আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

নিজের হক আদায়ে জন্য মিথ্যা বলার হুকুম।

প্রশ্নঃ ৩৪০১৭. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমার সশুরবারিতে আমাত দুই ননদ এবং আমার শাশুড়ী থাকে। আমার নিজের ইচছা মত আমি কিছু কিনলে বলতে হই এতটা আমার বাবা দিয়েছে। আমার বেশিরভাগ প্রয়োজন এভাবে মিথ্যা কথা বলেই আমার স্বামী পূরন করেন। কারন আমার শাশুড়ী যদি জানতে পারেন আমার স্বামী আমাকে কিছু কিনে দিয়েছে তাহলে খুব ঝগড়া করেন। আমার সামি সবসময় বাসায় থাকেন না। আমার হাতখরচের টাকা লুকিয়ে আমাকে দেন। আমার শাশুড়ি আমার বাপের বাড়ি থেকে এটা সেটা আনতে বলেন। সবসময় আবার বাবা তা দিতে না পারলে আমার সাথে ঝগড়া করেন। মাঝে মাঝে আমার স্বামী নিজের টাকা দিয়ে কিনে বলে যে এটা আমার বাবা দিয়েছে। এভাবে মিথ্যা বললে কি পাপ হবে?

৯ জুন, ২০২৩
ত্রিশাল

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


সত্য কথা বলা ও মিথ্যা থেকে বেঁচে থাকার গুরুত্ব অপরিসীম। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করা প্রত্যেক মুসলমানদের কর্তব্য। মিথ্যা বলা হারাম ও কবীরাহ গুনাহ। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে একান্ত প্রয়োজনে মিথ্যা বলার অবকাশ আছে। তার মধ্যে একটি ক্ষেত্র হল, ন্যায্য অধিকার করতে বা ঝগড়া ফাসাদ থেকে বাঁচতে প্রয়োজনে মিথ্যা বলার সুযোগ আছে।
হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
لَا يَحِلُّ الْكَذِبُ إِلَّا فِي ثَلَاثٍ: يُحَدِّثُ الرَّجُلُ امْرَأَتَهُ لِيُرْضِيَهَا، وَالْكَذِبُ فِي الْحَرْبِ، وَالْكَذِبُ لِيُصْلِحَ بَيْنَ النَّاسِ
তিন ক্ষেত্রে ছাড়া মিথ্যা বলা জায়েয নয়। (১) স্ত্রীকে খুশি করার জন্য। (২) যুদ্ধের সময়ে। (৩) মানুষের মাঝে মিমাংসা করার জন্য। (তিরমিযী)
এ হাদীস থেকে বুঝা যায় ফেতনা ফাসাদ থেকে বাঁচতে
/বাঁচাতে মিথ্যা বলার অবকাশ আছে।
ফতোয়ায়ে শামীতে আছে,
الكذب مباح لاحياء حقه
অর্থ: নিজের হক আদায়ে মিথ্যা বলা জায়েয আছে। (ফতোয়ায়ে শামী ৯/৬১২)
অতএব প্রশ্নে বর্ণিত ক্ষেত্রে আপনার হক আদায় ও ঝগড়া থেকে বাঁচতে মিথ্যা বলার সুযোগ আছে, গুনাহ হবে না।

والله اعلم بالصواب

মুফতী আবু সাঈদ উস্তাজ, ইদারাতুত্ তাখাসসুস ফিল উলূমিল ইসলামিয়া, আজিমপুর
প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন