আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

নামাযে সানা কখন পড়তে হয়?

প্রশ্নঃ ৩৬৩২৭. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, সানা কখন পাঠ করতে হয়? আমরা যে কোন নামাজ শুরু করার আগে সানা পড়ি। এখন আমার প্রশ্ন হল যে,ফযরের নামাজ ৪ রাকাত। ২ রাকাত সুন্নত পরার আগে তো সানা পড়ব এরপর কি আবার ২ রাকাত ফরয এর আগেও সানা পড়বো?

১৮ জুলাই, ২০২৩
ঢাকা

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


নামাজে আল্লাহু আকবার বলে নিয়ত বাঁধার পর প্রথম কাজ হলো সানা পড়া। যতবার নতুন নামাজ পড়বেন ততবার এই সানা পড়বেন। এজন্য একে ইস্তেফতাহ তথা শুরু করার দোয়া বলা হয়। আর এটা পুরা নামাজে একবারই পড়তে হয়, একাধিকবার পড়ার নিয়ম নেই। কেননা, আবূ সাঈদ খুদরী রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ নামাজ শুরু করে (তাকবীরে তাহরীমার পর) বলতেন–

سُبْحَانَكَ اَللَّهُمَّ وَ بِحَمْدِكَ وَ تَبَارَكَ اسْمُكَ وَ تَعَالِىْ جَدُّكَ وَ لَا اِلَهَ غَيْرُكَ
(অর্থ, হে আল্লাহ! আমি আপনার সপ্রশংস পবিত্রতা ঘোষণা করছি, আপনার নাম বরকতপূর্ণ, আপনার মাহাত্ন সুউচ্চ এবং আপনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই)। (সহীহ বুখারী ৮০৪)

উল্লেখ্য, কেউ একা পড়ুক বা জামাতে নামাজ পড়ুক–উভয় অবস্থায় সানা পড়া সুন্নাত। ইমাম আস্তে কেরাত পড়া অবস্থায় ইমামের সঙ্গে নিয়ত বেঁধে সানা পড়তে পারে তাতে কোনো অসুবিধা নেই। আর ইমাম জোরে কেরাত পড়া অবস্থায় কেরাত শুনা ফরজ বিধায় তখন সানা পড়া নিষেধ। কিন্তু এক্ষেত্রে অনেকের যে ভুলটা হয়ে থাকে তা হলো, ইমামকে যদি রুকুতে পায় তাহলে প্রথমে তাকবির বলে হাত বাঁধে তারপর দ্রুত সানা পড়ে রুকুতে যায়। অনেক সময় সানা পড়তে পড়তে ইমামের রুকু শেষ হয়ে যায় ফলে ওই রাকাত ছুটে যায়। এটা ঠিক নয়। এ অবস্থায় সানা পড়তে হবে না, হাতও বাঁধতে হবে না।

والله اعلم بالصواب

শাইখ উমায়ের কোব্বাদী সিনিয়র মুহাদ্দিস, মাদরাসা দারুর রাশাদ, মিরপুর খতীব, বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদ, মিরপুর
প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন