আপনার জিজ্ঞাসা/প্রশ্ন-উত্তর

সকল মাসায়েল একত্রে দেখুন

ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা ভাঙ্গলে বিধান কী?

প্রশ্নঃ ৩১৮৩৫. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, কেউ ইচ্ছাকৃত রোজা ভেঙে ফেললে তার কী হুকুম?

৩০ মার্চ, ২০২৩
Dhaka

উত্তর

و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم


শরয়ী ওযর ছাড়া ইচ্ছাকৃত পানাহার বা সহবাসের মাধ্যমে রমজানের রোজা ভেঙে ফেললে তার কাজা ও কাফফারা অর্থাৎ লাগাতার ষাট দিন রোজা রাখতে হয়। পানাহার ও সহবাস ছাড়া অন্য পদ্ধতিতে ইচ্ছাকৃত ভাঙলে কাফফারা দিতে হয় না, হ্যাঁ কাজা অর্থাৎ এক রোজার পরিবর্তে এক রোজা আদায় করতে হয়। (মাবসুত সারাখসি ৩/৭২)
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: أَتَى النَّبِيَّ ﷺ رَجُلٌ فَقَالَ: هَلَكْتُ، قَالَ: وَمَا أَهْلَكَكَ؟ قَالَ: وَقَعْتُ عَلَى امْرَأَتِي فِي رَمَضَانَ، فَقَالَ النَّبِيُّ ﷺ : أَعْتِقْ رَقَبَةً. قَالَ: لَا أَجِدُ، قَالَ: صُمْ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ. قَالَ: لَا أُطِيقُ، قَالَ: أَطْعِمْ سِتِّينَ مِسْكِينًا
আবূ হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবীজী ﷺ এর কাছে এক ব্যক্তি এসে বলল, আমি ধ্বংস হয়ে গেছি। নবীজী ﷺ জিজ্ঞেস করলেন, তোমাকে কে ধ্বংস করেছে? লোকটি বললো, রমজানে আমি আমার স্ত্রীর সাথে সহবাস করে ফেলেছি। নবীজী ﷺ তাকে বললেন, তাহলে এর বদলে একটি গোলাম আযাদ কর। লোকটি বললো, আমি এতে সক্ষম নই। নবীজী ﷺ বললেন, তাহলে লাগাতার দুই মাস রোজা রাখ। লোকটি বললো, আমি এতেও সক্ষম নই। তখন নবীজী ﷺ বললেন, তাহলে তুমি ৬০ জন মিসকিনকে খানা খাওয়াও। (সুনানে ইবনে মাজাহ ১৬৭১, মুসনাদে আহমাদ ৬৯৪৪)
উল্লেখ্য, শরয়ী ওযর ছাড়া যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত একটি রোজা পরিত্যাগ করে তার জন্য উল্লেখিত বিধান থাকলেও মূলতঃ সে নিকৃষ্ট পাপী। দ্বীনের মৌলিক ফরয লংঘনকারী এবং ঈমান ও ইসলামের ভিত্তি বিনষ্টকারীরূপে সে পরিগণিত হবে। আর এ কাজ সে রোজার যে মঙ্গল ও বরকত থেকে বঞ্চিত হবে তা কস্মিণকালেও পাবে না। এমনকি এ রোজার কাজা ও কাফফারা করে নিলেও তা ফিরে পাবে না।
হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
‏ مَنْ أَفْطَرَ يَوْمًا مِنْ رَمَضَانَ مِنْ غَيْرِ رُخْصَةٍ وَلاَ مَرَضٍ لَمْ يَقْضِ عَنْهُ صَوْمُ الدَّهْرِ كُلِّهِ وَإِنْ صَامَهُ
যে ব্যক্তি কোনো ওযর বা অসুস্থতা ব্যতিরেকে রমযানের একটি রোযা পরিত্যাগ করবে সে যদি ঐ রোযার পরিবর্তে আজীবন রোযা রাখে তবুও ঐ এক রোযার ক্ষতি পূরণ হবে না। (তিরমিযী ৭২৩)
সুতরাং এমন ব্যক্তির সর্ব প্রথম কর্তব্য হলো, আল্লাহর কাছে একনিষ্ঠভাবে তাওবা করা।

والله اعلم بالصواب

শাইখ উমায়ের কোব্বাদী সিনিয়র মুহাদ্দিস, মাদরাসা দারুর রাশাদ, মিরপুর খতীব, বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদ, মিরপুর
প্রসঙ্গসমূহ:

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!

মন্তব্য করতে লগইন করুন