আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

যে কারণে বিবাহ বিচ্ছেদ জায়েজ

প্রশ্নঃ ৩৬৪৯. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, সর্বোচ্চ কোন ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন করা দুরস্ত?

২৭ মে, ২০২৪
ঢাকা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


স্বামী-স্ত্রীর মাঝে কোনভাবেই সম্পর্ক বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে না। একে অপরের হক আদায় করছে না। বরং জুলুম করছে। কিছুতেই মিল মিলাপ করে এর সমাধান করা যাচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে বিবাহ বিচ্ছিন্ন করা যেতে পারে।
তবে মনে রাখবে, শরীয়তের দৃষ্টিতে তালাক খুবই অপছন্দনীয়। ক্ষেত্রবিশেষে এর প্রয়োগ স্ত্রী-সন্তানের প্রতি জুলুমও বটে। তাই অত্যন্ত ভেবেচিন্তে মুরব্বি ও আলেমদের সাথে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। আর তালাকের আগে উভয় পক্ষের মুরব্বিদের নিয়ে সমঝোতা ও মীমাংসার চেষ্টা করা কর্তব্য। এরপরও যদি উভয়ের মাঝে সম্পর্কের উন্নতি না ঘটে এবং একত্রে থাকলে একে অপরের হক আদায় করা এবং শরীয়তের হুকুম অনুযায়ী চলা সম্ভব না হয় তখন চাইলে তালাক দিতে পারবে।
আর তালাক দেওয়ার সবচেয়ে উত্তম পদ্ধতি হল, হায়েয/নেফাস থেকে পবিত্র হওয়ার পর তার সাথে মিলন থেকে বিরত থাকা অবস্থায় এক তালাক দেওয়া। এরপর আর তালাক না দেওয়া। এবং ইদ্দত শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত তার সাথে স্বামী-স্ত্রীসূলভ কোনো আচরণও না করা। এক্ষেত্রে ইদ্দত শেষ হয়ে গেলে তালাকটি বায়েনে পরিণত হয়ে বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যাবে। এরপর মহিলাটি অন্যত্র বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে।
এটি স্ত্রী থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার সবচেয়ে উত্তম পন্থা।
আল আওসাত, ইবুনল মুনযির ৯/১৩৯

أَزْهَرُ بْنُ جَمِيلٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ حَدَّثَنَا خَالِدٌ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ امْرَأَةَ ثَابِتِ بْنِ قَيْسٍ أَتَتْ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُوْلَ اللهِ ثَابِتُ بْنُ قَيْسٍ مَا أَعْتِبُ عَلَيْهِ فِي خُلُقٍ وَلاَ دِينٍ وَلٰكِنِّي أَكْرَهُ الْكُفْرَ فِي الإِسْلاَمِ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَتَرُدِّينَ عَلَيْهِ حَدِيقَتَه“ قَالَتْ نَعَمْ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم اقْبَلْ الْحَدِيقَةَ وَطَلِّقْهَا تَطْلِيقَةً قَالَ أَبُو عَبْد اللهِ لاَ يُتَابَعُ فِيهِ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ .

ইব্‌নু 'আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
যে, সাবিত ইবনু কায়স এর স্ত্রী নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এসে বলল, হে আল্লাহ্‌র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! চরিত্রগত বা দ্বীনী বিষয়ে সাবিত ইবনু কায়সের উপর আমি দোষারোপ করছিনা। তবে আমি ইসলামের ভিতরে থেকে কুফরী করা (অর্থাৎ স্বামীর সঙ্গে অমিল) পছন্দ করছি না। রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি কি তার বাগানটি ফিরিয়ে দেবে? সে বললঃ হ্যাঁ। রসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তুমি বাগানটি গ্রহণ কর এবং মহিলাকে এক ত্বলাক্ব দিয়ে দাও।

সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৫২৭৩

والله اعلم بالصواب

ইসহাক মাহমুদ, মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর
প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন