و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

১. আযানের পর দোয়া পড়ার জন্য হাত তোলার কথা প্রমাণিত নয়।
মাসনুন দোয়া অর্থাৎ কুরআন-হাদীসের শেখানো দোয়াগুলোর একটি মূলনীতি হলো, যে দোয়াগুলোর জন্য সময় তথা প্রেক্ষাপট নির্ধারিত এবং দোয়া নির্ধারিত সেই দোয়া পড়ার সময় হাত তোলা প্রমাণিত নয়। যেমন টয়লেটে যেতে ও বের হতে, মসজিদে প্রবেশ করতে ও বের হতে, ঘরে প্রবেশ করতে ও বের হতে, খানা খাওয়ার শুরুতে ও শেষে, এমনিভাবে আযানের শেষে। যেখানে প্রেক্ষাপট নির্ধারিত এবং দোয়া নির্ধারিত, সেখানে হাত তোলা প্রমাণিত নয়।

المشروع بعد الأذان أن يقول بعد إجابة المؤذن والصلاة على النبي - صلى الله عليه وسلم - ما ورد وهو: «اللهم رب هذه الدعوة التامة والصلاة القائمة آت محمدًا الوسيلة والفضيلة وابعثه المقام المحمود الذي وعدته»؛ لأن ذلك قد ثبت عن النبي - صلى الله عليه وسلم - من حديث جابر بن عبد الله الأنصاري - رضي الله عنهما - في (صحيح البخاري) رحمه الله، ومن غير رفع اليدين؛ لأن ذلك لم يرد في هذا الموضع فيعتبر فعله بدعة.
وبالله التوفيق، وصلى الله على نبينا محمد وآله وصحبه وسلم.

مصدر:
اللجنة الدائمة للبحوث العلمية والإفتاء(5/79- 80)المجموعة الثانية
بكر أبو زيد ... عضو
عبد العزيز آل الشيخ ... عضو
صالح الفوزان ... عضو
عبد العزيز بن عبد الله بن باز ... الرئيس

২. আল্লাহ তাআলার নির্ধারিত নিয়ম হলো, শিক্ষা দেয়া ও শিক্ষা গ্রহণ করা একজন থেকে আরেকজনের কাছে স্থানান্তর হয়। এ জন্যই তো গোটা মানব জাতিকে শেখানোর জন্য আল্লাহ তাআলা যুগে যুগে নবীদেরকে শিক্ষক করে পাঠিয়েছেন। শিক্ষকের প্রয়োজন না থাকলে আল্লাহ তাআলা চাইলে শুধু কিতাব তথা কুরআনে কারীম কাগজে লিপিবদ্ধ করে নাজিল করে দিতে পারতেন। পবিত্র কুরআনে কারীমে এ সংক্রান্ত আয়াত নাযিল হয়েছে।

وَلَوۡ نَزَّلۡنَا عَلَیۡکَ کِتٰبًا فِیۡ قِرۡطَاسٍ فَلَمَسُوۡہُ بِاَیۡدِیۡہِمۡ لَقَالَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡۤا اِنۡ ہٰذَاۤ اِلَّا سِحۡرٌ مُّبِیۡنٌ
(আল আনআম - ৭)
যদি আমি কাগজে লিখিত কোন বিষয় তাদের প্রতি নাযিল করতাম, অতঃপর তারা তা সহস্তে স্পর্শ করত, তবুও অবিশ্বাসীরা একথাই বলত যে, এটা প্রকাশ্য জাদু বৈ কিছু নয়।

حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ هِلاَلٍ الصَّوَّافُ، حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ الزِّبْرِقَانِ، عَنْ بَكْرِ بْنِ خُنَيْسٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زِيَادٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ذَاتَ يَوْمٍ مِنْ بَعْضِ حُجَرِهِ فَدَخَلَ الْمَسْجِدَ فَإِذَا هُوَ بِحَلْقَتَيْنِ إِحْدَاهُمَا يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ وَيَدْعُونَ اللَّهَ وَالأُخْرَى يَتَعَلَّمُونَ وَيُعَلِّمُونَ فَقَالَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ كُلٌّ عَلَى خَيْرٍ هَؤُلاَءِ يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ وَيَدْعُونَ اللَّهَ فَإِنْ شَاءَ أَعْطَاهُمْ وَإِنْ شَاءَ مَنَعَهُمْ وَهَؤُلاَءِ يَتَعَلَّمُونَ وَيُعَلِّمُونَ وَإِنَّمَا بُعِثْتُ مُعَلِّمًا ‏"‏ ‏.‏ فَجَلَسَ مَعَهُمْ ‏.‏

আবদুল্লাহ্‌ বিন আমর ইবনুল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
একদিন রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর কোন এক হুজরা থেকে বের হয়ে এসে মাসজিদে প্রবেশ করেন। তখন সেখানে দু’টি সমাবেশ চলছিল। একটি সমাবেশে লোকজন কুরআন তিলাওয়াত ও আল্লাহ্‌র যিকরে মশগুল ছিল এবং অপর সমাবেশে লোকজন শিক্ষাগ্রহণ ও শিক্ষাদানে রত ছিল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, সকলেই কল্যাণকর তৎপরতায় রত আছে। এই সমাবেশের লোকজন কুরআন তিলাওয়াত করছে এবং আল্লাহ্‌র নিকট দুআ’ করছে। তিনি চাইলে তাদের দান করতেও পারেন আবার চাইলে নাও দিতে পারেন। অন্যদিকে এই সমাবেশের লোকেরা শিক্ষাগ্রহণ এবং শিক্ষাদানে রত আছে। আর আমি শিক্ষক হিসাবেই প্রেরিত হয়েছি। অতঃপর তিনি এদের সমাবেশে বসলেন।
সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ২২৯

৩. হামীম অর্থ অন্তরঙ্গ বন্ধু। হামযাহ حمزة অর্থ সাহসী, বীর। পুরো নামের সরল অর্থ হবে : সাহসী বন্ধু।

৪. সূর্য উদয়, অস্ত ও ঠিক দুপুরবেলা এ তিন সময়ে সব ধরনের নামায পড়া নিষিদ্ধ।
সুবহে সাদিকের পর থেকে সূর্যোদয়ের দশ-পনেরো মিনিট পর পর্যন্ত,
আসরের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত,
এমনিভাবে খুতবা ও ফরজ নামাজ চলাকালীন এই সময়গুলোতে মসজিদে প্রবেশের পর দুখুলুল মসজিদ পড়া যাবে না।

উপরোক্ত সময়গুলো ছাড়া বাকি যেকোন সময় মসজিদে প্রবেশের পর দু'রাকাত দুখুলুল মসজিদ পাড়া মুস্তাহাব।

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلاَمٍ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ خُبَيْبٍ، عَنْ حَفْصِ بْنِ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ صَلاَتَيْنِ بَعْدَ الْفَجْرِ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ، وَبَعْدَ الْعَصْرِ حَتَّى تَغْرُبَ الشَّمْسُ‏.‏

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দু’সময়ে সালাত আদায় করতে নিষেধ করেছেন। ফজরের পর (ফজর বলে সুবহি সাদিক উদ্দেশ্য) সূর্য উঠা পর্যন্ত এবং আসরের পর সূর্য ডুবা পর্যন্ত।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৫৮৮

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُلَىٍّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ عُقْبَةَ بْنَ عَامِرٍ الْجُهَنِيَّ، يَقُولُ ثَلاَثُ سَاعَاتٍ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَنْهَانَا أَنْ نُصَلِّيَ فِيهِنَّ أَوْ أَنْ نَقْبُرَ فِيهِنَّ مَوْتَانَا حِينَ تَطْلُعُ الشَّمْسُ بَازِغَةً حَتَّى تَرْتَفِعَ وَحِينَ يَقُومُ قَائِمُ الظَّهِيرَةِ حَتَّى تَمِيلَ الشَّمْسُ وَحِينَ تَضَيَّفُ الشَّمْسُ لِلْغُرُوبِ حَتَّى تَغْرُبَ ‏.

‘উলাইয়্যি (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
আমি ‘উক্ববাহ্ ইবনু ‘আমির আল জুহানী (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তিনটি সময়ে আমাদেরকে সলাত আদায় করতে এবং আমাদের মৃতদেরকে দাফন করতে নিষেধ করেছেন :
(১)সূর্য যখন আলোকোদ্ভাসিত হয়ে উদয় হতে থাকে তখন থেকে তা পরিস্কারভাবে উপরে উঠা পর্যন্ত,
(২) সূর্য যখন ঠিক দ্বিপ্রহরের সময় থেকে হেলে যাওয়া পর্যন্ত,
(৩) সূর্য ক্ষীণ আলোক হওয়া থেকে তা সম্পুর্ণ অস্ত যাওয়া পর্যন্ত।
সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ১৮১৪

৫. অজু করার পর শরীরে বা কাপড়ে নাপাকি লাগলে ঐ নাপাকি দূর করতে হবে। নতুন করে ওযু করতে হবে না।

والله اعلم بالصواب