و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

আমি একজন লোক থেকে টাকা পাই- যা নেসাব পরিমাণ হবে। এই টাকা সে আমাকে কুরবানীর ৬দিন পরে দিবে। এখন এই টাকা ছাড়া আমার কাছে নেসাব পরিমাণ সম্পদ অতিরিক্ত নেই। এমতাবস্থায় আমার উপর কুরবানী ওয়াজিব হবে?  একজন স্বনামধন্য ও সুপরিচিত মুফতী সাহেব বলেছেন এমতাবস্থায় কুরবানী করা আবশ্যক নয়। তিনি রেফারেন্স হিসেবে এই লেখাটি দিয়েছেন।উনার কথা কি সঠিক?

لو كان عليه دين بحيث لو صرف فيه نقص نصابه لا تجب، وكذا لو كان له مال غائب لا يصل إليه فى أيامه (الفتاوى الهندية-5/292، جديد-5/337)
وكذا لو كان له مال غائب لا يصل إليه فى أيام النحر، لأنه فقير وقت غيبة المال (بدائع الصنائع، زكريا-4/196، كرتاشى-5/64

উত্তর:
সম্মানিত প্রশ্নকারী!
আপনাকে যেই হজরত মুফতি সাহেব হাফি. উত্তর দিয়েছেন তার উত্তর এবং রেফারেন্সটি যথার্থ হয়েছে। তবে সেখানে মূলত বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি নেসাবের মালিক হয় এবং ঋণদাতা হয় কিন্তু কুরবানীর দিনগুলোতে কুরবানী করার মতো কোনো সম্পদও তার কাছে না থাকে তাহলে তার জন্য কুরবানী করা আবশ্যক নয়। কেননা নেসাবের মালিক হওয়া সত্ত্বেও ঋণ প্রদান এবং নগদ অর্থ না থাকার কারণে তিনি এখন ফকির বা দরিদ্রের কাতারে অবস্থান করছেন। (এতটুকু হলো তাঁর উত্তর)

ফতোয়া বাযযাজিয়্যাহ গ্রন্থে আছে,
কিন্তু “যদি ওই ব্যক্তির কাছে স্বর্ণ, রৌপ্য ইত্যাদি বা এমন কোন গ্রহাস্থলী সম্পদ থাকে যা দিয়ে তিনি কুরবানীর ছোট পশু ক্রয় করতে পারেন বা বড় কোনো পশুতে শরীক হতে পারেন তবে তার উপর কুরবানী করা আবশ্যক। আর যদি তার কোনটিই না থাকে এবং ঋণগ্রহীতা এমন হয়ে যে, ঋণদাতা যদি তার কাছে কুরবানীর সমপরিমাণ টাকা তলব করেন, তাহলে আশা করা যায় তিনি “না” করবেন না, তাহলে তার কাছ থেকে কুরবানীর সমপরিমাণ টাকা চেয়ে নিয়ে কুরবানী করতে হবে।”

لہ دین حال علی مقر ملئ ولیس عندہ ما یشتریہا بہ لا یلزمہ الاستقراض ولا قیمة الأضحیة إذا وصل الدین إلیہ ولکن یلزمہ أن یسأل منہ ثمن الأضحیة إذا غلب علی ظنہ أنہ یعطیہ، لہ مال کثیر غائب في ید مضاربہ أو شریکہ ومعہ من الحجرین أو متاع البیت ما یشتری بہ الأضحیة تلزم“ (فتاوی بزازیہ برہامش ہندیہ ۶: ۲۸۷، ۲۸۸ مطبوعہ مکتبہ زکریا دیوبند)
https://darulifta-deoband.com/home/ur/qurbani-slaughtering/55466

والله اعلم بالصواب