আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

বাবা-মায়ের অমতে দ্বীনদার পাত্রী কি বিবাহ করা

প্রশ্নঃ ৩৪৫৩. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। বিয়ের জন্য দ্বীনদারীতাকে প্রাধান্য দিতে মা বাবা নারাজ হলে কি করনীয়? আমি আলহামদুলিল্লাহ খাস পর্দা করে চলার চেষ্টা করি।আমি দ্বীনদারীতাকে প্রাধান্য দিতে চাচ্ছি। আর যদি সেরকম পাত্রের সন্ধান না মেলে সহজে তাহলে কি অপেক্ষা করা উচিত? আর কোনো ছেলে নামাজ পড়ে আবার ধূমপান করে এমন ছেলেকে কী দ্বীনদার বলা যায়?

১৯ আগস্ট, ২০২৪
Chittagong

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিবাহের ক্ষেত্রে দ্বীনদারীকে প্রাধান্য দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। বাস্তবেই দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ দ্বীনদারীর মধ্যে নিহিত রয়েছে।
অতএব মা-বাবাকে বিষয়টি সুন্দরভাবে বোঝানো উচিত। উপযুক্ত পাত্র-পাত্রীর সন্ধান পাওয়া গেলেই বিবাহ আবশ্যক হয়। তার আগে নয়।
যে ছেলে নামাজ পড়ে তার মধ্যে দ্বীনদারীর সামান্য অংশ আছে।
দ্বীনদারি আরও ব্যাপক অর্থে ব্যবহার হয়। আক্বীদা বিশুদ্ধ হওয়া। ইবাদত বন্দেগী সঠিক হওয়া। হালাল-হারাম মেনে চলা। মুআমালাত-মুআশারাত ও আখলাক তথা চরিত্র সঠিক হওয়া। সবগুলোই দ্বীনের অংশ।
দ্বীনদার পাত্র-পাত্রী ও সন্তান লাভের জন্য আল্লাহর কাছে সূরা ফুরক্বান ৭৪ নং আয়াত
وَٱلَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا هَبۡ لَنَا مِنۡ أَزۡوَٰجِنَا وَذُرِّيَّٰتِنَا قُرَّةَ أَعۡيُنٖ وَٱجۡعَلۡنَا لِلۡمُتَّقِينَ إِمَاماً
পড়ে দোয়া করবেন।

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " إِذَا خَطَبَ إِلَيْكُمْ مَنْ تَرْضَوْنَ دِينَهُ، وَخُلُقَهُ فَزَوِّجُوهُ، إِلَّا تَفْعَلُوا تَكُنْ فِتْنَةٌ فِي الْأَرْضِ، وَفَسَادٌ عَرِيضٌ ".
সুনানু তিরমিজী ১০৮৪

والله اعلم بالصواب

ইসহাক মাহমুদ, মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন