্টি করবে এবং তোমাদের আত্মীয়তার সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে দিবে, এরাই তারা-যাদের উপর আল্লাহ অভিসম্পাত করেছেন। এরপর তিনি তাদের বধির করে দিয়েছেন ও তাদের চক্ষুসমূহ দৃষ্টিহীন করে দিয়েছেন। তারা কি কুরআন সম্পর্কে অভিনিবেশ সহকারে চিন্তা করে না, না তাদের অন্তর তালাবদ্ধ?”
(সূরাহ্‌ মুহাম্মাদ ৩৭:২২-২৪)
সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৬৪১২

عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم صِلْ مَنْ قَطَعَكَ وَأَعْطِ مَنْ حَرَمَكَ وَاعْفُ عَمَّنْ ظَلَمَكَ

উক্ববাহ বিন আমের রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত :
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমার সঙ্গে যে আত্মীয়তা ছিন্ন করেছে, তুমি তার সাথে তা বজায় কর, তোমাকে যে বঞ্চিত করেছে, তুমি তাকে প্রদান কর এবং যে তোমার প্রতি অন্যায়াচরণ করেছে, তুমি তাকে ক্ষমা ক'রে দাও।”
মুসনাদ আহমাদ ১৭৪৫২

والله اعلم بالصواب