সফরে দুই ওয়াক্ত নামাজ একত্রে আদায় করা যাবে কি?
প্রশ্নঃ ৩২৯৬১. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, এই হাদিসের আলোকে সফরে দুই ওয়াক্ত নামাজ একত্রে আদায় করা যাবে কি? ৫৫৩. কুতায়বা (রাহঃ) ...... মু’আয ইবনে জাবাল (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, তাবুক যুদ্ধের সফরকালে রাসূল (ﷺ) সূর্য পশ্চিমে হেলে পড়ার আগে যাত্রা করতেন তবে যোহরের নামায বিলম্ব করে আসরের সঙ্গে মিলিয়ে দিতেন এবং উভয় নামায একত্রে আদায় করতেন। আর সূর্য পশ্চিমে হেলে পড়ার পর যাত্রা করলে আসরের নামায যোহরের ওয়াক্তে এগিয়ে নিয়ে আসতেন এবং যোহর ও আসর একসঙ্গে আদায় করতেন। এরপর গণ্তব্য স্থানের দিকে চলতেন। এমনিভাবে তিনি যদি মাগরিবের পূর্বে যাত্রা করতেন তবে মাগরিবের নামায বিলম্ব করতেন এবং তা এশার সঙ্গে একসাথে আদায় করতেন। আর যদি মাগরিবের পর যাত্রা করতেন তবে এশার নামায ত্বরাম্বিত করতেন এবং তা মাগরিবের সঙ্গে আদায় করতেন। এই বিষয়ে আলী, ইবনে উমর, আনাস, আব্দুল্লাহ ইবনে আমর, আয়েশা, ইবনে আব্বাস, উসামা ইবনে যায়েদ এবং জাবির (রাযিঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবু ঈসা তিরমিযী (রাহঃ) বলেনঃ উসামা (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীসটি সহীহ। আলী ইবনুল মাদীনী (রাহঃ)-ও এই হাদীসটি আহমদ ইবনে হাম্বল কুতায়বা সূত্রে বর্ণনা করেছেন। —জামে' তিরমিযী, হাদীস নং ৫৫৩ তাহকীক: বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ) Daya kore bishoyita janabean janale upokarita,
১২ মে, ২০২৩
West Bengal ৭৪৩৩৯৯
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
প্রত্যেক নামাজের শুরু ও শেষ সময় কোরআন ও হাদিসে স্পষ্টভাবে, বিস্তারিত বর্ণিত হয়েছে। কোনো নামাজকে বিলম্ব করা, কিংবা সময়ের পূর্বে আদায় করা জায়েজ নেই। আল্লাহ তাআলা বলেন,
﴿اِنَّ الصَّلوٰةَ كَانَتْ عَلَى الْمُؤْمِنِیْنَ كِتَابًا مَّوْقُوْتًا ﴾ (النساء:۱۰۳)
নিশ্চয় নামায মুসলমানদের উপর ফরয নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে।
তাই প্রত্যেক নামাজের শুরু এর শেষ নির্ধারিত। হাদিসে এসেছে,
مَا رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلّٰى صَلَاةً بِغَيْرِ (لِغَيْرِ) مِيْقَاتِهَا إِلَّا صَلَاتَيْنِ جَمَعَ بَيْنَ الْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ وَصَلَّى الْفَجْرَ قَبْلَ مِيْقَاتِهَا.‘ (صحیح البخاري، باب من یصلي الفجر بجمع:۱٦۸۲)
আমর ইবনে হাফস ইবনে গিয়াস (রহ.) ......... আব্দুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী (ﷺ)কে দুটি নামায ছাড়া কোনো নামায তার নির্দিষ্ট সময় ব্যতীত আদায় করতে দেখিনি। তিনি মাগরিব ও ‘ইশা একত্রে আদায় করেছেন এবং ফজরের নামায তার (নিয়মিত) ওয়াক্তের আগে আদায় করেছেন।
ইমাম নববী এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন,
قال النووي: المراد قبل وقتها المعتاد، لا قبل طلوع الفجر لأن ذلك ليس بجائز بإجماع المسلمين، فيتعين.
ফজর নামাজ সময়ের আগে আদায় করেছেন এর দ্বারা উদ্দেশ্য সাধারণত নিয়মিত যে সময় ফজরের নামাজ আদায় করা হয় ওই সময়ের পূর্বে আদায় করেছেন। সুবহে সাদেক তথা সময় আসার পূর্বে আদায় করেননি। কেননা সুবহে সাদিকের পূর্বে নামাজ আদায় করা সকল মুসলমানদের ঐকমত্যে নাজায়েজ।
দুই নামাজ একত্রিত একসাথে আদায় করার কথা কেবলমাত্র মুজদালিফায় মাগরিব এবং এশা ও আরাফার ময়দানে জোহর এবং আসর, একসাথে আদায় করার কথা এসেছে। আর কোনো নামাজের ক্ষেত্রে দুই নামাজ একসাথে আদায় করার সুযোগ নেই।
ইসলামের শুরু থেকেই নামাজের সময়টা নির্ধারিত। তার মাঝে কোন ধরনের পরিবর্তন পরিবর্ধন ঘটেনি। এজন্য ইচ্ছাকৃত নামাজকে তার সময় থেকে বিলম্বে আদায় করা অর্থাৎ কাজা করা গুনাহের কাজ। আর সময়ের পূর্বে আদায় করা করলে নামাজ আদায় হবে না।
অন্যায়ের বর্ণনা এসেছে,
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ جَمَعَ بَيْنَ الصَّلاَتَيْنِ مِنْ غَيْرِ عُذْرٍ فَقَدْ أَتَى بَابًا مِنْ أَبْوَابِ الْكَبَائِرِ " .
ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, কোন অজুহাত ছাড়াই যে ব্যক্তি দুই ওয়াক্তের নামায একত্রে আদায় করে সে কাবীরা গুনাহের স্তরসমূহের মধ্যে একটি স্তরে পৌঁছে যায়। (জামে তিরমিজি, হাদিস : ১৮৮)
ইমাম মুহাম্মাদ রহ. বলেন,
قَالَ مُحَمَّدٌ: بَلَغَنَا , عَنْ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ , أَنَّهُ «كَتَبَ فِي الآفَاقِ، يَنْهَاهُمْ أَنْ يَجْمَعُوا بَيْنَ الصَّلاتَيْنِ، وَيُخْبِرُهُمْ أَنَّ الْجَمْعَ بَيْنَ الصَّلاتَيْنِ فِي وَقْتٍ وَاحِدٍ كَبِيرَةٌ مِنَ الْكَبَائِرِ»
আমরা হযরত উমার (রা.) সম্পর্কে জানতে পেরেছি যে, তিনি দেশের বিভিন্ন এলাকায় এই মর্মে লিখিত আদেশ পাঠান যে, একই ওয়াক্তে একত্রে দুই নামায পড়া যাবে না। এটা বড়ো ধরনের অপরাধ হিসাবে গণ্য হবে। (আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহ. হাদীস : ২০৭)
এখন বাকি রইলো সফরত অবস্থায় কেউ যদি দুই নামায একসাথে আদায় করতে চায়, তাহলে সে সুযোগ আছে কিনা? কারণ, কিছু কিছু বর্ণনায় এমনটা পাওয়া যায়, যার দ্বারা বুঝা যায় সফর অবস্থায় দুই নামায একসাথে পড়া জায়েজ।
عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِذَا عَجِلَ عَلَيْهِ السَّفَرُ يُؤَخِّرُ الظُّهْرَ إِلَى أَوَّلِ وَقْتِ الْعَصْرِ فَيَجْمَعُ بَيْنَهُمَا وَيُؤَخِّرُ الْمَغْرِبَ حَتَّى يَجْمَعَ بَيْنَهَا وَبَيْنَ الْعِشَاءِ حِينَ يَغِيبُ الشَّفَقُ .
আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর যখন সফরে তাড়াহুড়া থাকত, তখন তিনি যোহরের নামায আসরের প্রথম ওয়াক্ত আসা পর্যন্ত-বিলম্ব করতেন। তারপর উভয় নামায একত্রে আদায় করতেন। মাগরিবের নামাযে বিলম্ব করতেন এমনকি লালিমা অস্তমিত হওয়ার সময় হলে মাগরিব ও ইশা একত্রে আদায় করতেন। (সহীহ মুসলিম, হাদীস : ১৫০০)
এই হাদিসের ব্যাখ্যা হচ্ছে, এখানে দুই নামাজ একসাথে পড়ার দ্বারা হাকিকি একসাথে উদ্দেশ্য নয় বরং এটাকে বাহ্যত একসাথে মনে হলেও বাস্তব অর্থে একসাথে নয়। আর তা এভাবে যে সফর করতে করতে একদম জোহরের শেষ ওয়াক্তে এসে গেছে, এমন সময় নামাজ পড়া আরম্ভ করেছে যে শুধু ওই যোহরের নামাযই পড়া যায়, এটুকু সময় বাকি আছে। এরপর ৫-৭ মিনিট অপেক্ষার পর, আসরের সময় হয়ে যায়। তখন আসরের নামাজ পড়ে আবার সফর করা শুরু করে। তো এখানে একসাথে দুই নামাজ আদায় করলেও প্রকৃত অর্থে দুই ওয়াক্তে দুই নামাজ আদায় হয়েছে। কিন্তু আপাতদৃষ্টিতে মনে হবে দুটোই একসঙ্গে পড়া হয়েছে।
'' (ولا جمع بين فرضين في وقت بعذر) سفر ومطر خلافاً للشافعي، وما رواه محمول على الجمع فعلاً لا وقتاً (فإن جمع فسد لو قدم) الفرض على وقته (وحرم لو عكس) أي أخره عنه (وإن صح) بطريق القضاء (إلا لحاج بعرفة ومزدلفة)
(قوله: وما رواه) أي من الأحاديث الدالة على التأخير كحديث أنس «أنه صلى الله عليه وسلم كان إذا عجل السير يؤخر الظهر إلى وقت العصر فيجمع بينهما، ويؤخر المغرب حتى يجمع بينها وبين العشاء»۔ وعن ابن مسعود مثله''। (الدر المختار وحاشية ابن عابدين : 1/ 381)
্
'' ومن الأحاديث الدالة على التقديم وليس فيها صريح سوى حديث أبي الطفيل عن معاذ «أنه عليه الصلاة والسلام كان في غزوة تبوك إذا ارتحل قبل زيغ الشمس أخر الظهر إلى العصر فيصليهما جميعاً، وإذا ارتحل قبل زيغ الشمس صلى الظهر والعصر ثم سار، وكان إذا ارتحل قبل المغرب أخر المغرب حتى يصليها مع العشاء، وإذا ارتحل بعد المغرب عجل العشاء فصلاها مع المغرب» .
(قوله: محمول إلخ) أي ما رواه مما يدل على التأخير محمول على الجمع فعلاً لا وقتاً: أي فعل الأولى في آخر وقتها والثانية في أول وقتها، ويحمل تصريح الراوي بخروج وقت الأولى على التجوز كقوله تعالى :﴿ فَاِذَا بَلَغْنَ اَجَلَهُنَّ ﴾ [البقرة: 234] أي قاربن بلوغ الأجل أو على أنه ظن، ويدل على هذا التأويل ما صح عن ابن عمر: « أنه نزل في آخر الشفق فصلى المغرب ثم أقام العشاء وقد توارى الشفق، ثم قال: إن رسول الله صلى الله عليه وسلم كان إذا عجل به السير صنع هكذا.» " وفي رواية ": ثم انتظر حتى غاب الشفق وصلى العشاء "، كيف وقد قال صلى الله عليه وسلم: «ليس في النوم تفريط، إنما التفريط في اليقظة، بأن تؤخر صلاة إلى وقت الأخرى». رواه مسلم، وهذا قاله وهو في السفر. وروى مسلم أيضاً عن ابن عباس «أنه صلى الله عليه وسلم جمع بين الظهر والعصر والمغرب والعشاء بالمدينة من غير خوف ولا مطر، لئلا تحرج أمته». وفي رواية: «ولا سفر». والشافعي لا يرى الجمع بلا عذر، فما كان جوابه عن هذا الحديث فهو جوابنا. وأما حديث أبي الطفيل الدال على التقديم فقال الترمذي فيه: إنه غريب، وقال الحاكم: إنه موضوع، وقال أبو داود: ليس في تقديم الوقت حديث قائم، وقد أنكرت عائشة على من يقول بالجمع في وقت واحد. وفي الصحيحين عن ابن مسعود : « والذي لا إله غيره ما صلى رسول الله صلى الله عليه وسلم صلاة قط إلا لوقتها إلا صلاتين جمع بين الظهر والعصر بعرفة، وبين المغرب والعشاء بجمع». " ويكفي في ذلك النصوص الواردة بتعيين الأوقات من الآيات والأخبار، وتمام ذلك في المطولات، كالزيلعي وشرح المنية. وقال سلطان العارفين سيدي محيي الدين نفعنا الله به: والذي أذهب إليه أنه لا يجوز الجمع في غير عرفة ومزدلفة؛ لأن أوقات الصلاة قد ثبتت بلا خلاف، ولا يجوز إخراج صلاة عن وقتها إلا بنص غير محتمل؛ إذ لاينبغي أن يخرج عن أمر ثابت بأمر محتمل، هذا لا يقول به من شم رائحة العلم، وكل حديث ورد في ذلك فمحتمل أنه يتكلم فيه مع احتمال أنه صحيح، لكنه ليس بنص اهـكذا نقله عنه سيدي عبد الوهاب الشعراني في كتابه الكبريت الأحمر في بيان علوم الشيخ الأكبر'
(الدر المختار وحاشية ابن عابدين : 1/ 382)
والله اعلم بالصواب
মুহাদ্দিস, জামিয়া বাবুস সালাম, বিমানবন্দর ঢাকা
মন্তব্য (০)
কোনো মন্তব্য নেই।
এ সম্পর্কিত আরও জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর
২৫৮৪৩
নারী মাহরাম ছাড়া কত দূর সফর করতে পারবে?
৭ জুন, ২০২৪
রূপসী ১৪৬০

উত্তর দিয়েছেনঃ শাইখ উমায়ের কোব্বাদী
১৩৪২৬
৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
চট্টগ্রাম

উত্তর দিয়েছেনঃ মোহাম্মদ আমীর হোসাইন, মুফতি ও মুহাদ্দীস,
সাম্প্রতিক প্রশ্নোত্তর
মাসায়েল-এর বিষয়াদি
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে
মাসায়েল-এর বিষয়াদি লোড হচ্ছে