আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

প্রশ্নঃ ৩৬৪৭. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, দোয়া কুনুত,

১৬ নভেম্বর, ২০২০

ঢাকা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


দু‘আয়ে কুনূত —

اَللّٰهُمَّ اِنَّا نَسْتَعِيْنُكَ. وَنَسْتَغْفِرُكَ. وَنُؤْمِنُ بِكَ .وَنَتَوَكَّلُ عَلَيْكَ. وَنُثْنِىْ عَلَيْكَ الخَيْرَ. وَنَشْكُرُكَ. وَلَا نَكْفُرُكَ. وَنَخْلَعُ وَنَتْرُكُ مَنْ يَّفْجُرُكَ. اَللّٰهُمَّ اِيَّاكَ نَعْبُدُ وَلَكَ نُصَلِّىْ .وَنَسْجُدُ وَ اِلَيْكَ نَسْعٰی وَنَحْفِدُ وَنَرْجُوْ رَحْمَتَكَ. وَنَخْشٰی عَذَا بَكَ. اِنَّ عَذَا بَكَ. بِا لْكُفَّارِ مُلْحَقٌ*

আল্লাহুম্মা ইন্না নাসতাঈনুকা ওয়া নাসতাগ ফিরুকা ওয়ানুমিনু বিকা ওয়ানাতাওয়াক্কালু আলাইকা ওয়া নুছনী আলাইকাল খইর । ওয়া নাসকুরুকা আলা নাক ফুরুকা ওয়ানাখলাউ উয়ানাত রুকু মাইয়্যাফযুরুকা । আল্লাহুম্মা ইয়্যাকানা বুদু ওয়ালাকা নুছালি্ল ওয়া নাস জুদু ওয়া ইলাইকা নাসয়া ওয়া নাহফিদু ওয়া নারজু রহমাতাকা ওয়া নাখশা আজাবাকা ইন্না আজাবাকা বিলকুফফারি মূলহিক ।

আসেম র. বলেন, আমি হযরত আনাস ইবনে মালিক রা কে কুনূত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, (হ্যাঁ,) কুনূত পড়ার নিয়ম আছে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ‘রুকুর আগে না রুকুর পরে? তিনি বললেন, ‘রুকুর আগে।’ আমি বললাম, ‘এক ব্যক্তি আমাকে আপনার পক্ষ হতে সংবাদ দিয়েছে যে, কুনূত রুকুর পরে পড়তে হবে!’ তিনি বললেন, ‘ঐ ব্যক্তি ভুল বলেছে। নবীজী ﷺ এক মাস যাবত কুনূত পড়েছেন রুকুর পরে।’ (সহীহ বুখারী হা.নং ১০০৩,নাসায়ী; সুনানে কুবরা হা.নং ৬৬১, তহাবী শরীফ হা.নং ১৪৬৪, বাইহাকী;সুনানে কুবরা হা.নং ৩১২৫ ইত্যাদি কিতাবে সহীহ সনদে বর্ণিত হয়েছে।)

অর্থাৎ রুকুর পরে কুনুত পড়ার বিষয়টি বিতরে ক্ষেত্রে নয়, বরং কুনুতে নাযেলার ক্ষেত্রে। বিতরের নামাযে রুকুর আগে পড়াই সঠিক নিয়ম।

(২) হযরত উবাই ইবনে কা‘ব রা বলেন, নবীজী ﷺ বিতর নামায পড়তেন এবং রুকুর পূর্বে কুনূত পড়তেন। (ইবনে মাজাহ হা.নং ১১৮২,নাসায়ী;সুনানে সুগরা হা.নং ১৬৯৯। আল্লামা নীমাভী তাঁর আসারুস সুনান গ্রন্থে (পৃ. ২০৮) বলেন, হাদীসটির সনদ সহীহ। শায়েখ শুআইব আল আরনাঊত বলেন, হাদীসটির সনদ সহীহ । শায়েখ আলবানীও বলেন, হাদীসটি সহীহ ।)

(৩) আলকমা রহ. বলেন, হযরত ইবনে মাসঊদ রা এবং নবীজী ﷺ র অন্যান্য সাহাবায়ে কেরাম বিতরের নামাযে রুকুর পূর্বে কুনূত পড়তেন। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা হা.নং ৬৯৮৩। আল্লামা নীমাভী তাঁর আসারুস সুনান গ্রন্থে (পৃ. ২০৯) বলেন, হাদীসটির সনদ সহীহ। আল্লামা তুরকুমানী তাঁর জাওহারুন নাকীতে (৩/৪১) বলেন, এটি সহীহ মুসলিমের শর্ত অনুযায়ী সহীহ। হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী রহ. বলেন, এই হাদীসের সনদটি হাসান পর্যায়ের।

والله اعلم بالصواب

উত্তর দিয়েছেনঃ ইসহাক মাহমুদ, মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর

মন্তব্য ()

কোনো মন্তব্য নেই।

এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

৯০৭৩৭

ফরয নামাযের সিজদায় অতিরিক্ত দু‘আ করা


২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

মনাইর কান্দি

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতী মাহমুদুল হাসান

৪১২০৮

সকাল সন্ধ্যার যিকরগুলো কোন সময় পড়তে হবে?


২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

ঢাকা ১২১৫

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি জাওয়াদ তাহের

২৭৭৫৮

কীভাবে নিজেকে আত্মবিশ্বাসী ও সাহসী হিসেবে গড়ে তুলব?


১২ জানুয়ারী, ২০২৩

চট্টগ্রাম

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী

২৬২৩৫

ব্যাথা উপশমের দোয়া


১৬ ডিসেম্বর, ২০২২

সেবারহাট

question and answer icon

উত্তর দিয়েছেনঃ মুফতি সাইদুজ্জামান কাসেমি

Logoমুসলিম বাংলা
play storeapp store
TopOfStack Software © 2025 All rights reserved. Privacy Policy