প্রশ্নঃ ৩৪৬৪. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমার বিয়ে হয়েছে ৫ বছর চলছে। আমার দেড় বছর বয়সী একটা ছেলে বাবু আছে। বিয়ের পর থেকেই আমার শাশুড়ী আমার উপর খুব জুলুম করছে। আমার সামীর সাথে আমার ভালো সম্পর্ক দেখতে পারে না। আমার পরিবারের সঙ্গে আমার স্বামীর ভালো সম্পর্ক দেখতে পারে না। আমার স্বামীর কাছে আমাকে আর আমার পরিবারকে শুধু খারাপ করার চেষ্টা করে। আমার স্বামী আমাকে কিছু দিতেও পারে না তার জন্য। দিলেও না জানিয়ে দেয়। আমাকে ঘুরতে নিলেও লুকিয়ে নেয়। আমার ছেলের জন্য কিছু কিনলে হিংসা করে। স্বামীর আয়ের উপর সে সব অধিকার খাটায়। সংসারের সব কিছুর উপর সে কর্তৃত খাটায়। আমার সামীর তার হাতে সব সময় টাকা দিয়ে তাকে ঠান্ডা রাখা লাগে। সংসারের সব কাজ আমি করি, এর পরও সারাদিন শুধু হুকুমের উপর রাখে। উঠতে বসতে শুধু দোষ খুঁজেতে থাকে। সে খুব লোভীও। আমার পরিবারের অবস্থা ভালো। তাই সে চায় আমার বাবার বাড়ির সব কিছু ভোগ করতে। আমার পরিবার থেকে অনেক অনেক সাহায্য করে। কিন্তু তার মন কোন ভাবেই ভরা যায় না। সে এতটা বেপরোয়া, সে কার কথা শুনে না। তার জন্য আমার সামীর সাথেও আমার সম্পর্ক ভালো না। আমি তার জালায় অতীষ্ট। আমি মানসিক ভাবে খুব ভেঙে পড়েছি। আমি তার সাথে থাকতে চাই না আর। তাই সামী আমাকে চলে যেতে বলেছে। আমি বাবার বাসায় চলে এসেছি। সামী আমার খবর নেয় না। আমার সামী একমাত্র ছেলে। ননাস আছে, সেও শাশুড়ীর মতো। শাশুড়ী চাইলে তার বাবার বাড়ি থাকতে পারে, তার মা ভাই বোন সবাই আছে। তার বাবার বাড়ির অবস্থা ভালো।কিন্তু সে আমার সুখের সংসার সহ্য করতে পারে না। সামী আমাকে ছাড়া থাকবে কিন্তু তাকে ছাড়া না।১. আমি এখন কি করব? আমার ভুল/দোষ কোথায়? ২. স্বামী কি চাইলে মাকে অন্য জায়গায় রেখে সংসার করতে পারবে? ৩. স্বামীর উপর কি আমার কোন অধিকার হক কিছুই নেই? সব কি শুধু মার ই? ৪. এই পরিস্থিতিতে আমার স্বামীর করনীয় কী?৫. আমি স্বামীকে খুব ভালবাসি, তার থেকে আলাদা হতে চাই না। কি করে সংসার টিকাব?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
১. অপর পক্ষের কথা না শুনে বলা মুশকিল।
২. তার খেদমত করার মত কেউ থাকলে অথবা নিজে গিয়ে খেদমতগুলো করে দিয়ে আসতে পারলে আপনাকে নিয়ে আলাদা সংসার করতে পারবে।
৩. স্ত্রী হিসেবে অবশ্যই আপনার ন্যায্য অধিকার আপনার স্বামীর উপর আছে। ঠিক তেমনি মা হিসেবে উনার অধিকার উনার ছেলের উপর আছে। প্রত্যেকেই নিজের অধিকার আদায় করতে গিয়ে অপরজনকে বঞ্চিত করার কোন সুযোগ নেই।
৪. আপনার স্বামীর করনীয় মা স্ত্রী ও সন্তানের প্রত্যেকের হক যথাযথভাবে আদায় করা। কাউকে খুশি করতে গিয়ে অন্য আরেকজনকে বঞ্চিত যেন না করা হয় সেদিকে সতর্ক থাকা।
৫. তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ে আল্লাহ তায়ালার কাছে কায়মনোবাক্যে দোয়া করা। এছাড়া কুরআনে কারীম থেকে বিশেষ আমলগুলো চালিয়ে যাওয়া।
والله اعلم بالصواب
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন