আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

রমজান মাসে সহবাস করা যাবে কি?

প্রশ্নঃ ৩২০৪৮. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, রোজার দিনে বউ এর সাতে সহবাস করা যাবে?

১ এপ্রিল, ২০২৩
Dhaka, Bangladesh

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


এক. ‘রোজা’ বলা হয়, ‘আল্লাহর ইবাদতের উদ্দেশ্যে ফজরের সময়ের শুরু থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত খাওয়া, পান করা এবং স্ত্রী-সহবাস ইত্যাদি থেকে বিরত থাকা।
সুতরাং উক্ত সময়ে পানাহার ও স্ত্রী-সহবাস থেকে বিরত থাকা ফরজ। তবে ইফতারির পর থেকে শুরু করে সুবহে সাদিকের আগ পর্যন্ত পানাহার ও স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস হালাল। আল্লাহ তাআলা বলেন,
أُحِلَّ لَكُمْ لَيْلَةَ الصِّيَامِ الرَّفَثُ إِلَىٰ نِسَائِكُمْ ۚ هُنَّ لِبَاسٌ لَّكُمْ وَأَنتُمْ لِبَاسٌ لَّهُنَّ ۗ عَلِمَ اللَّهُ أَنَّكُمْ كُنتُمْ تَخْتَانُونَ أَنفُسَكُمْ فَتَابَ عَلَيْكُمْ وَعَفَا عَنكُمْ ۖ فَالْآنَ بَاشِرُوهُنَّ وَابْتَغُوا مَا كَتَبَ اللَّهُ لَكُمْ ۚ وَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّىٰ يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الْأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الْأَسْوَدِ مِنَ الْفَجْرِ ۖ ثُمَّ أَتِمُّوا الصِّيَامَ إِلَى اللَّيْلِ
রোজার রাতে তোমাদের জন্য স্ত্রী-সম্ভোগ বৈধ করা হয়েছে। তারা তোমাদের পোশাক এবং তোমরা তাদের পোশাক। আল্লাহ জানতেন যে, তোমরা আত্মপ্রতারণা করছ। তাই তো তিনি তোমাদের প্রতি সদয় হয়েছেন এবং তোমাদের অপরাধ ক্ষমা করেছেন। অতএব এখন তোমরা তোমাদের পত্নীদের সঙ্গে সহবাস করতে পার এবং আল্লাহ তোমাদের জন্য যা (সন্তান) লিখে রেখেছেন, তা কামনা কর। আর তোমরা পানাহার কর; যতক্ষণ কালো সুতা (রাতের কালো রেখা) হতে ঊষার সাদা সুতা (সাদা রেখা) স্পষ্টরূপে তোমাদের নিকট প্রতিভাত না হয়। অতঃপর রাত্রি পর্যন্ত রোজা পূর্ণ কর। (সূরা বাকারা ১৮৭)
দুই. কোনো ব্যক্তি যদি রমজান মাসে দিনের বলা রোজা অবস্থায় সহবাসে লিপ্ত হয় তাহলে তার উপর নিম্নের বিষয়গুলো বর্তাবে-
১। সে গুনাহগার হবে।
২। তার সেই দিনের রোজা নষ্ট হয়ে যাবে।
৩।সেই দিনের বাকি অংশ পানাহার ও যৌনমিলন থেকে বিরত থাকতে হবে।
৪। সেই দিনের রোজার কাযা করা ওয়াজিব হবে।
৫। সেই দিনের রোজার কাফফারা ওয়াজিব হবে অর্থাৎ লাগাতার ষাট দিন রোজা রাখতে হবে।
একটি দীর্ঘ হাদীসে আছে, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর নিকট এসে বলল, আমি রোযা অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করেছি। রাসূলুল্লাহ ﷺ তাকে কাফফারা আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন। (সহীহ বুখারী ৬৭০৯; জামে তিরমিযী ৭২৪; মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক ৭৪৫৭; মুসনাদে আহমদ ২/২৪১)
মুহাম্মাদ ইবনে কা’ব রাযি. বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ ঐ ব্যক্তিকে (যে স্ত্রীসহবাসে লিপ্ত হয়েছিল) কাফফারা আদায়ের সাথে কাযা আদায়েরও আদেশ করেছিলেন। (মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক ৭৪৬১)

والله اعلم بالصواب

শাইখ উমায়ের কোব্বাদী সিনিয়র মুহাদ্দিস, মাদরাসা দারুর রাশাদ, মিরপুর খতীব, বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদ, মিরপুর
প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন