আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

মসজিদে ঘুমানোর বিধান

প্রশ্নঃ ৪৩৫০. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আল্লার ঘর মসজিদের ভিতর ঘুমানো জায়েয আছে কী ? থাকলে কী ভাবে ঘুমাবো?

৩০ জানুয়ারী, ২০২৫
নগরকান্দা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


মসজিদের বাইরে ব্যবস্থাপনা থাকলে শুধু ঘুমানোর জন্য মসজিদ ব্যবহার উচিত নয়।
ইতিকাফের নিয়তে মসজিদে ঘুমানো ও অবস্থান করা সওয়াবের বিষয়।
মুসাফির, উদ্বাস্তু ও গৃহহীন মুসলমান বিকল্প ব্যবস্থা হওয়া পর্যন্ত মসজিদে ঘুমাতে অসুবিধা নেই।
হিজরতের পর সাহাবায়ে কেরামের যারা তখন পর্যন্ত বিবাহ করেননি, তারা মসজিদে অবস্থান করতেন।

বিশেষ কারণে মসজিদে ঘুমাতে হলে মসজিদের পূর্ণ আদব ও ইহতিরাম রক্ষা করে ঘুমাবে।

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ حَمَّادِ بْنِ طَلْحَةَ، حَدَّثَنَا أَسْبَاطٌ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ حُمَيْدِ ابْنِ أُخْتِ، صَفْوَانَ عَنْ صَفْوَانَ بْنِ أُمَيَّةَ، قَالَ كُنْتُ نَائِمًا فِي الْمَسْجِدِ عَلَى خَمِيصَةٍ لِي ثَمَنُ ثَلاَثِينَ دِرْهَمًا فَجَاءَ رَجُلٌ فَاخْتَلَسَهَا مِنِّي فَأُخِذَ الرَّجُلُ فَأُتِيَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَمَرَ بِهِ لِيُقْطَعَ ‏.‏ قَالَ فَأَتَيْتُهُ فَقُلْتُ أَنَقْطَعُهُ مِنْ أَجْلِ ثَلاَثِينَ دِرْهَمًا أَنَا أَبِيعُهُ وَأُنْسِئُهُ ثَمَنَهَا قَالَ ‏ "‏ فَهَلاَّ كَانَ هَذَا قَبْلَ أَنْ تَأْتِيَنِي بِهِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَاهُ زَائِدَةُ عَنْ سِمَاكٍ عَنْ جُعَيْدِ بْنِ جُحَيْرٍ قَالَ نَامَ صَفْوَانُ ‏.‏ وَرَوَاهُ مُجَاهِدٌ وَطَاوُسٌ أَنَّهُ كَانَ نَائِمًا فَجَاءَ سَارِقٌ فَسَرَقَ خَمِيصَةً مِنْ تَحْتِ رَأْسِهِ ‏.‏ وَرَوَاهُ أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ قَالَ فَاسْتَلَّهُ مِنْ تَحْتِ رَأْسِهِ فَاسْتَيْقَظَ فَصَاحَ بِهِ فَأُخِذَ ‏.‏ وَرَوَاهُ الزُّهْرِيُّ عَنْ صَفْوَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ فَنَامَ فِي الْمَسْجِدِ وَتَوَسَّدَ رِدَاءَهُ فَجَاءَهُ سَارِقٌ فَأَخَذَ رِدَاءَهُ فَأُخِذَ السَّارِقُ فَجِيءَ بِهِ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

সাফওয়ান ইবনু ‘উমাইয়্যাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, একদা আমি তিরিশ দিরহাম মূল্যর আমার একটি চাদরে মাসজিদে ঘুমিয়েছিলাম। অতঃপর এক ব্যাক্তি এসে আমার কাছ থেকে সেটা টেনে নিয়ে যায়। তাকে হাতেনাতে ধরে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট নিয়ে আসা হলে তিনি তার হাত কাটার আদেশ দিলেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি তাঁর নিকট হাজির হয়ে বললাম, মাত্র ত্রিশটি দিরহামের কারনে আপনি তার হাত কাটাবেন? আমি তার নিকট এটা বাকীতে বিক্রি করছি। তিনি বললেন, তুমি তাকে আমার নিকট নিয়ে আসার পূর্বে তা করলে না কেনো?
ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, যায়িদাহ সিমাকের সূত্রে জুআইদ ইবনু হুযাইর হতে এই হাদীস বর্ণনা করে বলেন, সাফওয়ান ঘুমিয়েছিলেন। তাউস ও মুজাহিদ এ হাদীস বর্ণনা করে বলেন, তিনি ঘুমন্ত ছিলেন। চোর এসে তার মাথার নীচ হতে চাদরটি চুরি করে নিয়ে যায়। আবূ সালামাহ ইবনু ‘আবদুর রা্হমান’ এ হাদীস বর্ণনা করে বলেন, চোরটি তার মাথার নীচ হতে চাদরটি টান দিয়ে নিয়ে যায়। তিনি জাগ্রত হয়ে চিৎকার দেন এবং তাকে ধরে ফেলা হয়। যুহরী (রহঃ) সাফওয়ান ইবনু ‘আবদুল্লাহ হতে বর্ণনা করে বলেন, তার চাদরটাকে তিনি বালিশ বানিয়ে মাথার নিচে রেখে মাসজিদে ঘুমান। এ সময় চোর এসে তার চাদরটা হস্তগত করে। তিনি তাকে ধরে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট নিয়ে আসেন।
সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪৩৯৪

والله اعلم بالصواب

ইসহাক মাহমুদ, মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর
প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন