و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

১. ইমামের পিছনে যোহর-আসর পড়ার সময় ইমাম যখন ক্বিরাত পড়বেন তখন মুক্তাদী চুপ থাকবে।

أَخْبَرَنَا الْجَارُودُ بْنُ مُعَاذٍ التِّرْمِذِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الْأَحْمَرُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنُ عَجْلَانَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِنَّمَا جُعِلَ الْإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ، فَإِذَا كَبَّرَ فَكَبِّرُوا، وَإِذَا قَرَأَ فَأَنْصِتُوا، وَإِذَا قَالَ سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ فَقُولُوا: اللَّهُمَّ رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ "
[حكم الألباني] حسن صحيح

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ইমাম নিযুক্ত করা হয়েছে তাঁর অনুসরণ করার জন্য। অতএব, যখন সে তাকবীর বলে তখন তোমরাও তাকবীর বল, আর যখন সে কুরআন পড়ে তখন তোমরা চুপ থাকবে, আর যখন তিনি বলেন, ‘সামি’আল্লাহু লিমান হামিদাহ’ তখন তোমরা বলবে, ‘রাব্বানা লাকাল হামদ’।
সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৯২১

২. নিয়ত অন্তরের কাজ। মনের সংকল্পকে "নিয়ত" বলা হয়। মুখে উচ্চারণ করা জরুরী নয়। তদুপরি মুখে বলতে চাইলে এভাবে বলবে, "আমি পবিত্র হওয়ার নিয়তে গোসল করছি"।
ফরজ গোসল করার সুন্নত তরীকা হল:
প্রথমে দুই হাতের কব্জি পর্যন্ত ধুয়ে নেবে।
শরীর বা কাপড়ের যে স্থানে নাপাক লেগে আছে তা পরিষ্কার করে দেবে।
নামাজের ওযুর মত ওযু করবে।
তিন কোষ পানি মাথায়, তিন কোষ ডান কাঁধে, তিন কোষ বাম কাঁধে দিবে।
অতঃপর গোটা দেহ ধুয়ে দিবে।

৩. জি হ্যাঁ, দুই সাজদার মাঝে পড়ার জন্য এই দোয়া হাদীসে শেখানো হয়েছে।

৪. বাথরুম থেকে বের হওয়ার সুন্নাহ সম্মত দুইটি দোয়া রয়েছে।
غُفْرانَك গুফরা-নাক
الحمد لله الذي اذهب عني الأذى و عافاني
আলহামদুলিল্লাহিল্লাযী আযহাবা আন্নিল আযা- ওয়া আ-ফা-নী।

৫. আল্লাহ মহান এর সমার্থক আরবি শব্দ হলো "আল্লাহু আকবার"।

৬. আযানের পর নির্দিষ্ট দোয়া হাদীস শরীফে শেখানো হয়েছে। এই সময়ে মুনাজাত নয়।
أللهم رب هذه الدعوة التامة والصلاة القائمة آت محمد الوسيلة والفضيلة وابعثه مقاما محمود الذي وعدته انك لا تخلف الميعاد.

৭. দোয়া মোনাজাত করার সুন্নত তরীকা হলো:
প্রথমে আল্লাহ তাআলার প্রশংসা, (হামদ)
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর দুরুদ,
নিজের গুনাহ মাফ চাওয়া,
সমস্ত মুসলমানের জন্য মাফ চাওয়া,
এরপর নিজের মনের কথা মহান আল্লাহ তাআলার কাছে পেশ করা।
শেষে দুরুদ পড়া ও আল্লাহর প্রশংসা বাক্য বলে মুনাজাত শেষ করা।

والله اعلم بالصواب